নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বাংলাদেশ জামায়াতের ইসলামীর নেতারা অন্য নামে এসে শর্ত পূরণ করলে নিবন্ধন পাবে বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর। আজ বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এমন বক্তব্য দেন।
মো. আলমগীর বলেন, এটি যদি জামায়াতে ইসলামী হয়, তবে কোর্টের আদেশে দলটির নিবন্ধন বাতিল হয়েছে। এখন যদি কেউ আমাদের কাছে যদি নিবন্ধিত হতে চায়, তাকে নতুন দল হিসেবে নিবন্ধনের জন্য আবেদন করতে হবে। নতুন দল হিসেবে নিবন্ধন পেতে হলে যে যে শর্তগুলো পূরণ করা প্রয়োজন, সেগুলো পূরণ করলে নিবন্ধন পাবে। শর্ত পূরণ করতে ব্যর্থ হলে পাবে না।’
নাম পাল্টালাম কিন্তু ব্যক্তি একই থাকল, তাহলে নিবন্ধন পাবে কি—না, এই প্রশ্নের জবাবে ইসি বলেন, আমি যতটুকু জানি আদালত জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল করেছে কারণ আমাদের সংবিধান ও মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে দলের গঠনতন্ত্র সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। এ জন্য বাতিল করা হয়েছে। এখন যদি কেউ এসে আমাদের সাংবিধান ও মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ না হয়, যদি কেউ যুদ্ধাপরাধী না থাকে এবং নিবন্ধনের সব শর্ত যদি পূরণ করে, তাহলে তো আর বলতে পারছেন না যে ওই জামায়াত, এই জামায়াত এক। ওখানে (আইনে) তো বলা আছে কে কে নিবন্ধন পাবে। যেমন, কেউ যদি বিদেশের নাগরিকত্ব গ্রহণ করেন, দেখা গেল গঠনতন্ত্রে এমন একটা ধারা আছে, উদ্দেশ্য আছে; যা আমাদের সংবিধানের সঙ্গে ও মহান মুক্তিযুদ্ধের সাংঘর্ষিক, তাহলে তো পাবেন না।
এখন যদি জামায়াতের কেউ এসে অন্য নামে নিবন্ধন চায় তাহলে পাবেন কি—না, এই প্রশ্নের জবাবে সাবেক এই ইসি সচিব বলেন, ‘দেখতে হবে উনি যুদ্ধাপরাধী ছিলেন কিনা, মামলা আছে কিনা, যে যে শর্ত আছে, সেগুলোর মধ্যে যদি একজনও পড়ে, তাহলে নিবন্ধন দেওয়ার সুযোগ নেই।’
কেউ আগে জামায়াতের রাজনীতিতে ছিল, সে যদি নতুন দল করতে চায় সেটা পারবে, এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সে তো জামায়াত তো আর করছে না। একটা জিনিসি বুঝতে হবে। যেমন, আমাদের অনেক দলের নেতা এক সময় একটা রাজনৈতিক দল করত, এখন ওই দল তিনি ত্যাগ করেছেন, করে আবার অন্য একটি রাজনৈতিক দলে যোগ দিয়েছে। অথবা একটা দল আগে একটা নামে ছিল, পরে ওই রাজনৈতিক দল নাম পরিবর্তন করেছে। হইছে না বাংলাদেশে। অনেক দলই এমন হইছে। আবার কোনো কোনো রাজনৈতিক দল ভেঙে গেছে, ভেঙে যেয়ে আরেকটা দল গঠন করেছে। মনে করেন একটা দল ‘জেড’ দল ছিল, ভেঙে যেয়ে ‘ওয়াই’ দল গঠন করেছে। ওই দলকে তো আর আগের দল হিসেবে বলার সুযোগ নাই। তবে দেখতে হবে তাদের ব্যক্তিগত কোনো সমস্যা আছে কিনা। মানে শর্ত পূরণ করতে পারছে কিনা।
মো. আলমগীর বলেন, জামায়াত হিসেবে আসার সুযোগ নাই। মুক্তিযুদ্ধ ও সংবিধানের চেতনার বাইরে যদি কোনো দলের চেতনা থাকে গঠনতন্ত্রে, তাহলে তাকে নিবন্ধন দেওয়ার তো কোনো সুযোগই নেই। যেই আসবে, স্বাধীনতায় বিশ্বাস থাকতে হবে, তাকে মুক্তিযুদ্ধে চেতনায় ও সংবিধানের চেতনায় সম্মান থাকতে হবে। যদি বলে যে নারী নেতৃত্ব থাকবে না, তাহলে কী দেওয়ার সুযোগ আছে? কারণ বলাই তো আছে, সংবিধানেও বলা আছে নারী-পুরুষে কোনো বৈষম্য করা যাবে না, ধর্মের ভিত্তিতে কোনো রাজনৈতিক বৈষম্য করা যাবে না। এসব থাকলে নিবন্ধন দেওয়া যাবে না।
নিবন্ধন বাতিল হওয়া ফ্রিডম পার্টির নেতারা কী পারবে, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন,‘ফ্রিডম পার্টিতে যারা আছে তারা তো বঙ্গবন্ধু হত্যার সঙ্গে জড়িত, তারা তো পলাতক, তাদের তো রাজনীতি করারই কোনো অধিকার নাই। নিবন্ধন কেমনে পাবে?’
বাংলাদেশ জামায়াতের ইসলামীর নেতারা অন্য নামে এসে শর্ত পূরণ করলে নিবন্ধন পাবে বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর। আজ বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এমন বক্তব্য দেন।
মো. আলমগীর বলেন, এটি যদি জামায়াতে ইসলামী হয়, তবে কোর্টের আদেশে দলটির নিবন্ধন বাতিল হয়েছে। এখন যদি কেউ আমাদের কাছে যদি নিবন্ধিত হতে চায়, তাকে নতুন দল হিসেবে নিবন্ধনের জন্য আবেদন করতে হবে। নতুন দল হিসেবে নিবন্ধন পেতে হলে যে যে শর্তগুলো পূরণ করা প্রয়োজন, সেগুলো পূরণ করলে নিবন্ধন পাবে। শর্ত পূরণ করতে ব্যর্থ হলে পাবে না।’
নাম পাল্টালাম কিন্তু ব্যক্তি একই থাকল, তাহলে নিবন্ধন পাবে কি—না, এই প্রশ্নের জবাবে ইসি বলেন, আমি যতটুকু জানি আদালত জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল করেছে কারণ আমাদের সংবিধান ও মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে দলের গঠনতন্ত্র সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। এ জন্য বাতিল করা হয়েছে। এখন যদি কেউ এসে আমাদের সাংবিধান ও মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ না হয়, যদি কেউ যুদ্ধাপরাধী না থাকে এবং নিবন্ধনের সব শর্ত যদি পূরণ করে, তাহলে তো আর বলতে পারছেন না যে ওই জামায়াত, এই জামায়াত এক। ওখানে (আইনে) তো বলা আছে কে কে নিবন্ধন পাবে। যেমন, কেউ যদি বিদেশের নাগরিকত্ব গ্রহণ করেন, দেখা গেল গঠনতন্ত্রে এমন একটা ধারা আছে, উদ্দেশ্য আছে; যা আমাদের সংবিধানের সঙ্গে ও মহান মুক্তিযুদ্ধের সাংঘর্ষিক, তাহলে তো পাবেন না।
এখন যদি জামায়াতের কেউ এসে অন্য নামে নিবন্ধন চায় তাহলে পাবেন কি—না, এই প্রশ্নের জবাবে সাবেক এই ইসি সচিব বলেন, ‘দেখতে হবে উনি যুদ্ধাপরাধী ছিলেন কিনা, মামলা আছে কিনা, যে যে শর্ত আছে, সেগুলোর মধ্যে যদি একজনও পড়ে, তাহলে নিবন্ধন দেওয়ার সুযোগ নেই।’
কেউ আগে জামায়াতের রাজনীতিতে ছিল, সে যদি নতুন দল করতে চায় সেটা পারবে, এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সে তো জামায়াত তো আর করছে না। একটা জিনিসি বুঝতে হবে। যেমন, আমাদের অনেক দলের নেতা এক সময় একটা রাজনৈতিক দল করত, এখন ওই দল তিনি ত্যাগ করেছেন, করে আবার অন্য একটি রাজনৈতিক দলে যোগ দিয়েছে। অথবা একটা দল আগে একটা নামে ছিল, পরে ওই রাজনৈতিক দল নাম পরিবর্তন করেছে। হইছে না বাংলাদেশে। অনেক দলই এমন হইছে। আবার কোনো কোনো রাজনৈতিক দল ভেঙে গেছে, ভেঙে যেয়ে আরেকটা দল গঠন করেছে। মনে করেন একটা দল ‘জেড’ দল ছিল, ভেঙে যেয়ে ‘ওয়াই’ দল গঠন করেছে। ওই দলকে তো আর আগের দল হিসেবে বলার সুযোগ নাই। তবে দেখতে হবে তাদের ব্যক্তিগত কোনো সমস্যা আছে কিনা। মানে শর্ত পূরণ করতে পারছে কিনা।
মো. আলমগীর বলেন, জামায়াত হিসেবে আসার সুযোগ নাই। মুক্তিযুদ্ধ ও সংবিধানের চেতনার বাইরে যদি কোনো দলের চেতনা থাকে গঠনতন্ত্রে, তাহলে তাকে নিবন্ধন দেওয়ার তো কোনো সুযোগই নেই। যেই আসবে, স্বাধীনতায় বিশ্বাস থাকতে হবে, তাকে মুক্তিযুদ্ধে চেতনায় ও সংবিধানের চেতনায় সম্মান থাকতে হবে। যদি বলে যে নারী নেতৃত্ব থাকবে না, তাহলে কী দেওয়ার সুযোগ আছে? কারণ বলাই তো আছে, সংবিধানেও বলা আছে নারী-পুরুষে কোনো বৈষম্য করা যাবে না, ধর্মের ভিত্তিতে কোনো রাজনৈতিক বৈষম্য করা যাবে না। এসব থাকলে নিবন্ধন দেওয়া যাবে না।
নিবন্ধন বাতিল হওয়া ফ্রিডম পার্টির নেতারা কী পারবে, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন,‘ফ্রিডম পার্টিতে যারা আছে তারা তো বঙ্গবন্ধু হত্যার সঙ্গে জড়িত, তারা তো পলাতক, তাদের তো রাজনীতি করারই কোনো অধিকার নাই। নিবন্ধন কেমনে পাবে?’
নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত বলতে তারা কী বোঝাচ্ছে? তাদের এই ধারণা স্পষ্ট করা উচিত। আমি জানতে চাই, তাদের নতুন রাজনৈতিক মীমাংসা আসলে কী? আমি এ বিষয়ে কোথাও কিছু লেখা নথিভুক্ত পাইনি। তাদের প্রস্তাব কী, সেটা স্পষ্ট নয়। আমাদের যে ধরনের রাজনীতি আমরা কল্পনা করি, তা আমাদের সংবিধানে স্পষ্টভাবে নথিভুক্ত।
৯ ঘণ্টা আগেছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে ঢাকা সেনানিবাসে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। দীর্ঘ এক যুগ পর গুরুত্বপূর্ণ এ দিবসের কর্মসূচিতে তাঁর অংশগ্রহণকে রাজনীতির জন্য ইতিবাচক ঘটনা বলে মনে করছেন বিশ্লেষক ও রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা
১৩ ঘণ্টা আগেমানবমুক্তির মহান সংগ্রামে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত কমরেড হেনা দাস অবিচল ছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক কমরেড রুহিন হোসেন প্রিন্স। তিনি বলেন, ‘বঞ্চিত-নিপীড়িত মানুষের মুক্তির সংগ্রামে কমরেড হেনা দাস ছিলেন অগ্রসৈনিক।’
১ দিন আগেসবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে শত্রুতা নয়—নীতি অনুসরণ করে ভারতসহ প্রতিবেশী সব রাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চায় বলে জানিয়েছেন দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান। আজ শুক্রবার (২২ নভেম্বর) ভারতের আনন্দবাজার পত্রিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।
১ দিন আগে