নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নিবন্ধন পাওয়ার তালিকায় থাকা বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির (বিএসপি) চেয়ারম্যান সৈয়দ সাইফুদ্দিন আহমদ মাইজভান্ডারির বিরুদ্ধে খানকা শরিফ দখল করে রাজনৈতিক কার্যালয় বানানোর অভিযোগ করেছেন তাঁর আপন ছোট ভাই ও দুই বোন। সেই সঙ্গে সংগঠনটিকে নিবন্ধন না দেওয়ার পাশাপাশি তাদের পারিবারিক সম্পত্তি ফিরিয়ে দিতে প্রধানমন্ত্রীসহ নির্বাচন কমিশনের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন তাঁরা।
আজ বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে ইসি সচিব বরাবর এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ জমা দেন তাঁরা।
বিএসপির চেয়ারম্যানের ছোট ভাই সৈয়দ সহিদ উদ্দিন আহমদ মাইজভান্ডারি এ সময় সাংবাদিকদের বলেন, ‘বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি নামে দলটি নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছে। আমাদের অভিযোগ হচ্ছে—ঢাকা, চট্টগ্রাম, ফরিদপুর, কুমিল্লা এবং অন্যান্য জায়গায় যে কার্যালয়গুলো দেখানো হয়েছে, সেগুলো সব আমাদের পারিবারিক সম্পত্তি। এখানে আমরা আমাদের পরিবার, বিবি-বাচ্চা নিয়ে বসবাস করি। আসলে হীন উদ্দেশ্য হচ্ছে, আমাদের পারিবারিক সম্পত্তি দখল করা। সেগুলো নিয়ে কোর্টে মামলা চলমান। আমরা দুই ভাই, দুই বোন। উনি আমার বড় ভাই হিসেবে আমার এবং ছোট দুই-বোনের সম্পত্তি আত্মসাৎ করার কুমানসে আমাদের পারিবারিক সম্পত্তির ওপর নির্বাচনী কার্যালয় বসিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন এবং প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারদের প্রতি আকুল আবেদন, এটা আমাদের পারিবারিক সম্পত্তি। যার কাছে পরিবার-পরিজন, নিজের ছোট ভাই-বোনেরা নিরাপদ নয়, তাঁর কাছে দেশবাসী কীভাবে নিরাপদ থাকবে! এ জন্য আকুল আবেদন, বিএসপি নামের ভুঁইফোড় সংগঠনের নিবন্ধন যেন না দেওয়া হয়। পারিবারিক সম্পত্তি ও ভূমিদস্যু (সাইফুদ্দিন আহমদ মাইজভান্ডারি) যে ছয়টা গানম্যান নিয়ে চলে, তারা প্রতিনিয়ত আমাদের ভয় দেখিয়ে যাচ্ছে। চকরিয়া ও ঢাকার বাড়িতেও মাস্তান বাহিনী মহড়া চালায়। আমাদের পরিবার, আমার বিবি-বাচ্চাদের ওপর সন্ত্রাসী মহড়া চলে।’
সৈয়দ সহিদ উদ্দিন আহমদ মাইজভান্ডারি বলেন, ‘একজন সন্ত্রাসী, ভূমিদস্যু, প্রতারক, জালিম এবং এই ঠকবাজ লোক কীভাবে জাতীয় নির্বাচন করে, যার কাছে নিজের পরিবার-পরিজন নিরাপদ নয়! যিনি আমার পিতা সৈয়দ মইনুদ্দীন আহমেদ মাইজভান্ডারি থেকে সমুদয় সম্পত্তি জুলুম করে, প্রতারণার মাধ্যমে, হেবা দলিল করে, আমার বাবার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, টাকা-পয়সা হাতিয়ে নিয়েছেন। আমাদের পৈতৃক ও মাত্রিক সম্পত্তির কোনো হিস্যা না দিয়ে অন্যায়ভাবে জুলুম, অত্যাচার, নিপীড়ন করে যাচ্ছেন। একজন সন্ত্রাসী, ঠকবাজ, জুলুমবাজ কী করে একটা পার্টির নেতৃত্ব দিতে পারেন! এতে আমাদের পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগবে।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘তাঁর (সৈয়দ সাইফুদ্দিন আহমদ মাইজভান্ডারি) তো কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডই নাই। তাঁর কর্মকাণ্ড হলো কীভাবে ভাই-বোনদের ঠকাবে, এই নিয়তে দল করতে হবে।’
বিএসপি কত দিন ধরে পরিচিত জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা আমি নির্বাচন কমিশনের গণবিজ্ঞপ্তি দেখে এবং টিভিতে প্রেস ব্রিফিং দেখে জানতে পেরেছি। বাংলাদেশের সব জায়গায় আমাদের খানকা শরিফ আছে। সেগুলোই তিনি কার্যালয় হিসেবে দেখিয়েছেন। উনি কীভাবে ছয়টা গানম্যান নিয়ে চলতে পারেন, সেটাও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে দেখার জন্য আবেদন জানাই। নিবন্ধনের নাম করে পারিবারিক সম্পত্তি দখলের পাঁয়তারা করছেন উনি।’
‘উনি যদি আমাদের এলাকায় মেম্বার নির্বাচন করেন তা-ও ফেল করবেন। মেম্বার হওয়ার যোগ্যতা তাঁর নাই’ বলেও মন্তব্য করেন সৈয়দ সহিদ উদ্দিন আহমদ মাইজভান্ডারি।
সহিদ উদ্দিন আহমদের আরও অভিযোগ, ‘আমার বাবা সৈয়দ মইনুদ্দিন আহমদ মাইজভান্ডারির প্রতিষ্ঠিত খানকাহ শরিফগুলো বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির আঞ্চলিক অফিস হিসেবে দেখানো হয়েছে। আর ঢাকায় যে কেন্দ্রীয় অফিস দেখানো হয়েছে, সেটি আমাদের বসতবাড়ি, যেখান থেকে আমাদের বের করে দেওয়া হয়েছে।’
এ সময় সৈয়দ সহিদ উদ্দিন আহমদ মাইজভান্ডারির সঙ্গে তাঁর দুই বোন সৈয়দা সায়েমা আহমদ ও সৈয়দা সাহেদা আহমদ উপস্থিত ছিলেন।
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নিবন্ধন পাওয়ার তালিকায় থাকা বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির (বিএসপি) চেয়ারম্যান সৈয়দ সাইফুদ্দিন আহমদ মাইজভান্ডারির বিরুদ্ধে খানকা শরিফ দখল করে রাজনৈতিক কার্যালয় বানানোর অভিযোগ করেছেন তাঁর আপন ছোট ভাই ও দুই বোন। সেই সঙ্গে সংগঠনটিকে নিবন্ধন না দেওয়ার পাশাপাশি তাদের পারিবারিক সম্পত্তি ফিরিয়ে দিতে প্রধানমন্ত্রীসহ নির্বাচন কমিশনের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন তাঁরা।
আজ বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে ইসি সচিব বরাবর এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ জমা দেন তাঁরা।
বিএসপির চেয়ারম্যানের ছোট ভাই সৈয়দ সহিদ উদ্দিন আহমদ মাইজভান্ডারি এ সময় সাংবাদিকদের বলেন, ‘বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি নামে দলটি নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছে। আমাদের অভিযোগ হচ্ছে—ঢাকা, চট্টগ্রাম, ফরিদপুর, কুমিল্লা এবং অন্যান্য জায়গায় যে কার্যালয়গুলো দেখানো হয়েছে, সেগুলো সব আমাদের পারিবারিক সম্পত্তি। এখানে আমরা আমাদের পরিবার, বিবি-বাচ্চা নিয়ে বসবাস করি। আসলে হীন উদ্দেশ্য হচ্ছে, আমাদের পারিবারিক সম্পত্তি দখল করা। সেগুলো নিয়ে কোর্টে মামলা চলমান। আমরা দুই ভাই, দুই বোন। উনি আমার বড় ভাই হিসেবে আমার এবং ছোট দুই-বোনের সম্পত্তি আত্মসাৎ করার কুমানসে আমাদের পারিবারিক সম্পত্তির ওপর নির্বাচনী কার্যালয় বসিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন এবং প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারদের প্রতি আকুল আবেদন, এটা আমাদের পারিবারিক সম্পত্তি। যার কাছে পরিবার-পরিজন, নিজের ছোট ভাই-বোনেরা নিরাপদ নয়, তাঁর কাছে দেশবাসী কীভাবে নিরাপদ থাকবে! এ জন্য আকুল আবেদন, বিএসপি নামের ভুঁইফোড় সংগঠনের নিবন্ধন যেন না দেওয়া হয়। পারিবারিক সম্পত্তি ও ভূমিদস্যু (সাইফুদ্দিন আহমদ মাইজভান্ডারি) যে ছয়টা গানম্যান নিয়ে চলে, তারা প্রতিনিয়ত আমাদের ভয় দেখিয়ে যাচ্ছে। চকরিয়া ও ঢাকার বাড়িতেও মাস্তান বাহিনী মহড়া চালায়। আমাদের পরিবার, আমার বিবি-বাচ্চাদের ওপর সন্ত্রাসী মহড়া চলে।’
সৈয়দ সহিদ উদ্দিন আহমদ মাইজভান্ডারি বলেন, ‘একজন সন্ত্রাসী, ভূমিদস্যু, প্রতারক, জালিম এবং এই ঠকবাজ লোক কীভাবে জাতীয় নির্বাচন করে, যার কাছে নিজের পরিবার-পরিজন নিরাপদ নয়! যিনি আমার পিতা সৈয়দ মইনুদ্দীন আহমেদ মাইজভান্ডারি থেকে সমুদয় সম্পত্তি জুলুম করে, প্রতারণার মাধ্যমে, হেবা দলিল করে, আমার বাবার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, টাকা-পয়সা হাতিয়ে নিয়েছেন। আমাদের পৈতৃক ও মাত্রিক সম্পত্তির কোনো হিস্যা না দিয়ে অন্যায়ভাবে জুলুম, অত্যাচার, নিপীড়ন করে যাচ্ছেন। একজন সন্ত্রাসী, ঠকবাজ, জুলুমবাজ কী করে একটা পার্টির নেতৃত্ব দিতে পারেন! এতে আমাদের পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগবে।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘তাঁর (সৈয়দ সাইফুদ্দিন আহমদ মাইজভান্ডারি) তো কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডই নাই। তাঁর কর্মকাণ্ড হলো কীভাবে ভাই-বোনদের ঠকাবে, এই নিয়তে দল করতে হবে।’
বিএসপি কত দিন ধরে পরিচিত জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা আমি নির্বাচন কমিশনের গণবিজ্ঞপ্তি দেখে এবং টিভিতে প্রেস ব্রিফিং দেখে জানতে পেরেছি। বাংলাদেশের সব জায়গায় আমাদের খানকা শরিফ আছে। সেগুলোই তিনি কার্যালয় হিসেবে দেখিয়েছেন। উনি কীভাবে ছয়টা গানম্যান নিয়ে চলতে পারেন, সেটাও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে দেখার জন্য আবেদন জানাই। নিবন্ধনের নাম করে পারিবারিক সম্পত্তি দখলের পাঁয়তারা করছেন উনি।’
‘উনি যদি আমাদের এলাকায় মেম্বার নির্বাচন করেন তা-ও ফেল করবেন। মেম্বার হওয়ার যোগ্যতা তাঁর নাই’ বলেও মন্তব্য করেন সৈয়দ সহিদ উদ্দিন আহমদ মাইজভান্ডারি।
সহিদ উদ্দিন আহমদের আরও অভিযোগ, ‘আমার বাবা সৈয়দ মইনুদ্দিন আহমদ মাইজভান্ডারির প্রতিষ্ঠিত খানকাহ শরিফগুলো বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির আঞ্চলিক অফিস হিসেবে দেখানো হয়েছে। আর ঢাকায় যে কেন্দ্রীয় অফিস দেখানো হয়েছে, সেটি আমাদের বসতবাড়ি, যেখান থেকে আমাদের বের করে দেওয়া হয়েছে।’
এ সময় সৈয়দ সহিদ উদ্দিন আহমদ মাইজভান্ডারির সঙ্গে তাঁর দুই বোন সৈয়দা সায়েমা আহমদ ও সৈয়দা সাহেদা আহমদ উপস্থিত ছিলেন।
নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত বলতে তারা কী বোঝাচ্ছে? তাদের এই ধারণা স্পষ্ট করা উচিত। আমি জানতে চাই, তাদের নতুন রাজনৈতিক মীমাংসা আসলে কী? আমি এ বিষয়ে কোথাও কিছু লেখা নথিভুক্ত পাইনি। তাদের প্রস্তাব কী, সেটা স্পষ্ট নয়। আমাদের যে ধরনের রাজনীতি আমরা কল্পনা করি, তা আমাদের সংবিধানে স্পষ্টভাবে নথিভুক্ত।
৪ ঘণ্টা আগেছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে ঢাকা সেনানিবাসে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। দীর্ঘ এক যুগ পর গুরুত্বপূর্ণ এ দিবসের কর্মসূচিতে তাঁর অংশগ্রহণকে রাজনীতির জন্য ইতিবাচক ঘটনা বলে মনে করছেন বিশ্লেষক ও রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা
৮ ঘণ্টা আগেমানবমুক্তির মহান সংগ্রামে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত কমরেড হেনা দাস অবিচল ছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক কমরেড রুহিন হোসেন প্রিন্স। তিনি বলেন, ‘বঞ্চিত-নিপীড়িত মানুষের মুক্তির সংগ্রামে কমরেড হেনা দাস ছিলেন অগ্রসৈনিক।’
১৯ ঘণ্টা আগেসবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে শত্রুতা নয়—নীতি অনুসরণ করে ভারতসহ প্রতিবেশী সব রাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চায় বলে জানিয়েছেন দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান। আজ শুক্রবার (২২ নভেম্বর) ভারতের আনন্দবাজার পত্রিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।
১ দিন আগে