নাজমুল হাসান সাগর, ঢাকা
এক নদী রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের মানচিত্র ৫১তম বর্ষে পদার্পণ করল। যাঁদের জীবন ও রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে আজকের বাংলাদেশ তাঁদের শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করতে আজ সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে ভিড় করেছিলেন সাধারণ মানুষ। শ্রদ্ধা জানাতে আসা এসব মানুষ প্রত্যাশা রেখেছেন যেন দেশ বৈষম্য ও দুর্নীতিমুক্ত হয়, সেই সঙ্গে এত বছরেও রাষ্ট্রীয় যেসব প্রতিশ্রুতি পূরণ হয়নি সেগুলো যেন পূরণ করা হয় দ্রুতই।
শনিবার (২৬ মার্চ) শহীদদের স্মৃতিতে শ্রদ্ধা জানাতে সূর্যোদয়ের পরে স্মৃতিসৌধে আসেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ। সকাল ৫টা ৫৬ মিনিটে স্মৃতিস্তম্ভের বেদিতে তাঁরা পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
সকাল সাড়ে ৬টা থেকে সাধারণ মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয় স্মৃতিসৌধ। হাতে লাল সবুজের পতাকা আর ফুল, হৃদয়ে গভীর শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা নিয়ে মানুষ প্রবেশ করতে থাকে জাতীয় স্মৃতিসৌধে। নানা রাজনৈতিক, সামাজিক, স্বেচ্ছাসেবী কিংবা সরকারি প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি স্কুল কলেজ পড়ুয়ারাও আসে শ্রদ্ধা জানাতে।
তাদেরই একজন তাবাসসুম কর্নিয়া। স্কুলের বন্ধুদের সঙ্গে আসা দশম শ্রেণির এই শিক্ষার্থী বলেন, ‘স্বাধীনতার ৫১ বছরে শ্রদ্ধা জানাতে এসে খুব আনন্দ লাগছে। আমাদের স্বাধীনতা এনে দিতে যাঁরা প্রাণ দিয়েছেন তাঁদের স্মরণ করছি। এ জন্য সকাল সকাল এসেছি স্মৃতিসৌধে। জানি তাঁদের রক্ত ও জীবনের ঋণ কখনোই আমর শোধ করতে পারব না। তাই শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতায় মাথা নুয়ে আসে বারবার। দেশের সব মানুষ যেন নিরাপদ থাকে স্বাধীনতা দিবসের দিনে এমনটাই প্রত্যাশা আমার।’
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে প্রাপ্তির খাতায় যোগ হয়েছে অনেক কিছুই। তবে অপূর্ণ রয়েছে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ চাওয়া। এগুলো দ্রুত পূরণের প্রত্যাশা রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. আখতারুজ্জামান। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি বলেন, ‘এটা সত্য, এখন বঙ্গবন্ধুর জীবন দর্শন ও তাঁর পরিকল্পনার আলোকে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এটা প্রত্যাশিতই। ২০৪১ সালে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার যে স্বপ্ন, এটি বাস্তবায়ন হবে যদি এই ধারা অব্যাহত থাকে। উন্নয়নের পথে বাধা হিসেবে দুর্নীতিকে উপেক্ষা করার কোনো উপায় নেই। উন্নয়নের পথে নানা বাধা-বিপত্তি রয়েছে, তবে এটি সত্য যে, এগুলোর পেছনে যখন সৎ উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য থাকে, তখন এই প্রতিবন্ধকতা উতরানো সম্ভব। বাংলাদেশ যতটুকু পথ অতিক্রম করেছে, এটিও কিন্তু বন্ধুর ছিল। সামনেও হয়তো এ ধরনের প্রতিবন্ধকতা থাকবে, কিন্তু যখন আমাদের সামনে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ থাকবে, তখন এসব অতিক্রম করা কঠিন কিছু হবে না।’
পক্ষাঘাতগ্রস্ত পুনর্বাসন কেন্দ্র নামে একটি সংগঠনের পক্ষ থেকে হুইল চেয়ারে চেপে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এসেছেন মাগুরার কাজী বিল্লাল (২৭) নামে এক তরুণ। নিজেকে হুইলচেয়ার বাস্কেটবল খেলোয়াড় দাবি করে তিনি বলেন, ‘একাত্তরের যুদ্ধটা আমরা দেখিনি, কিন্তু বইয়ের পাতা থেকে ইতিহাস জেনেছি। সেই উপলব্ধিটা করতে পারি। ওই সময় কতটা করুণ অবস্থা ছিল! নিরস্ত্র বাঙালি মনোবল সম্বল করে বাংলাদেশকে স্বাধীন করার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। বাধা-প্রতিকূলতার মধ্যে আমরা কেন পারব না। আমরা অনুপ্রেরণা পাই। আমরাও দেশের স্বাধীনতা রক্ষা করার প্রচেষ্টা নিয়েই এখানে আসি। এখানে এলে আমাদের আত্মবিশ্বাসের মাত্রা বেড়ে যায়।’
মাগুরা সরকারি কলেজে স্নাতকের এই ছাত্র আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন অনেক এগিয়ে গেছে। এই এগিয়ে যাওয়াটা আরও ত্বরান্বিত হতে পারে যদি আমাদের মতো প্রতিবন্ধকতা সম্পন্ন মানুষকে সরকার উন্নয়নকাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত করে।’
গোপালগঞ্জ থেকে এসেছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. শাখাওয়াত হোসাইন। আট নম্বর সেক্টরে যুদ্ধ করা এই সূর্যসন্তান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যাঁর ডাকে আমরা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলাম তিনি আর আমাদের মাঝে নাই। মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আমি চাইব দেশটা যেন পূর্ণ মুজিব আদর্শেই চলে। যেসব লক্ষ্য, উদ্দেশ্য আর চাওয়া নিয়ে আমরা যুদ্ধে গিয়েছিলাম সেগুলোর ৭৫ ভাগ পূরণ হয়েছে পঞ্চাশ বছরে এসে। আশা রাখি, বাকি ২৫ ভাগও পূরণ হয়ে যাবে খুব দ্রুতই।’
শ্রদ্ধা জানাতে আসা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অনেকে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা আর দুর্নীতি নিয়ে আক্ষেপ করেছেন। স্বাধীনতার পর একটা সুন্দর দেশ দেখার প্রত্যাশা থাকলেও দুর্নীতি সেখানে বড় একটা বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে মনে করেন যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা উসমান গণি ফরাজি। সরকারের পক্ষ থেকে এই সমস্যা সমাধানে নির্দেশনা থাকলেও সেটা মানা হচ্ছে না। এই ব্যাপারটার সমাধান করা খুব জরুরি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা আর দুর্নীতি বন্ধ করতে পারলেই স্বাধীনতার সবটুকু স্বাদ পাওয়া যাবে।’
উসমান গণি বলেন, ‘ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা অনেক বেড়ে গেছে। এ ব্যাপারে সরকারের পদক্ষেপ জরুরি। আমরা জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করেছি, পায়ে গুলি খেয়েছি। আর এখন যুদ্ধ না করেই অনেকে মুক্তিযোদ্ধা হয়ে যাচ্ছে, এটা খুবই কষ্টের।’
শ্রদ্ধা জানাতে আসা মানুষের সঙ্গে কথার ফাঁকে উঠে আসে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি, নারী ও শিশুদের নিরাপত্তা ও সুলভে চিকিৎসা সেবা পাওয়ার মতো বিষয়গুলো। দেশ যেন নারীদের জন্য সুরক্ষিত হয় এমন প্রত্যাশা জানান শ্যামলী নার্সিং কলেজের শিক্ষার্থী সুমাইয়া জাহান। তিনি বলেন, ‘শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এসেছি। আমাদের প্রত্যাশা হলো আমরা যে স্বাধীন দেশ পেয়েছি, এটা যেন আসলেই স্বাধীন থাকে। সেখানে যেন আমরা নিরাপদে চলাচল করতে পারি। বিশেষ করে নারীরা আমরা এখনো স্বাধীন না। আমরা যেন আমাদের স্বাধীনতা সম্পূর্ণ অর্জন করতে পারি এটাই আমাদের প্রত্যাশা।’
সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানাতে আসেন। এসব মানুষ যেমন প্রাপ্তির তৃপ্তির কথা জানিয়েছেন, তেমনি আছে প্রত্যাশাও। দিনভর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে আবৃত্তি, দেশের গান, বাউল গান ও চিত্রকর্ম প্রদর্শনীসহ নানা আয়োজন ছিল সাভার স্মৃতিসৌধে।
এক নদী রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের মানচিত্র ৫১তম বর্ষে পদার্পণ করল। যাঁদের জীবন ও রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে আজকের বাংলাদেশ তাঁদের শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করতে আজ সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে ভিড় করেছিলেন সাধারণ মানুষ। শ্রদ্ধা জানাতে আসা এসব মানুষ প্রত্যাশা রেখেছেন যেন দেশ বৈষম্য ও দুর্নীতিমুক্ত হয়, সেই সঙ্গে এত বছরেও রাষ্ট্রীয় যেসব প্রতিশ্রুতি পূরণ হয়নি সেগুলো যেন পূরণ করা হয় দ্রুতই।
শনিবার (২৬ মার্চ) শহীদদের স্মৃতিতে শ্রদ্ধা জানাতে সূর্যোদয়ের পরে স্মৃতিসৌধে আসেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ। সকাল ৫টা ৫৬ মিনিটে স্মৃতিস্তম্ভের বেদিতে তাঁরা পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
সকাল সাড়ে ৬টা থেকে সাধারণ মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয় স্মৃতিসৌধ। হাতে লাল সবুজের পতাকা আর ফুল, হৃদয়ে গভীর শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা নিয়ে মানুষ প্রবেশ করতে থাকে জাতীয় স্মৃতিসৌধে। নানা রাজনৈতিক, সামাজিক, স্বেচ্ছাসেবী কিংবা সরকারি প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি স্কুল কলেজ পড়ুয়ারাও আসে শ্রদ্ধা জানাতে।
তাদেরই একজন তাবাসসুম কর্নিয়া। স্কুলের বন্ধুদের সঙ্গে আসা দশম শ্রেণির এই শিক্ষার্থী বলেন, ‘স্বাধীনতার ৫১ বছরে শ্রদ্ধা জানাতে এসে খুব আনন্দ লাগছে। আমাদের স্বাধীনতা এনে দিতে যাঁরা প্রাণ দিয়েছেন তাঁদের স্মরণ করছি। এ জন্য সকাল সকাল এসেছি স্মৃতিসৌধে। জানি তাঁদের রক্ত ও জীবনের ঋণ কখনোই আমর শোধ করতে পারব না। তাই শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতায় মাথা নুয়ে আসে বারবার। দেশের সব মানুষ যেন নিরাপদ থাকে স্বাধীনতা দিবসের দিনে এমনটাই প্রত্যাশা আমার।’
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে প্রাপ্তির খাতায় যোগ হয়েছে অনেক কিছুই। তবে অপূর্ণ রয়েছে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ চাওয়া। এগুলো দ্রুত পূরণের প্রত্যাশা রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. আখতারুজ্জামান। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি বলেন, ‘এটা সত্য, এখন বঙ্গবন্ধুর জীবন দর্শন ও তাঁর পরিকল্পনার আলোকে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এটা প্রত্যাশিতই। ২০৪১ সালে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার যে স্বপ্ন, এটি বাস্তবায়ন হবে যদি এই ধারা অব্যাহত থাকে। উন্নয়নের পথে বাধা হিসেবে দুর্নীতিকে উপেক্ষা করার কোনো উপায় নেই। উন্নয়নের পথে নানা বাধা-বিপত্তি রয়েছে, তবে এটি সত্য যে, এগুলোর পেছনে যখন সৎ উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য থাকে, তখন এই প্রতিবন্ধকতা উতরানো সম্ভব। বাংলাদেশ যতটুকু পথ অতিক্রম করেছে, এটিও কিন্তু বন্ধুর ছিল। সামনেও হয়তো এ ধরনের প্রতিবন্ধকতা থাকবে, কিন্তু যখন আমাদের সামনে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ থাকবে, তখন এসব অতিক্রম করা কঠিন কিছু হবে না।’
পক্ষাঘাতগ্রস্ত পুনর্বাসন কেন্দ্র নামে একটি সংগঠনের পক্ষ থেকে হুইল চেয়ারে চেপে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এসেছেন মাগুরার কাজী বিল্লাল (২৭) নামে এক তরুণ। নিজেকে হুইলচেয়ার বাস্কেটবল খেলোয়াড় দাবি করে তিনি বলেন, ‘একাত্তরের যুদ্ধটা আমরা দেখিনি, কিন্তু বইয়ের পাতা থেকে ইতিহাস জেনেছি। সেই উপলব্ধিটা করতে পারি। ওই সময় কতটা করুণ অবস্থা ছিল! নিরস্ত্র বাঙালি মনোবল সম্বল করে বাংলাদেশকে স্বাধীন করার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। বাধা-প্রতিকূলতার মধ্যে আমরা কেন পারব না। আমরা অনুপ্রেরণা পাই। আমরাও দেশের স্বাধীনতা রক্ষা করার প্রচেষ্টা নিয়েই এখানে আসি। এখানে এলে আমাদের আত্মবিশ্বাসের মাত্রা বেড়ে যায়।’
মাগুরা সরকারি কলেজে স্নাতকের এই ছাত্র আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন অনেক এগিয়ে গেছে। এই এগিয়ে যাওয়াটা আরও ত্বরান্বিত হতে পারে যদি আমাদের মতো প্রতিবন্ধকতা সম্পন্ন মানুষকে সরকার উন্নয়নকাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত করে।’
গোপালগঞ্জ থেকে এসেছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. শাখাওয়াত হোসাইন। আট নম্বর সেক্টরে যুদ্ধ করা এই সূর্যসন্তান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যাঁর ডাকে আমরা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলাম তিনি আর আমাদের মাঝে নাই। মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আমি চাইব দেশটা যেন পূর্ণ মুজিব আদর্শেই চলে। যেসব লক্ষ্য, উদ্দেশ্য আর চাওয়া নিয়ে আমরা যুদ্ধে গিয়েছিলাম সেগুলোর ৭৫ ভাগ পূরণ হয়েছে পঞ্চাশ বছরে এসে। আশা রাখি, বাকি ২৫ ভাগও পূরণ হয়ে যাবে খুব দ্রুতই।’
শ্রদ্ধা জানাতে আসা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অনেকে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা আর দুর্নীতি নিয়ে আক্ষেপ করেছেন। স্বাধীনতার পর একটা সুন্দর দেশ দেখার প্রত্যাশা থাকলেও দুর্নীতি সেখানে বড় একটা বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে মনে করেন যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা উসমান গণি ফরাজি। সরকারের পক্ষ থেকে এই সমস্যা সমাধানে নির্দেশনা থাকলেও সেটা মানা হচ্ছে না। এই ব্যাপারটার সমাধান করা খুব জরুরি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা আর দুর্নীতি বন্ধ করতে পারলেই স্বাধীনতার সবটুকু স্বাদ পাওয়া যাবে।’
উসমান গণি বলেন, ‘ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা অনেক বেড়ে গেছে। এ ব্যাপারে সরকারের পদক্ষেপ জরুরি। আমরা জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করেছি, পায়ে গুলি খেয়েছি। আর এখন যুদ্ধ না করেই অনেকে মুক্তিযোদ্ধা হয়ে যাচ্ছে, এটা খুবই কষ্টের।’
শ্রদ্ধা জানাতে আসা মানুষের সঙ্গে কথার ফাঁকে উঠে আসে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি, নারী ও শিশুদের নিরাপত্তা ও সুলভে চিকিৎসা সেবা পাওয়ার মতো বিষয়গুলো। দেশ যেন নারীদের জন্য সুরক্ষিত হয় এমন প্রত্যাশা জানান শ্যামলী নার্সিং কলেজের শিক্ষার্থী সুমাইয়া জাহান। তিনি বলেন, ‘শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এসেছি। আমাদের প্রত্যাশা হলো আমরা যে স্বাধীন দেশ পেয়েছি, এটা যেন আসলেই স্বাধীন থাকে। সেখানে যেন আমরা নিরাপদে চলাচল করতে পারি। বিশেষ করে নারীরা আমরা এখনো স্বাধীন না। আমরা যেন আমাদের স্বাধীনতা সম্পূর্ণ অর্জন করতে পারি এটাই আমাদের প্রত্যাশা।’
সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানাতে আসেন। এসব মানুষ যেমন প্রাপ্তির তৃপ্তির কথা জানিয়েছেন, তেমনি আছে প্রত্যাশাও। দিনভর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে আবৃত্তি, দেশের গান, বাউল গান ও চিত্রকর্ম প্রদর্শনীসহ নানা আয়োজন ছিল সাভার স্মৃতিসৌধে।
ঢাকা-দিল্লি পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ও শেখ হাসিনার প্রত্যার্পণ নিয়ে আলোচনা হতে পারে। ভারত ও বাংলাদেশের কূটনৈতিক সিদ্ধান্ত আঞ্চলিক রাজনীতি ও মানবাধিকারের ওপর প্রভাব ফেলবে।
২ মিনিট আগেনবনিযুক্ত মহাপরিদর্শক বাহারুল আলম বলেছেন, ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে দায়ের করা মামলাগুলো যথাযথভাবে তদন্ত করতে হবে। কোনো নিরীহ মানুষকে হয়রানি করা যাবে না। নিরীহ কারও নামে মামলা হলেও যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তা প্রত্যাহারের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
১ ঘণ্টা আগেশিক্ষার্থীদের বিতর্কিত করার পরিকল্পনার বিষয়ে তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামের উদ্বেগ। সরকারি বিজ্ঞান কলেজে এক অনুষ্ঠানে জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের শিক্ষা, আন্দোলনের সুফল এবং তরুণ প্রজন্মের ভূমিকা নিয়ে বক্তব্য।
১ ঘণ্টা আগেরোহিঙ্গাদের নিয়ে মিয়ানমারের সঙ্গে চলমান সংকট ঝুলে রয়েছে বছরের পর বছর। সীমান্ত অতিক্রম করে মিয়ানমারের এই নাগরিকদের বাংলাদেশে ঢোকা থামানো যাচ্ছে না কোনোভাবেই। এই অবস্থায় রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি সামরিক সক্ষমতা বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছেন বিশ্লেষকেরা।
১ ঘণ্টা আগে