নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
‘বাংলাদেশে গণতন্ত্রের অভিযাত্রা নিরবচ্ছিন্ন করার ক্ষেত্রে প্রধান প্রতিবন্ধক হচ্ছে বিএনপি। এটিই আজ গণতন্ত্র দিবসের বাস্তবতা।’ আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর কাকরাইলে তথ্য ভবন মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ আয়োজিত জনতার সরকার ইন্টারেকটিভ ওয়েব পোর্টাল janatarsarkar.gov.bd উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এসব কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘গণতান্ত্রিক অভিযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য যা কিছু আজকে বিএনপিই করছে এবং গণতান্ত্রিক রীতিনীতি ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থার ক্ষেত্রে তারাই প্রধান অন্তরায়।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটি অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র রচনার লক্ষ্যে জীবন দিয়ে এ দেশ রচনা করে গেছেন। কিন্তু আমাদের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা তখনই হোঁচট খায়, যখন ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যা করা হয়। এরপরই জিয়াউর রহমান প্রথমে খন্দকার মুশতাককে হটিয়ে এবং পরে অস্ত্র ঠেকিয়ে বিচারপতি সায়েমের স্বাক্ষর নিয়ে রাষ্ট্রপতি বনে যান। এরপর জিয়াউর রহমান ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট বিলিয়ে রাজনীতির কাকদের সমন্বয় ঘটিয়ে বিএনপি দল করেন। ক্ষমতা নিষ্কণ্টক করতে হাজার হাজার সেনাসদস্যকে নির্মমভাবে হত্যা করেন।’
‘বেগম জিয়াও কম যাননি’ উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, ‘কোটালীপাড়ায় ৭৬ কেজি বোমা হামলা, ২০০৪ সালে ঢাকার প্রাণকেন্দ্রে দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দলের কার্যালয়ের সামনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে গ্রেনেড হামলা পরিচালনা করা হয়। আওয়ামী লীগের ৫ জন সংসদ সদস্য আহত, বেগম আইভী রহমানসহ ২২ জন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী ২ জন অজ্ঞাতসহ ২৪ জন হত্যাকাণ্ডের শিকার, ৫ শতাধিক আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী আহত হয়েছিল। অন্য আহতদের মতো আমার শরীরে এখনো বহু স্প্রিন্টার আছে। ২০১৩-১৪-১৫ সালে সরকার পতনের লক্ষ্যে মানুষকে দিনের পর দিন অবরোধের নামে ঘরের মধ্যে অবরুদ্ধ করে রেখেছে এবং পেট্রলবোমা নিক্ষেপ করে শত শত মানুষকে হত্যা করেছে, হাজার হাজার মানুষকে আগুনে ঝলসে দিয়েছে।’
তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘যারা এইভাবে অস্ত্র উঁচিয়ে ক্ষমতা দখল করে, ক্ষমতা উচ্ছিষ্ট বিলিয়ে দল গঠন করেছিল এবং ক্ষমতাকে নিষ্কণ্টক করার জন্য হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করেছিল, আওয়ামী লীগের হাজার হাজার কর্মীকে হত্যা করেছিল, সেই বিএনপি আজ গণতন্ত্রের কথা বলে বিশ্ব গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে বিবৃতি দেয় যা হাস্যকর। বিএনপির ২২ দলীয় ঐক্যজোটের মধ্যে তালেবানরাও আছে। যে আফগানিস্তানে মতপ্রকাশের কারণে শিরশ্ছেদ করা হয়, সেই ভাবধারার রাজনীতির দলগুলোকে এবং সাথে রেখেছে জামায়াতে ইসলামীকে, যারা দেশটাই চায়নি। সুতরাং তারাই হচ্ছে আজকের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থার প্রধান অন্তরায়।’
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘জনতার সরকার সিটিজেন ইনটারেক্টিভ ওয়েব পোর্টাল দেশের সাধারণ জনগণ ও সরকারের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করবে।’ ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গণমুখী দৃষ্টিভঙ্গি বাস্তবায়নে গণতান্ত্রিক চর্চাকে বিকশিত করে উন্নত গণতন্ত্র নিশ্চিত করতে এটি তৈরি করা হয়েছে উল্লেখ করে পলক বলেন, ‘এর মাধ্যমে জনগণ গঠনমূলক সমালোচনা বা পরামর্শ কিংবা সুপারিশ করতে পারবে। সরকারের সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়া জানাবে যা আপাতত: প্রতি সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী বর্গ ও সচিবদের কাছে পাঠানো হবে। ইতিমধ্যেই সরকারের ১১টি মন্ত্রণালয় এই পোর্টালে যুক্ত হয়েছে। পর্যায়ক্রমে ৫৬টি মন্ত্রণালয়কে যুক্ত করে এই প্রতিবেদনটি প্রতিদিন একবার সরকারের শীর্ষ পর্যায়ে পৌঁছে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।’
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সভাপতিত্বে সংসদ সদস্য নাহিদ ইজাহার খান, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক রঞ্জিত কুমার এবং জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টি অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন। জনতার সরকার পোর্টালটি বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের অধীন ডিজিটাল লিটারেসি সেন্টারের আওতায় পরিচালিত হবে। জনতার সরকার পোর্টাল ও সরকারের ই-মেইল সেবার প্রকল্প পরিচালক সাইফুল ইসলাম, এটুআই ও ইউএনডিপি প্রতিনিধিরা অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
‘বাংলাদেশে গণতন্ত্রের অভিযাত্রা নিরবচ্ছিন্ন করার ক্ষেত্রে প্রধান প্রতিবন্ধক হচ্ছে বিএনপি। এটিই আজ গণতন্ত্র দিবসের বাস্তবতা।’ আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর কাকরাইলে তথ্য ভবন মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ আয়োজিত জনতার সরকার ইন্টারেকটিভ ওয়েব পোর্টাল janatarsarkar.gov.bd উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এসব কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘গণতান্ত্রিক অভিযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য যা কিছু আজকে বিএনপিই করছে এবং গণতান্ত্রিক রীতিনীতি ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থার ক্ষেত্রে তারাই প্রধান অন্তরায়।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটি অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র রচনার লক্ষ্যে জীবন দিয়ে এ দেশ রচনা করে গেছেন। কিন্তু আমাদের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা তখনই হোঁচট খায়, যখন ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যা করা হয়। এরপরই জিয়াউর রহমান প্রথমে খন্দকার মুশতাককে হটিয়ে এবং পরে অস্ত্র ঠেকিয়ে বিচারপতি সায়েমের স্বাক্ষর নিয়ে রাষ্ট্রপতি বনে যান। এরপর জিয়াউর রহমান ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট বিলিয়ে রাজনীতির কাকদের সমন্বয় ঘটিয়ে বিএনপি দল করেন। ক্ষমতা নিষ্কণ্টক করতে হাজার হাজার সেনাসদস্যকে নির্মমভাবে হত্যা করেন।’
‘বেগম জিয়াও কম যাননি’ উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, ‘কোটালীপাড়ায় ৭৬ কেজি বোমা হামলা, ২০০৪ সালে ঢাকার প্রাণকেন্দ্রে দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দলের কার্যালয়ের সামনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে গ্রেনেড হামলা পরিচালনা করা হয়। আওয়ামী লীগের ৫ জন সংসদ সদস্য আহত, বেগম আইভী রহমানসহ ২২ জন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী ২ জন অজ্ঞাতসহ ২৪ জন হত্যাকাণ্ডের শিকার, ৫ শতাধিক আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী আহত হয়েছিল। অন্য আহতদের মতো আমার শরীরে এখনো বহু স্প্রিন্টার আছে। ২০১৩-১৪-১৫ সালে সরকার পতনের লক্ষ্যে মানুষকে দিনের পর দিন অবরোধের নামে ঘরের মধ্যে অবরুদ্ধ করে রেখেছে এবং পেট্রলবোমা নিক্ষেপ করে শত শত মানুষকে হত্যা করেছে, হাজার হাজার মানুষকে আগুনে ঝলসে দিয়েছে।’
তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘যারা এইভাবে অস্ত্র উঁচিয়ে ক্ষমতা দখল করে, ক্ষমতা উচ্ছিষ্ট বিলিয়ে দল গঠন করেছিল এবং ক্ষমতাকে নিষ্কণ্টক করার জন্য হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করেছিল, আওয়ামী লীগের হাজার হাজার কর্মীকে হত্যা করেছিল, সেই বিএনপি আজ গণতন্ত্রের কথা বলে বিশ্ব গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে বিবৃতি দেয় যা হাস্যকর। বিএনপির ২২ দলীয় ঐক্যজোটের মধ্যে তালেবানরাও আছে। যে আফগানিস্তানে মতপ্রকাশের কারণে শিরশ্ছেদ করা হয়, সেই ভাবধারার রাজনীতির দলগুলোকে এবং সাথে রেখেছে জামায়াতে ইসলামীকে, যারা দেশটাই চায়নি। সুতরাং তারাই হচ্ছে আজকের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থার প্রধান অন্তরায়।’
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘জনতার সরকার সিটিজেন ইনটারেক্টিভ ওয়েব পোর্টাল দেশের সাধারণ জনগণ ও সরকারের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করবে।’ ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গণমুখী দৃষ্টিভঙ্গি বাস্তবায়নে গণতান্ত্রিক চর্চাকে বিকশিত করে উন্নত গণতন্ত্র নিশ্চিত করতে এটি তৈরি করা হয়েছে উল্লেখ করে পলক বলেন, ‘এর মাধ্যমে জনগণ গঠনমূলক সমালোচনা বা পরামর্শ কিংবা সুপারিশ করতে পারবে। সরকারের সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়া জানাবে যা আপাতত: প্রতি সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী বর্গ ও সচিবদের কাছে পাঠানো হবে। ইতিমধ্যেই সরকারের ১১টি মন্ত্রণালয় এই পোর্টালে যুক্ত হয়েছে। পর্যায়ক্রমে ৫৬টি মন্ত্রণালয়কে যুক্ত করে এই প্রতিবেদনটি প্রতিদিন একবার সরকারের শীর্ষ পর্যায়ে পৌঁছে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।’
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সভাপতিত্বে সংসদ সদস্য নাহিদ ইজাহার খান, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক রঞ্জিত কুমার এবং জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টি অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন। জনতার সরকার পোর্টালটি বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের অধীন ডিজিটাল লিটারেসি সেন্টারের আওতায় পরিচালিত হবে। জনতার সরকার পোর্টাল ও সরকারের ই-মেইল সেবার প্রকল্প পরিচালক সাইফুল ইসলাম, এটুআই ও ইউএনডিপি প্রতিনিধিরা অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত বলতে তারা কী বোঝাচ্ছে? তাদের এই ধারণা স্পষ্ট করা উচিত। আমি জানতে চাই, তাদের নতুন রাজনৈতিক মীমাংসা আসলে কী? আমি এ বিষয়ে কোথাও কিছু লেখা নথিভুক্ত পাইনি। তাদের প্রস্তাব কী, সেটা স্পষ্ট নয়। আমাদের যে ধরনের রাজনীতি আমরা কল্পনা করি, তা আমাদের সংবিধানে স্পষ্টভাবে নথিভুক্ত।
৮ ঘণ্টা আগেছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে ঢাকা সেনানিবাসে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। দীর্ঘ এক যুগ পর গুরুত্বপূর্ণ এ দিবসের কর্মসূচিতে তাঁর অংশগ্রহণকে রাজনীতির জন্য ইতিবাচক ঘটনা বলে মনে করছেন বিশ্লেষক ও রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা
১১ ঘণ্টা আগেমানবমুক্তির মহান সংগ্রামে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত কমরেড হেনা দাস অবিচল ছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক কমরেড রুহিন হোসেন প্রিন্স। তিনি বলেন, ‘বঞ্চিত-নিপীড়িত মানুষের মুক্তির সংগ্রামে কমরেড হেনা দাস ছিলেন অগ্রসৈনিক।’
১ দিন আগেসবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে শত্রুতা নয়—নীতি অনুসরণ করে ভারতসহ প্রতিবেশী সব রাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চায় বলে জানিয়েছেন দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান। আজ শুক্রবার (২২ নভেম্বর) ভারতের আনন্দবাজার পত্রিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।
১ দিন আগে