নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আওয়ামী লীগের জনপ্রতিনিধিদের সতর্ক করে দিয়ে দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘যারা যেখানে অপকর্ম করছেন, সব তথ্য কিন্তু নেত্রীর কাছে আছে। সবার এসিআর আছে। সময়মতো টের পাবেন। কেউ কেউ টের পাচ্ছেন, বাকিরা সামনে পাবেন।’
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় মিলনায়তনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে স্বেচ্ছাসেবক লীগ আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।
কিছু কিছু জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়ে সংশ্লিষ্ট এলাকায় জমিদারি করছেন উল্লেখ করে কাদের বলেন, ‘আপনাদের শেখ হাসিনা সেটা কোনো দিনই ক্ষমা করবেন না। জনপ্রতিনিধি জমিদারি মানসিকতা নিয়ে শেখ হাসিনার দলে থাকতে পারে না, বঙ্গবন্ধুর দলে থাকতে পারে না।’
সংগঠনের যারাই অপকর্ম করে সরকারকে বিব্রত করছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আপনাদের কাছে অনুরোধ রইল, এত অর্জন, উন্নয়ন শেখ হাসিনার; দু-চারজনের অপকর্মের জন্য যেন ম্লান না হয়।’ সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের পরিচয় দিয়ে অপকর্ম করলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না জানিয়ে তিনি বলেন, ‘কোনো অপরাধীকে আওয়ামী লীগ ছাড় দেবে না। অপকর্মকারীদের জন্য সাফল্য ম্লান হতে পারে না। দোষ করে গুটিকয়েক, দোষ হয় পুরো সরকারের—এটা আমরা হতে দেব না।’
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি থেকে সরে এসে নির্বাচনে আসতে বিএনপির প্রতি আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘তারা (বিএনপি) বিভাগীয় সমাবেশ করবে; আবার ডিসেম্বরে অবরোধ। এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেছেন, “আগের অবরোধ তোলে নাই, এখন আবার অবরোধ! ” আমি বললাম, আগের অবরোধ প্রত্যাহার না করে নতুন করে আবার অবরোধ কেন—এটা (মির্জা) ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে প্রশ্ন করেন। তিনি কেন এটা করবেন? কেন এটা করতে যাচ্ছেন?’
বক্তব্যে বিএনপি মহাসচিবকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ভূত মাথা থেকে নামানোর পরামর্শ দেন কাদের। তিনি বলেন, ‘সোজা কথা, সোজা পথে আসুন। নির্বাচনে আসুন। পৃথিবীর অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশের মতো বাংলাদেশেও নির্বাচন হবে। নির্বাচনের সময় সরকার রুটিন দায়িত্ব পালন করবে। আর আইন প্রয়োগকারী সব সংস্থা নির্বাচন কমিশনের অধীনে থাকবে। সরকার না থাকলে কারা চালাবে দেশ? আপনাদের হাতে দেব?’
বিএনপির আন্দোলনের হুঁশিয়ারিকে উড়িয়ে দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘কত গণ-আন্দোলন করলেন, ঘন ঘন বললেন। এখন বলছেন গণ আন্দোলন করবেন। ১৩ বছর চলে গেল দেখতে দেখতে। ১৩ বছর চলে গেল রোজার ঈদ, কোরবানির ঈদ, পরীক্ষার পর, বর্ষার পর...এই এত বছরে কতবার যে আন্দোলনের ডাক (এল)। দেখতে দেখতে ১৩ বছর; আন্দোলন হবে কোন বছর? মাঠে আসেন। লাঠি নিয়ে আসলে খবর আছে। জাতীয় পতাকার সঙ্গে লাঠি, এটা আমরা মেনে নিতে পারব না। বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অবমাননা আমরা মেনে নেব না। আওয়ামী লীগ সতর্ক অবস্থায় আছে, সক্রিয় আছে। সতর্ক অবস্থায় সংযমী হয়ে আমরা থাকব, রাজপথে ছিলাম, আছি। আন্দোলনের ভয় আওয়ামী লীগকে দেখাবেন না।’
স্বেচ্ছাসেবক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গাজি মেজবাউল হোসেন সাচ্চুর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব লাকী ইনাম, বিশিষ্ট শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য সাইফুদ্দিন আহমেদ।
আওয়ামী লীগের জনপ্রতিনিধিদের সতর্ক করে দিয়ে দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘যারা যেখানে অপকর্ম করছেন, সব তথ্য কিন্তু নেত্রীর কাছে আছে। সবার এসিআর আছে। সময়মতো টের পাবেন। কেউ কেউ টের পাচ্ছেন, বাকিরা সামনে পাবেন।’
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় মিলনায়তনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে স্বেচ্ছাসেবক লীগ আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।
কিছু কিছু জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়ে সংশ্লিষ্ট এলাকায় জমিদারি করছেন উল্লেখ করে কাদের বলেন, ‘আপনাদের শেখ হাসিনা সেটা কোনো দিনই ক্ষমা করবেন না। জনপ্রতিনিধি জমিদারি মানসিকতা নিয়ে শেখ হাসিনার দলে থাকতে পারে না, বঙ্গবন্ধুর দলে থাকতে পারে না।’
সংগঠনের যারাই অপকর্ম করে সরকারকে বিব্রত করছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আপনাদের কাছে অনুরোধ রইল, এত অর্জন, উন্নয়ন শেখ হাসিনার; দু-চারজনের অপকর্মের জন্য যেন ম্লান না হয়।’ সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের পরিচয় দিয়ে অপকর্ম করলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না জানিয়ে তিনি বলেন, ‘কোনো অপরাধীকে আওয়ামী লীগ ছাড় দেবে না। অপকর্মকারীদের জন্য সাফল্য ম্লান হতে পারে না। দোষ করে গুটিকয়েক, দোষ হয় পুরো সরকারের—এটা আমরা হতে দেব না।’
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি থেকে সরে এসে নির্বাচনে আসতে বিএনপির প্রতি আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘তারা (বিএনপি) বিভাগীয় সমাবেশ করবে; আবার ডিসেম্বরে অবরোধ। এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেছেন, “আগের অবরোধ তোলে নাই, এখন আবার অবরোধ! ” আমি বললাম, আগের অবরোধ প্রত্যাহার না করে নতুন করে আবার অবরোধ কেন—এটা (মির্জা) ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে প্রশ্ন করেন। তিনি কেন এটা করবেন? কেন এটা করতে যাচ্ছেন?’
বক্তব্যে বিএনপি মহাসচিবকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ভূত মাথা থেকে নামানোর পরামর্শ দেন কাদের। তিনি বলেন, ‘সোজা কথা, সোজা পথে আসুন। নির্বাচনে আসুন। পৃথিবীর অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশের মতো বাংলাদেশেও নির্বাচন হবে। নির্বাচনের সময় সরকার রুটিন দায়িত্ব পালন করবে। আর আইন প্রয়োগকারী সব সংস্থা নির্বাচন কমিশনের অধীনে থাকবে। সরকার না থাকলে কারা চালাবে দেশ? আপনাদের হাতে দেব?’
বিএনপির আন্দোলনের হুঁশিয়ারিকে উড়িয়ে দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘কত গণ-আন্দোলন করলেন, ঘন ঘন বললেন। এখন বলছেন গণ আন্দোলন করবেন। ১৩ বছর চলে গেল দেখতে দেখতে। ১৩ বছর চলে গেল রোজার ঈদ, কোরবানির ঈদ, পরীক্ষার পর, বর্ষার পর...এই এত বছরে কতবার যে আন্দোলনের ডাক (এল)। দেখতে দেখতে ১৩ বছর; আন্দোলন হবে কোন বছর? মাঠে আসেন। লাঠি নিয়ে আসলে খবর আছে। জাতীয় পতাকার সঙ্গে লাঠি, এটা আমরা মেনে নিতে পারব না। বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অবমাননা আমরা মেনে নেব না। আওয়ামী লীগ সতর্ক অবস্থায় আছে, সক্রিয় আছে। সতর্ক অবস্থায় সংযমী হয়ে আমরা থাকব, রাজপথে ছিলাম, আছি। আন্দোলনের ভয় আওয়ামী লীগকে দেখাবেন না।’
স্বেচ্ছাসেবক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গাজি মেজবাউল হোসেন সাচ্চুর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব লাকী ইনাম, বিশিষ্ট শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য সাইফুদ্দিন আহমেদ।
ড. কামাল হোসেন আর গণফোরামের সঙ্গে যুক্ত নন এবং তিনি রাজনীতি থেকে অবসর নিয়েছেন—বলে জানিয়েছেন নিজেকে গণফোরামের সভাপতি দাবি করা এবং সাবেক সংসদ সদস্য মফিজুল ইসলাম খান কামাল।
৭ ঘণ্টা আগেনতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত বলতে তারা কী বোঝাচ্ছে? তাদের এই ধারণা স্পষ্ট করা উচিত। আমি জানতে চাই, তাদের নতুন রাজনৈতিক মীমাংসা আসলে কী? আমি এ বিষয়ে কোথাও কিছু লেখা নথিভুক্ত পাইনি। তাদের প্রস্তাব কী, সেটা স্পষ্ট নয়। আমাদের যে ধরনের রাজনীতি আমরা কল্পনা করি, তা আমাদের সংবিধানে স্পষ্টভাবে নথিভুক্ত।
১৭ ঘণ্টা আগেছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে ঢাকা সেনানিবাসে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। দীর্ঘ এক যুগ পর গুরুত্বপূর্ণ এ দিবসের কর্মসূচিতে তাঁর অংশগ্রহণকে রাজনীতির জন্য ইতিবাচক ঘটনা বলে মনে করছেন বিশ্লেষক ও রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা
২১ ঘণ্টা আগেমানবমুক্তির মহান সংগ্রামে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত কমরেড হেনা দাস অবিচল ছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক কমরেড রুহিন হোসেন প্রিন্স। তিনি বলেন, ‘বঞ্চিত-নিপীড়িত মানুষের মুক্তির সংগ্রামে কমরেড হেনা দাস ছিলেন অগ্রসৈনিক।’
১ দিন আগে