নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সংবিধান ও রাষ্ট্রব্যবস্থার গণতান্ত্রিক সংস্কারের মাধ্যমে জনগণের অর্থনৈতিক মুক্তি, ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য ৩১ দফা রূপরেখা এবং যুগপৎ ধারায় বৃহত্তর গণ-আন্দোলনের এক দফার যৌথ ঘোষণা করে ১৮ ও ১৯ জুলাই দুই দিনব্যাপী পদযাত্রা কর্মসূচি ঘোষণা করেছে গণতন্ত্র মঞ্চ।
আজ বুধবার বিকেলে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে গণতন্ত্র মঞ্চ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পদযাত্রা কর্মসূচি ঘোষণা করেন রাজনৈতিক জোটটির সমন্বয়ক সাইফুল হক।
সংবাদ সম্মেলনে সাইফুল হক বলেন, ‘এক দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আগামী ১৮ জুলাই ঢাকা মহানগরীসহ সারা দেশে মহানগরী ও জেলা পর্যায়ে পদযাত্রা। ঢাকা মহানগরীতে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত গাবতলী হতে যাত্রাবাড়ী পর্যন্ত এবং ১৯ জুলাই বুধবার সকাল ১০টা হতে বিকেল ৪টা উত্তরার আবদুল্লাহপুর হতে পুরান ঢাকার বাহাদুর শাহ পার্ক পর্যন্ত পদযাত্রা করা হবে।’
যুগপৎ ধারায় বৃহত্তর গণ-আন্দোলনের এক দফার যৌথ ঘোষণায় সাইফুল হক বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণের ভোটাধিকার হরণকারী বর্তমান ফ্যাসিবাদী, কর্তৃত্ববাদী সরকারের পদত্যাগ ও বিদ্যমান অবৈধ সংসদের বিলুপ্তি; নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার গঠন ও নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করে তার অধীনে অবাধ, নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের ব্যবস্থা; বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ সব রাজবন্দীর মুক্তি, মিথ্যা-গায়েবি মামলা প্রত্যাহার, ফরমায়েশি সাজা বাতিল এবং সংবিধান ও রাষ্ট্রব্যবস্থার গণতান্ত্রিক সংস্কারের মাধ্যমে জনগণের অর্থনৈতিক মুক্তি, ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার এক দফা দাবিতে রাজপথে সক্রিয় বিরোধী রাজনৈতিক জোট ও দলগুলো যুগপৎ ধারায় ঐক্যবদ্ধ বৃহত্তর গণ-আন্দোলন গড়ে তোলা ও সফল করার ঘোষণা প্রদান করছি।’
এ সময় তিনি যুগপৎ ধারার বাইরে থাকা অন্য দলগুলোকে যুগপৎ আন্দোলনে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘আন্দোলনের এই যৌথ ঘোষণার পর দেশব্যাপী রাজপথে গণঐক্য-গণসংগ্রাম আরও শক্তিশালী হবে এবং অচিরেই সরকারকে আমরা পদত্যাগে বাধ্য করব। আমরা যুগপৎ আন্দোলনের বাইরে থাকা সব প্রগতিশীল, গণতান্ত্রিক ও দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক দল, সংগঠনকে নিজেদের অবস্থান থেকে এই আন্দোলনে যুক্ত হওয়ার উদাত্ত আহ্বান জানাই।’
সংবাদ সম্মেলনে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে হলে গণতন্ত্র প্রয়োজন। বর্তমান সরকার সংবিধান এমন পরিবর্তন করেছে, যেখানে আর কখনোই দেশের মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা হবে না। এই ভোটাধিকারের প্রশ্ন এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন।’
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আব্দুর রব বলেন, ‘জনগণের সমর্থন ছাড়া কেউ ক্ষমতায় থাকতে পারে না। এখন তারা শান্তির নামে অশান্তি সৃষ্টি করছে। আপনাদের বিদায় করা হবে। এর আর কোনো বিকল্প নাই।’
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘সরকার বলেছে, জনগণের সম্পৃক্ততা নেই। আজকের আন্দোলন দেখেও কি তারা এ কথা বলবে? আমরা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে জনগণকে আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত করছি। এরপর গরম কর্মসূচি বলেন বা কার্যকর কর্মসূচি বলেন—সেটা আমরা দেব, যাতে সরকার মাথা নোয়াতে বাধ্য হয়।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম প্রমুখ।
সংবিধান ও রাষ্ট্রব্যবস্থার গণতান্ত্রিক সংস্কারের মাধ্যমে জনগণের অর্থনৈতিক মুক্তি, ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য ৩১ দফা রূপরেখা এবং যুগপৎ ধারায় বৃহত্তর গণ-আন্দোলনের এক দফার যৌথ ঘোষণা করে ১৮ ও ১৯ জুলাই দুই দিনব্যাপী পদযাত্রা কর্মসূচি ঘোষণা করেছে গণতন্ত্র মঞ্চ।
আজ বুধবার বিকেলে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে গণতন্ত্র মঞ্চ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পদযাত্রা কর্মসূচি ঘোষণা করেন রাজনৈতিক জোটটির সমন্বয়ক সাইফুল হক।
সংবাদ সম্মেলনে সাইফুল হক বলেন, ‘এক দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আগামী ১৮ জুলাই ঢাকা মহানগরীসহ সারা দেশে মহানগরী ও জেলা পর্যায়ে পদযাত্রা। ঢাকা মহানগরীতে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত গাবতলী হতে যাত্রাবাড়ী পর্যন্ত এবং ১৯ জুলাই বুধবার সকাল ১০টা হতে বিকেল ৪টা উত্তরার আবদুল্লাহপুর হতে পুরান ঢাকার বাহাদুর শাহ পার্ক পর্যন্ত পদযাত্রা করা হবে।’
যুগপৎ ধারায় বৃহত্তর গণ-আন্দোলনের এক দফার যৌথ ঘোষণায় সাইফুল হক বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণের ভোটাধিকার হরণকারী বর্তমান ফ্যাসিবাদী, কর্তৃত্ববাদী সরকারের পদত্যাগ ও বিদ্যমান অবৈধ সংসদের বিলুপ্তি; নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার গঠন ও নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করে তার অধীনে অবাধ, নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের ব্যবস্থা; বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ সব রাজবন্দীর মুক্তি, মিথ্যা-গায়েবি মামলা প্রত্যাহার, ফরমায়েশি সাজা বাতিল এবং সংবিধান ও রাষ্ট্রব্যবস্থার গণতান্ত্রিক সংস্কারের মাধ্যমে জনগণের অর্থনৈতিক মুক্তি, ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার এক দফা দাবিতে রাজপথে সক্রিয় বিরোধী রাজনৈতিক জোট ও দলগুলো যুগপৎ ধারায় ঐক্যবদ্ধ বৃহত্তর গণ-আন্দোলন গড়ে তোলা ও সফল করার ঘোষণা প্রদান করছি।’
এ সময় তিনি যুগপৎ ধারার বাইরে থাকা অন্য দলগুলোকে যুগপৎ আন্দোলনে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘আন্দোলনের এই যৌথ ঘোষণার পর দেশব্যাপী রাজপথে গণঐক্য-গণসংগ্রাম আরও শক্তিশালী হবে এবং অচিরেই সরকারকে আমরা পদত্যাগে বাধ্য করব। আমরা যুগপৎ আন্দোলনের বাইরে থাকা সব প্রগতিশীল, গণতান্ত্রিক ও দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক দল, সংগঠনকে নিজেদের অবস্থান থেকে এই আন্দোলনে যুক্ত হওয়ার উদাত্ত আহ্বান জানাই।’
সংবাদ সম্মেলনে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে হলে গণতন্ত্র প্রয়োজন। বর্তমান সরকার সংবিধান এমন পরিবর্তন করেছে, যেখানে আর কখনোই দেশের মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা হবে না। এই ভোটাধিকারের প্রশ্ন এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন।’
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আব্দুর রব বলেন, ‘জনগণের সমর্থন ছাড়া কেউ ক্ষমতায় থাকতে পারে না। এখন তারা শান্তির নামে অশান্তি সৃষ্টি করছে। আপনাদের বিদায় করা হবে। এর আর কোনো বিকল্প নাই।’
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘সরকার বলেছে, জনগণের সম্পৃক্ততা নেই। আজকের আন্দোলন দেখেও কি তারা এ কথা বলবে? আমরা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে জনগণকে আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত করছি। এরপর গরম কর্মসূচি বলেন বা কার্যকর কর্মসূচি বলেন—সেটা আমরা দেব, যাতে সরকার মাথা নোয়াতে বাধ্য হয়।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম প্রমুখ।
নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত বলতে তারা কী বোঝাচ্ছে? তাদের এই ধারণা স্পষ্ট করা উচিত। আমি জানতে চাই, তাদের নতুন রাজনৈতিক মীমাংসা আসলে কী? আমি এ বিষয়ে কোথাও কিছু লেখা নথিভুক্ত পাইনি। তাদের প্রস্তাব কী, সেটা স্পষ্ট নয়। আমাদের যে ধরনের রাজনীতি আমরা কল্পনা করি, তা আমাদের সংবিধানে স্পষ্টভাবে নথিভুক্ত।
৫ ঘণ্টা আগেছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে ঢাকা সেনানিবাসে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। দীর্ঘ এক যুগ পর গুরুত্বপূর্ণ এ দিবসের কর্মসূচিতে তাঁর অংশগ্রহণকে রাজনীতির জন্য ইতিবাচক ঘটনা বলে মনে করছেন বিশ্লেষক ও রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা
৯ ঘণ্টা আগেমানবমুক্তির মহান সংগ্রামে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত কমরেড হেনা দাস অবিচল ছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক কমরেড রুহিন হোসেন প্রিন্স। তিনি বলেন, ‘বঞ্চিত-নিপীড়িত মানুষের মুক্তির সংগ্রামে কমরেড হেনা দাস ছিলেন অগ্রসৈনিক।’
২০ ঘণ্টা আগেসবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে শত্রুতা নয়—নীতি অনুসরণ করে ভারতসহ প্রতিবেশী সব রাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চায় বলে জানিয়েছেন দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান। আজ শুক্রবার (২২ নভেম্বর) ভারতের আনন্দবাজার পত্রিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।
১ দিন আগে