নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সংবিধানবিরোধী কোনো নিয়ম জারি করে জনগণের অধিকারের আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না জানিয়ে সরকারের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি। তিনি সরকারের উদ্দেশে বলেন, ‘কোনো দমন-পীড়ন এই লড়াইকে থামাতে পারবে না। আপনাদের যদি সাহস থাকে ঠেকান। আমরা রাস্তায় নামব।’
আজ মঙ্গলবার দুপুরে সভা-সমাবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদে ও এক দফা দাবিতে দেশব্যাপী হরতালের সমর্থনে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গণতন্ত্র মঞ্চ আয়োজিত সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘এই দেশ লাখ লাখ মানুষ রক্ত দিয়ে তৈরি করেছে। এই দেশে জনগণের কর্তৃত্ব ফিরিয়ে আনতে হবে। আর সেটা করতে গেলে এই সরকারকে ক্ষমতা থেকে বিদায় দিয়ে একটা সুষ্ঠু অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করতে হবে। এই রাষ্ট্রব্যবস্থা, এই ফ্যাসিস্ট কর্তৃত্ববাদী ব্যবস্থা বদল করে, বাংলাদেশে একটা নতুন গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক বন্দোবস্ত করতে হবে। এর জন্য গণতন্ত্র মঞ্চ লড়াই করছে। বাংলাদেশের কোটি কোটি মানুষের আকাঙ্ক্ষা গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ, ভোটের অধিকার, ন্যায়বিচার, মানবিক মর্যাদা, সুযোগের সমতা; সেই লড়াই চলবে। কোনো শক্তি, কোনো দমন-পীড়ন এই লড়াইকে থামাতে পারবে না। আপনাদের যদি সাহস থাকে, ঠেকান। আমরা রাস্তায় নামব।’
তিনি আরও বলেন, এই নির্বাচন তামাশার, দেশের নাগরিক এবং দেশের বিরুদ্ধে। সরকার নির্বাচন কমিশনের ঘাড়ে বন্দুক রেখে তাদেরকে দিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছে যে মিটিং মিছিল বন্ধ করতে হবে। মানুষের কণ্ঠ রোধ করতে হবে। এটা হচ্ছে সরকারের পাঁয়তারা।
ট্রেনে আগুন দেওয়া প্রসঙ্গে সাকি বলেন, ‘আজকে সকালে আমরা দেখলাম-তেজগাঁওতে চলন্ত ট্রেনে আগুন দেওয়া হয়েছে। সেখানে আগুনে পুড়ে বেশ কয়েকজন মানুষ হতাহত হয়েছেন। আমরা পরিষ্কার করে বলতে চাই, এই রকম নাশকতার সঙ্গে চলমান আন্দোলনের কোনো সম্পর্ক নাই। এরা (সরকার) নাশকতা করে আন্দোলনকে কালিমালিপ্ত করতে চায়। আন্দোলনের ওপর ক্র্যাক ডাউন করতে চায়।’
তিনি বলেন, ‘সরকারের কৃষিমন্ত্রী ঠান্ডা মাথায় টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে বলেছেন তাঁরা ভেবেচিন্তে পরিকল্পিতভাবে বিএনপিসহ বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের জেলে রেখেছেন। তাঁদেরকে জেলে না রাখলে নাকি এখন যে হরতাল অবরোধে গাড়ি চলে, সেটা নাকি চলত না।’
সমাবেশে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন একটা পরিপত্র দিয়েছে। আর সেটাকে ধরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সভা-সমাবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এই নিষেধাজ্ঞা পুরোপুরি বেআইনি একটি নিষেধাজ্ঞা। এটা সংবিধানবহির্ভূত একটা নিষেধাজ্ঞা। তাদের যেমন ভোট চাওয়ার অধিকার আছে, পাশাপাশি আমরা যাঁরা এটাকে প্রহসনের নির্বাচন মনে করছি, তাঁদেরও এই নির্বাচনের বিরোধিতা করার নাগরিক অধিকার আছে। নির্বাচন কমিশন এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কোনো ধরনের প্রজ্ঞাপন জারি করে বা বিধিনিষেধ দিয়ে মুক্তিকামী মানুষের এই অধিকার বন্ধ করতে পারবে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘এ দেশে আরব বসন্ত নয়, হবে বাংলার বসন্ত। এই বাংলা বসন্তের জন্য মানুষ এবার তৈরি হচ্ছে। মানুষের পুঞ্জীভূত ক্ষোভের কারণে লাখ লাখ মানুষ রাজপথে নেমে আসবে। বাংলাদেশের ভাগ্য বাংলাদেশের মানুষই নির্ধারণ করবে।’
সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল্লাহ কায়সার, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন প্রমুখ।
সংবিধানবিরোধী কোনো নিয়ম জারি করে জনগণের অধিকারের আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না জানিয়ে সরকারের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি। তিনি সরকারের উদ্দেশে বলেন, ‘কোনো দমন-পীড়ন এই লড়াইকে থামাতে পারবে না। আপনাদের যদি সাহস থাকে ঠেকান। আমরা রাস্তায় নামব।’
আজ মঙ্গলবার দুপুরে সভা-সমাবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদে ও এক দফা দাবিতে দেশব্যাপী হরতালের সমর্থনে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গণতন্ত্র মঞ্চ আয়োজিত সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘এই দেশ লাখ লাখ মানুষ রক্ত দিয়ে তৈরি করেছে। এই দেশে জনগণের কর্তৃত্ব ফিরিয়ে আনতে হবে। আর সেটা করতে গেলে এই সরকারকে ক্ষমতা থেকে বিদায় দিয়ে একটা সুষ্ঠু অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করতে হবে। এই রাষ্ট্রব্যবস্থা, এই ফ্যাসিস্ট কর্তৃত্ববাদী ব্যবস্থা বদল করে, বাংলাদেশে একটা নতুন গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক বন্দোবস্ত করতে হবে। এর জন্য গণতন্ত্র মঞ্চ লড়াই করছে। বাংলাদেশের কোটি কোটি মানুষের আকাঙ্ক্ষা গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ, ভোটের অধিকার, ন্যায়বিচার, মানবিক মর্যাদা, সুযোগের সমতা; সেই লড়াই চলবে। কোনো শক্তি, কোনো দমন-পীড়ন এই লড়াইকে থামাতে পারবে না। আপনাদের যদি সাহস থাকে, ঠেকান। আমরা রাস্তায় নামব।’
তিনি আরও বলেন, এই নির্বাচন তামাশার, দেশের নাগরিক এবং দেশের বিরুদ্ধে। সরকার নির্বাচন কমিশনের ঘাড়ে বন্দুক রেখে তাদেরকে দিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছে যে মিটিং মিছিল বন্ধ করতে হবে। মানুষের কণ্ঠ রোধ করতে হবে। এটা হচ্ছে সরকারের পাঁয়তারা।
ট্রেনে আগুন দেওয়া প্রসঙ্গে সাকি বলেন, ‘আজকে সকালে আমরা দেখলাম-তেজগাঁওতে চলন্ত ট্রেনে আগুন দেওয়া হয়েছে। সেখানে আগুনে পুড়ে বেশ কয়েকজন মানুষ হতাহত হয়েছেন। আমরা পরিষ্কার করে বলতে চাই, এই রকম নাশকতার সঙ্গে চলমান আন্দোলনের কোনো সম্পর্ক নাই। এরা (সরকার) নাশকতা করে আন্দোলনকে কালিমালিপ্ত করতে চায়। আন্দোলনের ওপর ক্র্যাক ডাউন করতে চায়।’
তিনি বলেন, ‘সরকারের কৃষিমন্ত্রী ঠান্ডা মাথায় টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে বলেছেন তাঁরা ভেবেচিন্তে পরিকল্পিতভাবে বিএনপিসহ বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের জেলে রেখেছেন। তাঁদেরকে জেলে না রাখলে নাকি এখন যে হরতাল অবরোধে গাড়ি চলে, সেটা নাকি চলত না।’
সমাবেশে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন একটা পরিপত্র দিয়েছে। আর সেটাকে ধরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সভা-সমাবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এই নিষেধাজ্ঞা পুরোপুরি বেআইনি একটি নিষেধাজ্ঞা। এটা সংবিধানবহির্ভূত একটা নিষেধাজ্ঞা। তাদের যেমন ভোট চাওয়ার অধিকার আছে, পাশাপাশি আমরা যাঁরা এটাকে প্রহসনের নির্বাচন মনে করছি, তাঁদেরও এই নির্বাচনের বিরোধিতা করার নাগরিক অধিকার আছে। নির্বাচন কমিশন এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কোনো ধরনের প্রজ্ঞাপন জারি করে বা বিধিনিষেধ দিয়ে মুক্তিকামী মানুষের এই অধিকার বন্ধ করতে পারবে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘এ দেশে আরব বসন্ত নয়, হবে বাংলার বসন্ত। এই বাংলা বসন্তের জন্য মানুষ এবার তৈরি হচ্ছে। মানুষের পুঞ্জীভূত ক্ষোভের কারণে লাখ লাখ মানুষ রাজপথে নেমে আসবে। বাংলাদেশের ভাগ্য বাংলাদেশের মানুষই নির্ধারণ করবে।’
সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল্লাহ কায়সার, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন প্রমুখ।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে ঢাকা সেনানিবাসে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। দীর্ঘ এক যুগ পর গুরুত্বপূর্ণ এ দিবসের কর্মসূচিতে তাঁর অংশগ্রহণকে রাজনীতির জন্য ইতিবাচক ঘটনা বলে মনে করছেন বিশ্লেষক ও রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা
৪ ঘণ্টা আগেমানবমুক্তির মহান সংগ্রামে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত কমরেড হেনা দাস অবিচল ছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক কমরেড রুহিন হোসেন প্রিন্স। তিনি বলেন, ‘বঞ্চিত-নিপীড়িত মানুষের মুক্তির সংগ্রামে কমরেড হেনা দাস ছিলেন অগ্রসৈনিক।’
১৫ ঘণ্টা আগেসবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে শত্রুতা নয়—নীতি অনুসরণ করে ভারতসহ প্রতিবেশী সব রাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চায় বলে জানিয়েছেন দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান। আজ শুক্রবার (২২ নভেম্বর) ভারতের আনন্দবাজার পত্রিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।
১৭ ঘণ্টা আগেকঠিন সময়ে দলের প্রতি নেতা–কর্মীদের একাগ্রতা ও ত্যাগ আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বড় শক্তি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সক্রিয় থাকুন, আমাদের পেজ থেকে প্রকাশিত প্রতিটি বার্তা ছড়িয়ে দিন। সে জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সক্রিয় থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
১৯ ঘণ্টা আগে