নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সাবেক উপপ্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি ভাইস চেয়ারম্যান বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ শাহ মোয়াজ্জেম হোসেনের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর পৌনে ১২টায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে তাঁর প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। জানাজা শেষে দলের পক্ষ থেকে তাঁর মরদেহে শেষবারের মতো শ্রদ্ধা জানান বিএনপির নেতারা। জানাজা পরিচালনা করেন জাতীয়তাবাদী উলামা দলের সভাপতি হাফেজ মাওলানা শাহ নেছারুল হক।
জানাজা শুরুর আগে দলের নেতারা শাহ মোয়াজ্জেম হোসেনের স্মৃতিচারণা করেন। এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘বিএনপির প্রবীণ সংগ্রামী একজন নেতা আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। ছাত্রজীবনে তিনি স্বাধিকার আন্দোলন, আইয়ুববিরোধী আন্দোলনসহ অন্যান্য সংগ্রামে বড় ভূমিকা রেখেছিলেন। আমি তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। তাঁর আন্দোলন প্রত্যক্ষ করেছি। তিনি সুবক্তা ছিলেন। তাঁর বক্তব্য শোনার জন্য দলমত-নির্বিশেষে সবাই একসঙ্গে হয়ে যেত। মুক্তিযুদ্ধেও তাঁর বড় ভূমিকা রয়েছে।’
খন্দকার মোশাররফ আরও বলেন, ‘আজকে দেশে গণতন্ত্র নেই। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন সামনে। এ সময় শাহ মোয়াজ্জেম হোসেনের মতো সংগ্রামী, অকুতোভয় একজন নেতা আমাদের খুব প্রয়োজন ছিল। সামনের দিনের আন্দোলনে তাঁর সংগ্রামের ইতিহাস স্মরণ করে আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যাব।’
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘ভাষা আন্দোলন, বাষট্টির শিক্ষা আন্দোলন, স্বাধিকার ও স্বায়ত্তশাসনের আন্দোলন এবং স্বাধীনতাযুদ্ধে তাঁর যে ঐতিহাসিক ভূমিকা জাতি চিরকাল মনে রাখবে।’
স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ভারতীয় পার্লামেন্টে দীর্ঘ সময় বক্তৃতা দিয়েই ইতিহাস সৃষ্টি করেছিলেন বর্ষীয়ান এই নেতা।’
জানাজা শেষে শাহ মোয়াজ্জেম হোসেনের মরদেহ মুন্সিগঞ্জের উদ্দেশে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানে শ্রীনগর উপজেলা স্টেডিয়ামে তাঁর দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। বাদ এশা গুলশানের আজাদ মসজিদে তৃতীয় জানাজা শেষে বনানী কবরস্থানে তাঁর মরদেহ দাফন করা হবে বলে বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
জানাজায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, আমান উল্লাহ আমান, হাবিবুর রহমান হাবিব, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ ইমরান সালেহ প্রিন্স, চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা কামরুজ্জামান রতন, মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, সাইফুল আলম নীরব, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্যসচিব আমিনুল হক, যুবদলের এইচ এম সাইফ আলী খান, কেন্দ্রীয় দপ্তরের আবদুস সাত্তার পাটোয়ারী, জাগপার খন্দকার লুৎফর রহমান, এনপিপির ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, লেবার পার্টির মোস্তাফিজুর রহমান ইরান প্রমুখ।
উল্লেখ্য, শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন ১৯৩৯ সালের ১০ জানুয়ারি মুন্সিগঞ্জ জেলার দোগাছি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছাত্রজীবন থেকেই রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ভাষা আন্দোলন, ৬ দফা আন্দোলন ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণসহ তৎকালীন সব রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সরব ছিলেন তিনি।
মুক্তিযুদ্ধের পর শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। বঙ্গবন্ধু সরকারে তিনি দলের চিফ হুইপের দায়িত্ব পালন করেছেন। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর তিনি খন্দকার মোশতাক আহমদের মন্ত্রিসভার অংশ ছিলেন। পরবর্তী সময়ে তিনি জাতীয় পার্টিতে যোগ দেন।
এরশাদ সরকারের সময়ে তিনি উপপ্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। সরকার পতনের পর ১৯৯২ সালে এরশাদ তাঁকে জাতীয় পার্টি থেকে বহিষ্কার করেন। এরপর শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। সর্বশেষ দলটির ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন তিনি। তিনি এক ছেলে, এক মেয়ে ও নাতি-নাতনি রেখে গেছেন।
সাবেক উপপ্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি ভাইস চেয়ারম্যান বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ শাহ মোয়াজ্জেম হোসেনের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর পৌনে ১২টায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে তাঁর প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। জানাজা শেষে দলের পক্ষ থেকে তাঁর মরদেহে শেষবারের মতো শ্রদ্ধা জানান বিএনপির নেতারা। জানাজা পরিচালনা করেন জাতীয়তাবাদী উলামা দলের সভাপতি হাফেজ মাওলানা শাহ নেছারুল হক।
জানাজা শুরুর আগে দলের নেতারা শাহ মোয়াজ্জেম হোসেনের স্মৃতিচারণা করেন। এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘বিএনপির প্রবীণ সংগ্রামী একজন নেতা আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। ছাত্রজীবনে তিনি স্বাধিকার আন্দোলন, আইয়ুববিরোধী আন্দোলনসহ অন্যান্য সংগ্রামে বড় ভূমিকা রেখেছিলেন। আমি তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। তাঁর আন্দোলন প্রত্যক্ষ করেছি। তিনি সুবক্তা ছিলেন। তাঁর বক্তব্য শোনার জন্য দলমত-নির্বিশেষে সবাই একসঙ্গে হয়ে যেত। মুক্তিযুদ্ধেও তাঁর বড় ভূমিকা রয়েছে।’
খন্দকার মোশাররফ আরও বলেন, ‘আজকে দেশে গণতন্ত্র নেই। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন সামনে। এ সময় শাহ মোয়াজ্জেম হোসেনের মতো সংগ্রামী, অকুতোভয় একজন নেতা আমাদের খুব প্রয়োজন ছিল। সামনের দিনের আন্দোলনে তাঁর সংগ্রামের ইতিহাস স্মরণ করে আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যাব।’
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘ভাষা আন্দোলন, বাষট্টির শিক্ষা আন্দোলন, স্বাধিকার ও স্বায়ত্তশাসনের আন্দোলন এবং স্বাধীনতাযুদ্ধে তাঁর যে ঐতিহাসিক ভূমিকা জাতি চিরকাল মনে রাখবে।’
স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ভারতীয় পার্লামেন্টে দীর্ঘ সময় বক্তৃতা দিয়েই ইতিহাস সৃষ্টি করেছিলেন বর্ষীয়ান এই নেতা।’
জানাজা শেষে শাহ মোয়াজ্জেম হোসেনের মরদেহ মুন্সিগঞ্জের উদ্দেশে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানে শ্রীনগর উপজেলা স্টেডিয়ামে তাঁর দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। বাদ এশা গুলশানের আজাদ মসজিদে তৃতীয় জানাজা শেষে বনানী কবরস্থানে তাঁর মরদেহ দাফন করা হবে বলে বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
জানাজায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, আমান উল্লাহ আমান, হাবিবুর রহমান হাবিব, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ ইমরান সালেহ প্রিন্স, চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা কামরুজ্জামান রতন, মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, সাইফুল আলম নীরব, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্যসচিব আমিনুল হক, যুবদলের এইচ এম সাইফ আলী খান, কেন্দ্রীয় দপ্তরের আবদুস সাত্তার পাটোয়ারী, জাগপার খন্দকার লুৎফর রহমান, এনপিপির ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, লেবার পার্টির মোস্তাফিজুর রহমান ইরান প্রমুখ।
উল্লেখ্য, শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন ১৯৩৯ সালের ১০ জানুয়ারি মুন্সিগঞ্জ জেলার দোগাছি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছাত্রজীবন থেকেই রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ভাষা আন্দোলন, ৬ দফা আন্দোলন ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণসহ তৎকালীন সব রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সরব ছিলেন তিনি।
মুক্তিযুদ্ধের পর শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। বঙ্গবন্ধু সরকারে তিনি দলের চিফ হুইপের দায়িত্ব পালন করেছেন। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর তিনি খন্দকার মোশতাক আহমদের মন্ত্রিসভার অংশ ছিলেন। পরবর্তী সময়ে তিনি জাতীয় পার্টিতে যোগ দেন।
এরশাদ সরকারের সময়ে তিনি উপপ্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। সরকার পতনের পর ১৯৯২ সালে এরশাদ তাঁকে জাতীয় পার্টি থেকে বহিষ্কার করেন। এরপর শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। সর্বশেষ দলটির ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন তিনি। তিনি এক ছেলে, এক মেয়ে ও নাতি-নাতনি রেখে গেছেন।
নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত বলতে তারা কী বোঝাচ্ছে? তাদের এই ধারণা স্পষ্ট করা উচিত। আমি জানতে চাই, তাদের নতুন রাজনৈতিক মীমাংসা আসলে কী? আমি এ বিষয়ে কোথাও কিছু লেখা নথিভুক্ত পাইনি। তাদের প্রস্তাব কী, সেটা স্পষ্ট নয়। আমাদের যে ধরনের রাজনীতি আমরা কল্পনা করি, তা আমাদের সংবিধানে স্পষ্টভাবে নথিভুক্ত।
৩০ মিনিট আগেছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে ঢাকা সেনানিবাসে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। দীর্ঘ এক যুগ পর গুরুত্বপূর্ণ এ দিবসের কর্মসূচিতে তাঁর অংশগ্রহণকে রাজনীতির জন্য ইতিবাচক ঘটনা বলে মনে করছেন বিশ্লেষক ও রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা
৪ ঘণ্টা আগেমানবমুক্তির মহান সংগ্রামে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত কমরেড হেনা দাস অবিচল ছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক কমরেড রুহিন হোসেন প্রিন্স। তিনি বলেন, ‘বঞ্চিত-নিপীড়িত মানুষের মুক্তির সংগ্রামে কমরেড হেনা দাস ছিলেন অগ্রসৈনিক।’
১৬ ঘণ্টা আগেসবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে শত্রুতা নয়—নীতি অনুসরণ করে ভারতসহ প্রতিবেশী সব রাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চায় বলে জানিয়েছেন দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান। আজ শুক্রবার (২২ নভেম্বর) ভারতের আনন্দবাজার পত্রিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।
১৮ ঘণ্টা আগে