নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
উপজেলা নির্বাচনের বিষয়ে নেতা-কর্মীদের সতর্ক করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘নির্বাচনকে প্রভাবিত করার চেষ্টা কেউ করবেন না। কেউ প্রার্থী হতে চাইলে হবে, বাধা নেই। নৌকা দেওয়া হচ্ছে না কিছু বাস্তব পরিস্থিতির কারণে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বিএনপি করে নাই, তারপরও ৪২ দশমিক ৮ শতাংশ টার্ন আউট। এটা সারা পৃথিবীর স্ট্যান্ডার্ডে সন্তোষজনক।’
আজ বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মুজিবনগর দিবস উদ্যাপন উপলক্ষে খুলনা বিভাগের সাংগঠনিক জেলা শাখাগুলোর নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
কাদের বলেন, ‘জাতীয় ইলেকশন হয়ে গেছে, সামনে উপজেলা নির্বাচন। আমাদের নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব-সংঘাত, মনোমালিন্য—এসব যদি দৃশ্যপটে হাজির করা হয়, তাহলে আমাদের চলার পথ কঠিন হয়ে যাবে।’
দলীয় শৃঙ্খলা রক্ষায় আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা কঠোর উল্লেখ করে দলটির সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘শেখ হাসিনা নানাভাবে দলে কিছু শাস্তি দিয়ে দিয়েছেন। কতজন অনেক বড় জায়গা থেকে নেমে গেছে। শুধু জেলে পুরলেই শাস্তি, গায়ে আঘাত করলেই শাস্তি—তা নয়। শাস্তি অনেক রকম! এবার নেত্রী যে কৌশল নিয়েছেন, দলের মধ্যেও কেউ ফ্রি স্টাইল করলে, শাস্তি কিন্তু পেতেই হবে। সব নোট করে রাখেন, সময়মতো ব্যবস্থা নেবেন।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমরা ইলেকশন করেছি, স্বতন্ত্রদের ভোট করতে দিয়েছি, এতে কী হয়েছে? নতুন সংসদ বসেছে, নতুন সরকার হয়েছে। অনেক বালা-মসিবতের কথা অনেকে বলেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা সে সংকট কাটিয়ে উঠেছি। তারা (বিএনপি) ভেবেছিল ইলেকশন হলেও দুর্ভিক্ষ হবে, সরকার পাঁচ দিন টিকবে না। আবোল-তাবোল বলা তাদের রাজনীতি। আমরা সেদিকে মন দেব না। আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকলে কেউ আমাদের ক্ষতি করতে পারবে না।’
সবাইকে দায়িত্ব নিয়ে কথা বলার আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সবাই দায়িত্বশীল কথা বলবেন। অনেককে দেখি ফেসবুক লাইভে এসে বলতে থাকেন যার যা খুশি। এগুলো ঠিক নয়। দল করলে দলের শৃঙ্খলা মেনে চলতে হবে। ফ্রি স্টাইল কোনো কথা বলবে, আর দলকে সেগুলো নিতে হবে, এটা ঠিক নয়। আপনারা আসল শত্রুকে চিনুন। আসল শত্রু হচ্ছে বিএনপির নেতৃত্বাধীন সাম্প্রদায়িক শক্তি।’
বিএনপির সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘বিএনপি আন্দোলনে ব্যর্থ, নির্বাচন ঠেকাতে ব্যর্থ। ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক দিয়েও ব্যর্থ। বিএনপি নেতাদের শোয়ার ঘরে, রান্নাঘরে ভারতীয় পণ্য। তথাকথিত এই ডাক ভাঁওতাবাজি। এই ভাঁওতাবাজির অবসান হয়েছে। আজকে ব্যর্থ হয়ে বিএনপি দিশেহারা।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘লন্ডন থেকে যার হুকুমে বিএনপি চলে, তার ফ্রি স্টাইল নেতৃত্ব এখন বিএনপি নেতাদের মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছে। তারা বুঝতে শুরু করেছে-তারেক রহমান যত দিন নেতৃত্বে আছে, তত দিন বিএনপি ভুলের চোরাবালিতে আটকে আছে। এখান থেকে তারা আর বের হতে পারবে না।’
১৭ এপ্রিল মুজিবনগর সরকার দিবস উপলক্ষে সেদিন মুজিবনগরে মূল অনুষ্ঠান হবে বলে জানান সেতুমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘মূল অনুষ্ঠান হবে মুজিবনগরে। আজকে অন্য কিছু নয়, আমরা মুজিবনগর দিবস কীভাবে সার্থক করব ও পালন করব, সেটা নিয়ে আলোচনা করব।’
এ দিবসটি এই দেশে তেমন আর কেউ পালন করে না উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এই দিবসটি উপলক্ষে বিএনপিসহ বড় বড় দলগুলোর কারোই অনুষ্ঠানমালা আছে, এমনটা জানা নেই। আমরা পালন করব। কারণ, এটি আমাদের জন্মের চেতনা। এই চেতনা আওয়ামী লীগকে ধারণ করতে হবে।’
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্যাহর সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, এস এম কামাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।
উপজেলা নির্বাচনের বিষয়ে নেতা-কর্মীদের সতর্ক করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘নির্বাচনকে প্রভাবিত করার চেষ্টা কেউ করবেন না। কেউ প্রার্থী হতে চাইলে হবে, বাধা নেই। নৌকা দেওয়া হচ্ছে না কিছু বাস্তব পরিস্থিতির কারণে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বিএনপি করে নাই, তারপরও ৪২ দশমিক ৮ শতাংশ টার্ন আউট। এটা সারা পৃথিবীর স্ট্যান্ডার্ডে সন্তোষজনক।’
আজ বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মুজিবনগর দিবস উদ্যাপন উপলক্ষে খুলনা বিভাগের সাংগঠনিক জেলা শাখাগুলোর নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
কাদের বলেন, ‘জাতীয় ইলেকশন হয়ে গেছে, সামনে উপজেলা নির্বাচন। আমাদের নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব-সংঘাত, মনোমালিন্য—এসব যদি দৃশ্যপটে হাজির করা হয়, তাহলে আমাদের চলার পথ কঠিন হয়ে যাবে।’
দলীয় শৃঙ্খলা রক্ষায় আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা কঠোর উল্লেখ করে দলটির সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘শেখ হাসিনা নানাভাবে দলে কিছু শাস্তি দিয়ে দিয়েছেন। কতজন অনেক বড় জায়গা থেকে নেমে গেছে। শুধু জেলে পুরলেই শাস্তি, গায়ে আঘাত করলেই শাস্তি—তা নয়। শাস্তি অনেক রকম! এবার নেত্রী যে কৌশল নিয়েছেন, দলের মধ্যেও কেউ ফ্রি স্টাইল করলে, শাস্তি কিন্তু পেতেই হবে। সব নোট করে রাখেন, সময়মতো ব্যবস্থা নেবেন।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমরা ইলেকশন করেছি, স্বতন্ত্রদের ভোট করতে দিয়েছি, এতে কী হয়েছে? নতুন সংসদ বসেছে, নতুন সরকার হয়েছে। অনেক বালা-মসিবতের কথা অনেকে বলেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা সে সংকট কাটিয়ে উঠেছি। তারা (বিএনপি) ভেবেছিল ইলেকশন হলেও দুর্ভিক্ষ হবে, সরকার পাঁচ দিন টিকবে না। আবোল-তাবোল বলা তাদের রাজনীতি। আমরা সেদিকে মন দেব না। আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকলে কেউ আমাদের ক্ষতি করতে পারবে না।’
সবাইকে দায়িত্ব নিয়ে কথা বলার আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সবাই দায়িত্বশীল কথা বলবেন। অনেককে দেখি ফেসবুক লাইভে এসে বলতে থাকেন যার যা খুশি। এগুলো ঠিক নয়। দল করলে দলের শৃঙ্খলা মেনে চলতে হবে। ফ্রি স্টাইল কোনো কথা বলবে, আর দলকে সেগুলো নিতে হবে, এটা ঠিক নয়। আপনারা আসল শত্রুকে চিনুন। আসল শত্রু হচ্ছে বিএনপির নেতৃত্বাধীন সাম্প্রদায়িক শক্তি।’
বিএনপির সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘বিএনপি আন্দোলনে ব্যর্থ, নির্বাচন ঠেকাতে ব্যর্থ। ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক দিয়েও ব্যর্থ। বিএনপি নেতাদের শোয়ার ঘরে, রান্নাঘরে ভারতীয় পণ্য। তথাকথিত এই ডাক ভাঁওতাবাজি। এই ভাঁওতাবাজির অবসান হয়েছে। আজকে ব্যর্থ হয়ে বিএনপি দিশেহারা।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘লন্ডন থেকে যার হুকুমে বিএনপি চলে, তার ফ্রি স্টাইল নেতৃত্ব এখন বিএনপি নেতাদের মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছে। তারা বুঝতে শুরু করেছে-তারেক রহমান যত দিন নেতৃত্বে আছে, তত দিন বিএনপি ভুলের চোরাবালিতে আটকে আছে। এখান থেকে তারা আর বের হতে পারবে না।’
১৭ এপ্রিল মুজিবনগর সরকার দিবস উপলক্ষে সেদিন মুজিবনগরে মূল অনুষ্ঠান হবে বলে জানান সেতুমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘মূল অনুষ্ঠান হবে মুজিবনগরে। আজকে অন্য কিছু নয়, আমরা মুজিবনগর দিবস কীভাবে সার্থক করব ও পালন করব, সেটা নিয়ে আলোচনা করব।’
এ দিবসটি এই দেশে তেমন আর কেউ পালন করে না উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এই দিবসটি উপলক্ষে বিএনপিসহ বড় বড় দলগুলোর কারোই অনুষ্ঠানমালা আছে, এমনটা জানা নেই। আমরা পালন করব। কারণ, এটি আমাদের জন্মের চেতনা। এই চেতনা আওয়ামী লীগকে ধারণ করতে হবে।’
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্যাহর সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, এস এম কামাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।
নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত বলতে তারা কী বোঝাচ্ছে? তাদের এই ধারণা স্পষ্ট করা উচিত। আমি জানতে চাই, তাদের নতুন রাজনৈতিক মীমাংসা আসলে কী? আমি এ বিষয়ে কোথাও কিছু লেখা নথিভুক্ত পাইনি। তাদের প্রস্তাব কী, সেটা স্পষ্ট নয়। আমাদের যে ধরনের রাজনীতি আমরা কল্পনা করি, তা আমাদের সংবিধানে স্পষ্টভাবে নথিভুক্ত।
৮ মিনিট আগেছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে ঢাকা সেনানিবাসে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। দীর্ঘ এক যুগ পর গুরুত্বপূর্ণ এ দিবসের কর্মসূচিতে তাঁর অংশগ্রহণকে রাজনীতির জন্য ইতিবাচক ঘটনা বলে মনে করছেন বিশ্লেষক ও রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা
৪ ঘণ্টা আগেমানবমুক্তির মহান সংগ্রামে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত কমরেড হেনা দাস অবিচল ছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক কমরেড রুহিন হোসেন প্রিন্স। তিনি বলেন, ‘বঞ্চিত-নিপীড়িত মানুষের মুক্তির সংগ্রামে কমরেড হেনা দাস ছিলেন অগ্রসৈনিক।’
১৫ ঘণ্টা আগেসবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে শত্রুতা নয়—নীতি অনুসরণ করে ভারতসহ প্রতিবেশী সব রাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চায় বলে জানিয়েছেন দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান। আজ শুক্রবার (২২ নভেম্বর) ভারতের আনন্দবাজার পত্রিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।
১৮ ঘণ্টা আগে