নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যায় জড়িত সিয়াম হোসেনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে পাঠানো হয়েছে।
ঢাকার আদালতের শেরেবাংলা নগর থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এসআই জালাল উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মাহফুজুর রহমান গত রোববার আবেদন করেন। উক্ত আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ওই দিনই ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুল হক এ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। তবে আজ সোমবার পাঠানো হয়।
সিয়াম হোসেনের বাড়ি ভোলা জেলার বোরহানউদ্দিন থানায়। তার গ্রামের নাম কুতুবা। বাবার নাম মো. আলাউদ্দিন। তিনি সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিমের হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী আখতারুজ্জামান শাহিনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। হত্যাকাণ্ডের সময় সিয়ামও ভারতে ছিলেন বলে তদন্তে জানতে পেরেছে পুলিশ। সিয়াম হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করার পর নেপালে পালিয়ে গেছেন বলেও ইতিমধ্যে তদন্ত সংস্থা জানতে পেরেছে।
এমপি আনার হত্যার তদন্তের জন্য গত ১ জুন সকালে নেপালের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছেড়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল। দলে ডিবির দুজন কর্মকর্তা ও পুলিশ সদর দপ্তরের এনসিবির একজন কর্মকর্তা রয়েছেন।
সিয়ামকে নেপাল থেকে দেশে ফিরিয়ে আনার উদ্দেশ্যেই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে বলে বিশ্বস্তসূত্রে জানা গেছে। সূত্রটি জানায় পরোয়ানা ইন্টারপোলের মাধ্যমে নেপাল সরকারের কাছে হস্তান্তর করার পর তাকে ফেরত আনা সহজ হবে বলেই এই পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। তদন্ত কর্মকর্তা আবেদনেও উল্লেখ করেছেন গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি না করা হলে সিয়ামকে ফেরত আনা সম্ভব হবে না।
এ মামলায় আমানুল্লাহ আমান ওরফে শিমুল ভূঁইয়া ওরফে মাহমুদ হাসান শিমুল, শিলস্তি রহমান ও ফয়সাল আলী ওরফে সাজি ওরফে তানভীর ভূঁইয়া ৫ দিনের রিমান্ডে ডিবির হেফাজতে রয়েছেন। কত ৩১ মে তাদের দ্বিতীয় দফায় পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। এর আগে গত ২৪ মে এই তিনজনকে আট দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়।
আনোয়ারুল আজীম ভারতে খুন হওয়ার ঘটনায় গত ২২ মে ঢাকার শেরেবাংলা নগর থানায় অপহরণের পর বাবাকে গুম করার অভিযোগে মামলা করেন তার মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন।
মামলার এজাহারে এমপির মেয়ে উল্লেখ করেন, ৯ মে রাত ৮টার দিকে তাঁর বাবা মানিক মিয়া অ্যাভিনিউর সংসদ সদস্য ভবনের বাসা থেকে গ্রামের বাড়ি ঝিনাইদহে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হন। ১১ মে ৪টা ৪৫ মিনিটে তাঁর বাবার সঙ্গে মোবাইলে ভিডিও কলে কথা বললে বাবার কথাবার্তায় কিছুটা অসংলগ্ন মনে হয়। এরপর মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন দিলে বন্ধ পান।
গত ১৩ মে আনারের ভারতীয় নম্বর থেকে হোয়াটসঅ্যাপে একটি মেসেজ আসে। মেসেজে লেখা ছিল-‘আমি হঠাৎ করে দিল্লি যাচ্ছি, আমার সঙ্গে ভিআইপি আছে। আমি অমিত শাহের কাছে যাচ্ছি। আমাকে ফোন দেওয়ার দরকার নেই। পরে ফোন দেব।’ এ ছাড়াও আরও কয়েকটি মেসেজ আসে। মেসেজগুলো মুনতারিনের বাবার মোবাইল ফোন ব্যবহার করে অপহরণকারীরা করে থাকতে পারে বলে এজাহারে বলা হয়।
এজাহারে আরও বলা হয়, বাদীর বাবা ভারতে খুন হয়েছেন বলে তিনি জানতে পেরেছেন। তবে এখনো বাবার লাশ পাননি তাঁর পরিবার। তার বাবাকে অপহরণ করে খুন করা হয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে।
আনোয়ারুল আজিম গত ১২ মে দর্শনা–গেদে সীমান্ত দিয়ে চিকিৎসার জন্য ভারতে যান। বরাহনগরের স্বর্ণ ব্যবসায়ী বন্ধু গোপাল বিশ্বাসের বাড়িতে ওঠেন। কিন্তু ১৬ মে থেকে তার সঙ্গে আর যোগাযোগ করতে না পারায় নিখোঁজ জানিয়ে ১৮ মে বরাহনগর থানায় জিডি করেন গোপাল বিশ্বাস।
গত ২২ মে সকালে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে আনোয়ারুল আজীম খুন হওয়ার খবর আসে। এরপর তার মেয়ে শেরেবাংলা নগর থানায় অপহরণের পর গুম করার অভিযোগে মামলা দায়ের করেন।
বিস্তারিত আরও পড়ুন:
ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যায় জড়িত সিয়াম হোসেনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে পাঠানো হয়েছে।
ঢাকার আদালতের শেরেবাংলা নগর থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এসআই জালাল উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মাহফুজুর রহমান গত রোববার আবেদন করেন। উক্ত আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ওই দিনই ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুল হক এ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। তবে আজ সোমবার পাঠানো হয়।
সিয়াম হোসেনের বাড়ি ভোলা জেলার বোরহানউদ্দিন থানায়। তার গ্রামের নাম কুতুবা। বাবার নাম মো. আলাউদ্দিন। তিনি সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিমের হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী আখতারুজ্জামান শাহিনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। হত্যাকাণ্ডের সময় সিয়ামও ভারতে ছিলেন বলে তদন্তে জানতে পেরেছে পুলিশ। সিয়াম হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করার পর নেপালে পালিয়ে গেছেন বলেও ইতিমধ্যে তদন্ত সংস্থা জানতে পেরেছে।
এমপি আনার হত্যার তদন্তের জন্য গত ১ জুন সকালে নেপালের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছেড়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল। দলে ডিবির দুজন কর্মকর্তা ও পুলিশ সদর দপ্তরের এনসিবির একজন কর্মকর্তা রয়েছেন।
সিয়ামকে নেপাল থেকে দেশে ফিরিয়ে আনার উদ্দেশ্যেই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে বলে বিশ্বস্তসূত্রে জানা গেছে। সূত্রটি জানায় পরোয়ানা ইন্টারপোলের মাধ্যমে নেপাল সরকারের কাছে হস্তান্তর করার পর তাকে ফেরত আনা সহজ হবে বলেই এই পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। তদন্ত কর্মকর্তা আবেদনেও উল্লেখ করেছেন গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি না করা হলে সিয়ামকে ফেরত আনা সম্ভব হবে না।
এ মামলায় আমানুল্লাহ আমান ওরফে শিমুল ভূঁইয়া ওরফে মাহমুদ হাসান শিমুল, শিলস্তি রহমান ও ফয়সাল আলী ওরফে সাজি ওরফে তানভীর ভূঁইয়া ৫ দিনের রিমান্ডে ডিবির হেফাজতে রয়েছেন। কত ৩১ মে তাদের দ্বিতীয় দফায় পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। এর আগে গত ২৪ মে এই তিনজনকে আট দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়।
আনোয়ারুল আজীম ভারতে খুন হওয়ার ঘটনায় গত ২২ মে ঢাকার শেরেবাংলা নগর থানায় অপহরণের পর বাবাকে গুম করার অভিযোগে মামলা করেন তার মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন।
মামলার এজাহারে এমপির মেয়ে উল্লেখ করেন, ৯ মে রাত ৮টার দিকে তাঁর বাবা মানিক মিয়া অ্যাভিনিউর সংসদ সদস্য ভবনের বাসা থেকে গ্রামের বাড়ি ঝিনাইদহে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হন। ১১ মে ৪টা ৪৫ মিনিটে তাঁর বাবার সঙ্গে মোবাইলে ভিডিও কলে কথা বললে বাবার কথাবার্তায় কিছুটা অসংলগ্ন মনে হয়। এরপর মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন দিলে বন্ধ পান।
গত ১৩ মে আনারের ভারতীয় নম্বর থেকে হোয়াটসঅ্যাপে একটি মেসেজ আসে। মেসেজে লেখা ছিল-‘আমি হঠাৎ করে দিল্লি যাচ্ছি, আমার সঙ্গে ভিআইপি আছে। আমি অমিত শাহের কাছে যাচ্ছি। আমাকে ফোন দেওয়ার দরকার নেই। পরে ফোন দেব।’ এ ছাড়াও আরও কয়েকটি মেসেজ আসে। মেসেজগুলো মুনতারিনের বাবার মোবাইল ফোন ব্যবহার করে অপহরণকারীরা করে থাকতে পারে বলে এজাহারে বলা হয়।
এজাহারে আরও বলা হয়, বাদীর বাবা ভারতে খুন হয়েছেন বলে তিনি জানতে পেরেছেন। তবে এখনো বাবার লাশ পাননি তাঁর পরিবার। তার বাবাকে অপহরণ করে খুন করা হয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে।
আনোয়ারুল আজিম গত ১২ মে দর্শনা–গেদে সীমান্ত দিয়ে চিকিৎসার জন্য ভারতে যান। বরাহনগরের স্বর্ণ ব্যবসায়ী বন্ধু গোপাল বিশ্বাসের বাড়িতে ওঠেন। কিন্তু ১৬ মে থেকে তার সঙ্গে আর যোগাযোগ করতে না পারায় নিখোঁজ জানিয়ে ১৮ মে বরাহনগর থানায় জিডি করেন গোপাল বিশ্বাস।
গত ২২ মে সকালে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে আনোয়ারুল আজীম খুন হওয়ার খবর আসে। এরপর তার মেয়ে শেরেবাংলা নগর থানায় অপহরণের পর গুম করার অভিযোগে মামলা দায়ের করেন।
বিস্তারিত আরও পড়ুন:
ফৌজদারি মামলায় কোনো আসামি আদালত থেকে অব্যাহতি পেলেও তিনি পুরোপুরি বিপদমুক্ত হন না। তার বিপদ কিছুটা থেকেই যায়। তবে ফৌজদারি মামলায় চার্জ গঠনের পর খালাস পেলে আসামি বিপদমুক্ত হন। একটি ফৌজদারি মামলা সংক্রান্ত সকল বিচারিক কার্যক্রম সম্পন্ন করেন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত কিংবা ম্যাজিস্ট্রেট ও দায়রা আদালত।
৪০ মিনিট আগেঢাকা-দিল্লি পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ও শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ নিয়ে আলোচনা হতে পারে। ভারত ও বাংলাদেশের কূটনৈতিক সিদ্ধান্ত আঞ্চলিক রাজনীতি ও মানবাধিকারের ওপর প্রভাব ফেলবে।
১ ঘণ্টা আগেনবনিযুক্ত মহাপরিদর্শক বাহারুল আলম বলেছেন, ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে দায়ের করা মামলাগুলো যথাযথভাবে তদন্ত করতে হবে। কোনো নিরীহ মানুষকে হয়রানি করা যাবে না। নিরীহ কারও নামে মামলা হলেও যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তা প্রত্যাহারের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
২ ঘণ্টা আগেশিক্ষার্থীদের বিতর্কিত করার পরিকল্পনার বিষয়ে তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামের উদ্বেগ। সরকারি বিজ্ঞান কলেজে এক অনুষ্ঠানে জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের শিক্ষা, আন্দোলনের সুফল এবং তরুণ প্রজন্মের ভূমিকা নিয়ে বক্তব্য।
২ ঘণ্টা আগে