নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সরকারের যাওয়ার সময় হয়ে গেছে, অযথা ঘোরাঘুরি করে কোনো লাভ নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, ‘এখনো বলছি, সময় আছে দুর্গাপূজার মধ্যে যে ছুটিটা থাকবে, এর মধ্যে সিদ্ধান্ত নিয়ে আপনারা দ্রুত একটা নির্বাচন, একটা নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিয়ে দেন, ল্যাঠা চুকে যাবে।’
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এক ছাত্র কনভেনশনে তিনি এসব কথা বলেন। সরকার পতনের এক দফা দাবিতে ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র ঐক্য এই কনভেনশনের আয়োজন করে। সেখানে ১৫ অক্টোবর সংবাদ সম্মেলন করে কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র ঐক্যের পক্ষ থেকে জানানো হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক সফর প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমেরিকা গেলেন, এখন আবার ব্রাসেলসে যাচ্ছেন। চতুর্দিকে ঘোরাঘুরি শুরু করেছেন, যদি কোনো রকমে সামাল দেওয়া যায়, এই চেষ্টা করছেন। আর ঘোরাঘুরি করে কোনো লাভ নেই। খুব পরিষ্কার করে বলতে চাই—এই দেশের সব মানুষ এখন অতিষ্ঠ হয়ে গেছে। তারা বাঁচতে চায় আপনাদের হাত থেকে।’
এ সময় প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘এত যদি আপনি জনপ্রিয় হন, তাহলে ভোট দিতে অসুবিধা কোথায়? এত কিছু বানিয়েছেন। পদ্মা সেতু বানিয়েছেন, টানেল বানিয়েছেন, উড়াল সেতু, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে বানিয়েছেন। লোকে তো আপনাকেই ভোট দেবে। তাহলে দেন না একটা নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করেন। সেটা আপনি করবেন না। কারণ, আপনি জানেন, নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে আপনাদের অস্তিত্বও থাকবে না।’
বিএনপির প্রচারবিষয়ক সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানিকে গ্রেপ্তারের প্রসঙ্গ টেনে ফখরুল বলেন, ‘যার কপালে এখনো স্বৈরাচারের গুলির দাগ রয়েছে, তাকে অন্যায়ভাবে, বেআইনিভাবে এবং অযাচিতভাবে আক্রমণ করা হয়েছে। এর ক্ষোভ জানানোর ভাষা আমার জানা নেই। কোন অবস্থায় গেলে এ্যানির মতো একজন সাহসী ছেলে আদালতে দাঁড়িয়ে বলে—চোর-ডাকাতকেও এভাবে মারে না, আমাকে তারা যেভাবে মেরেছে। এখান থেকে একটা বার্তা পাবেন। সেই বার্তা হচ্ছে—মুখে কুলুপ এঁটে বসে থাকবেন না, হাত গুটিয়ে বসে থাকবেন না। নিজেরা যদি বাঁচতে চান, দেশকে যদি বাঁচাতে চান, তাহলে জেগে উঠতে হবে। রাজপথে লড়াই-সংগ্রাম করে তাদের (সরকার) পরাজিত করতে হবে। অন্যথায় তারা আপনাদের মাথার ওপর চেপে বসবে। আজকে এ্যানিকে যেভাবে মেরেছে, কালকে সবাইকে এভাবে মারবে।’
দেশের বিরাজমান পরিস্থিতিতে তরুণদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিএনপির মহাসচিব তাঁদের উদ্দেশে বলেন, ‘অনেকে বলেন এখন তরুণদের ক্ষোভটা মোবাইল সেটে। স্ট্যাটাস দিলেই ক্ষোভ শেষ। ক্ষোভ মোবাইল সেটে দিলে শেষ হবে না, ক্ষোভ রাজপথে আসতে হবে। রাজপথে এসে তাদের পরাজিত করতে হবে, রুখে দাঁড়াতে হবে।’
তরুণদের উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, ‘আপনাদের মধ্যে সেই বিদ্রোহ কোথায়? আপনাদের মধ্যে সেই আঁচ তৈরি করতে হবে। আজকে আমাদের মধ্যে আশার সঞ্চার হয়েছে। আপনাদের সঙ্গে নিয়ে এবার আমরা এই যুদ্ধ জয় করতে পারব। শুধু স্লোগান দিলে হবে না, ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। আমরা একটা বড় যুদ্ধে নেমেছি। একটা ফ্যাসিবাদী শক্তির বিরুদ্ধে, যাদের ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেওয়ার যুদ্ধে নেমেছি।’
ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাশেদ ইকবাল খানের সভাপতিত্বে কনভেনশনে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, গণ অধিকার পরিষদের (একাংশ) সভাপতি নুরুল হক নুর, ভাসানী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলুসহ আরও অনেকে বক্তব্য দেন।
সরকারের যাওয়ার সময় হয়ে গেছে, অযথা ঘোরাঘুরি করে কোনো লাভ নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, ‘এখনো বলছি, সময় আছে দুর্গাপূজার মধ্যে যে ছুটিটা থাকবে, এর মধ্যে সিদ্ধান্ত নিয়ে আপনারা দ্রুত একটা নির্বাচন, একটা নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিয়ে দেন, ল্যাঠা চুকে যাবে।’
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এক ছাত্র কনভেনশনে তিনি এসব কথা বলেন। সরকার পতনের এক দফা দাবিতে ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র ঐক্য এই কনভেনশনের আয়োজন করে। সেখানে ১৫ অক্টোবর সংবাদ সম্মেলন করে কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র ঐক্যের পক্ষ থেকে জানানো হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক সফর প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমেরিকা গেলেন, এখন আবার ব্রাসেলসে যাচ্ছেন। চতুর্দিকে ঘোরাঘুরি শুরু করেছেন, যদি কোনো রকমে সামাল দেওয়া যায়, এই চেষ্টা করছেন। আর ঘোরাঘুরি করে কোনো লাভ নেই। খুব পরিষ্কার করে বলতে চাই—এই দেশের সব মানুষ এখন অতিষ্ঠ হয়ে গেছে। তারা বাঁচতে চায় আপনাদের হাত থেকে।’
এ সময় প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘এত যদি আপনি জনপ্রিয় হন, তাহলে ভোট দিতে অসুবিধা কোথায়? এত কিছু বানিয়েছেন। পদ্মা সেতু বানিয়েছেন, টানেল বানিয়েছেন, উড়াল সেতু, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে বানিয়েছেন। লোকে তো আপনাকেই ভোট দেবে। তাহলে দেন না একটা নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করেন। সেটা আপনি করবেন না। কারণ, আপনি জানেন, নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে আপনাদের অস্তিত্বও থাকবে না।’
বিএনপির প্রচারবিষয়ক সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানিকে গ্রেপ্তারের প্রসঙ্গ টেনে ফখরুল বলেন, ‘যার কপালে এখনো স্বৈরাচারের গুলির দাগ রয়েছে, তাকে অন্যায়ভাবে, বেআইনিভাবে এবং অযাচিতভাবে আক্রমণ করা হয়েছে। এর ক্ষোভ জানানোর ভাষা আমার জানা নেই। কোন অবস্থায় গেলে এ্যানির মতো একজন সাহসী ছেলে আদালতে দাঁড়িয়ে বলে—চোর-ডাকাতকেও এভাবে মারে না, আমাকে তারা যেভাবে মেরেছে। এখান থেকে একটা বার্তা পাবেন। সেই বার্তা হচ্ছে—মুখে কুলুপ এঁটে বসে থাকবেন না, হাত গুটিয়ে বসে থাকবেন না। নিজেরা যদি বাঁচতে চান, দেশকে যদি বাঁচাতে চান, তাহলে জেগে উঠতে হবে। রাজপথে লড়াই-সংগ্রাম করে তাদের (সরকার) পরাজিত করতে হবে। অন্যথায় তারা আপনাদের মাথার ওপর চেপে বসবে। আজকে এ্যানিকে যেভাবে মেরেছে, কালকে সবাইকে এভাবে মারবে।’
দেশের বিরাজমান পরিস্থিতিতে তরুণদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিএনপির মহাসচিব তাঁদের উদ্দেশে বলেন, ‘অনেকে বলেন এখন তরুণদের ক্ষোভটা মোবাইল সেটে। স্ট্যাটাস দিলেই ক্ষোভ শেষ। ক্ষোভ মোবাইল সেটে দিলে শেষ হবে না, ক্ষোভ রাজপথে আসতে হবে। রাজপথে এসে তাদের পরাজিত করতে হবে, রুখে দাঁড়াতে হবে।’
তরুণদের উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, ‘আপনাদের মধ্যে সেই বিদ্রোহ কোথায়? আপনাদের মধ্যে সেই আঁচ তৈরি করতে হবে। আজকে আমাদের মধ্যে আশার সঞ্চার হয়েছে। আপনাদের সঙ্গে নিয়ে এবার আমরা এই যুদ্ধ জয় করতে পারব। শুধু স্লোগান দিলে হবে না, ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। আমরা একটা বড় যুদ্ধে নেমেছি। একটা ফ্যাসিবাদী শক্তির বিরুদ্ধে, যাদের ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেওয়ার যুদ্ধে নেমেছি।’
ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাশেদ ইকবাল খানের সভাপতিত্বে কনভেনশনে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, গণ অধিকার পরিষদের (একাংশ) সভাপতি নুরুল হক নুর, ভাসানী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলুসহ আরও অনেকে বক্তব্য দেন।
নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত বলতে তারা কী বোঝাচ্ছে? তাদের এই ধারণা স্পষ্ট করা উচিত। আমি জানতে চাই, তাদের নতুন রাজনৈতিক মীমাংসা আসলে কী? আমি এ বিষয়ে কোথাও কিছু লেখা নথিভুক্ত পাইনি। তাদের প্রস্তাব কী, সেটা স্পষ্ট নয়। আমাদের যে ধরনের রাজনীতি আমরা কল্পনা করি, তা আমাদের সংবিধানে স্পষ্টভাবে নথিভুক্ত।
৬ ঘণ্টা আগেছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে ঢাকা সেনানিবাসে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। দীর্ঘ এক যুগ পর গুরুত্বপূর্ণ এ দিবসের কর্মসূচিতে তাঁর অংশগ্রহণকে রাজনীতির জন্য ইতিবাচক ঘটনা বলে মনে করছেন বিশ্লেষক ও রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা
৯ ঘণ্টা আগেমানবমুক্তির মহান সংগ্রামে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত কমরেড হেনা দাস অবিচল ছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক কমরেড রুহিন হোসেন প্রিন্স। তিনি বলেন, ‘বঞ্চিত-নিপীড়িত মানুষের মুক্তির সংগ্রামে কমরেড হেনা দাস ছিলেন অগ্রসৈনিক।’
২১ ঘণ্টা আগেসবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে শত্রুতা নয়—নীতি অনুসরণ করে ভারতসহ প্রতিবেশী সব রাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চায় বলে জানিয়েছেন দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান। আজ শুক্রবার (২২ নভেম্বর) ভারতের আনন্দবাজার পত্রিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।
১ দিন আগে