আমিনুল ইসলাম
‘গত বছরের ক্ষতি কাটায়া উঠতে না উঠতেই লকডাউন দিয়া দিল।’ এই এক বাক্যের পেছনে কতটা দীর্ঘশ্বাস জড়ানো, তা মোহাম্মদ কাজলের চোখ না দেখলে বোঝা সম্ভব নয়। করোনা পরিস্থিতি ক্রমেই বাজে দিকে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে আগামীকাল সোমবার থেকে সন্ধ্যা ৬টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত চলাচলে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে সরকার। সরকারের তরফ থেকে ‘লকডাউন’ বলা না হলেও সাধারণ মানুষের মুখে মুখে এই বিধিনিষেধ লকডাউনেরই সমার্থক।
করোনা পরিস্থিতির কারণে গত বছরের মতো এবারও লকডাউনের মতো সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলে আগে থেকেই গুঞ্জন ছিল। শেষ পর্যন্ত তেমন সিদ্ধান্ত আসেনি। কিন্তু করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় যে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে, তাকে সাধারণ মানুষ লকডাউন বলেই বিবেচনা করছেন। গেলবারের মতোই নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে গণপরিবহন চলাচল বন্ধ থাকছে। তবে আগের মতোই বেশ কিছু বিষয় এই নিষেধাজ্ঞার আওতার বাইরে থাকছে। ফলে ঘরের বাইরে বের হওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা ভোর ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কার্যকর হলেও বিশেষত নিম্ন আয়ের মানুষদের কপালে এই সরকারি নির্দেশনা চিন্তার ভাঁজ এনে দিয়েছে। এমনই একজন লিয়াকত আলী।
রাজধানীর রামপুরা ব্রিজসংলগ্ন ফুটপাতে চা বিক্রি করেন ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার মোহাম্মদ লিয়াকত আলী (৪৬)। পরিবার নিয়ে থাকেন বাড্ডায়। সন্তান-স্ত্রী-মা-বাবাসহ মোট ১১ জনের পেট চলে এই ছোট দোকানের আয় দিয়েই। ডাল-ভাত মিলিয়ে ভালোই যাচ্ছিল দিন। কিন্তু হঠাৎ ‘লকডাউন’–এর খবর শুনে কীভাবে সংসার চালাবেন, তার চিন্তায় থই পাচ্ছেন না কোনো।
লিয়াকত আলীর ভাষায়, ‘সন্তানদের পড়াশোনা, খাওয়া-দাওয়া সবকিছু নিয়েই দুশ্চিন্তায় পড়ে গেলাম। আমাদের মতো গরিবদের জন্য “লকডাউন” এক আতঙ্কের নাম। ধনীদের কিছুই হবে না। আমাদের মতো গরিবদের না খেয়ে মরার অবস্থা হবে।
একই রকম পরিস্থিতিতে পড়েছেন কাপড় ব্যবসায়ী মোহাম্মদ কাজল। রাজধানীর বঙ্গবাজারের সিটি মার্কেটের এ কাপড় ব্যবসায়ী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গত বছরের ক্ষতি কাটায়া উঠতে না উঠতেই “লকডাউন” দিয়া দিল। এমনিতেই ঋণ-কিস্তিতে ডুইবা আছি। কী যে করুম, বুঝতে পারছি না। রোজায় ভালো বেচাবিক্রি হইব ভাবছিলাম।’
মোহাম্মদ কাজল বলেন, ‘এই ক্ষতি কাটিয়ে ওঠা সম্ভব নয়। আমরা সরকারের কাছে মার্কেট খোলা রাখার দাবি জানাই।’
আগামীকাল থেকে মার্কেট খোলা থাকবে, নাকি বন্ধ থাকবে, তা নিয়ে মার্কেট কর্তৃপক্ষ এখনো কিছু জানায়নি বলে জানিয়েছেন কাজল। বললেন, ‘টিভিতে লকডাউনের খবর দেখলাম। বলাবলি হচ্ছে, মার্কেট নাকি খুলতে দিব না।’
তরুণ উদ্যোক্তা ‘বেকারত্ব হটাও’–এর প্রতিষ্ঠাতা ফাহিম খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, যে হারে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে, ‘লকডাউন’–এর বিকল্প ছিল না। তবে সবাই যেন সরকারি বিধিনিষেধ মেনে চলে, সেদিকে দৃষ্টি দিতে হবে। যদি গত বছরের মতো পরিস্থিতি হয়, তাহলে করোনাও কমবে না, আবার অর্থনীতিতেও বড় আঘাত আসবে।
‘লকডাউন’ পরিস্থিতিতে অনেকেই চাকরি হারানোর শঙ্কায় আছেন। এমন পরিস্থিতিতে তরুণদের অনলাইন বা ই-কমার্স বিজনেসের দিকে ঝুঁকতে হবে উল্লেখ করে ফাহিম বলেন, ‘লকডাউন’–এর সময় ই-কমার্সের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করা যায়। কারণ, এই সময়ে মানুষেরা তেমন ঘর থেকে বের হতে পারবে না। তাই এখনই সময় ই-কমার্স বিজনেসের দিকে নজর দেওয়া। তবে অনেক চ্যালেঞ্জ আছে। সময়-শ্রম দিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। মানসিকভাবে শক্ত থাকতে হবে। আর অবশ্যই করোনাবিষয়ক স্বাস্থ্যনীতি মেনে চলতে হবে। ঠিকমতো স্বাস্থ্যবিধি না মানলে দেখা যাবে সরকার এই বিধিনিষেধের সময়সীমা আরও বাড়াবে। এতে হুমকিতে পড়বে অর্থনীতি।
করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারি কঠোর বিধিনিষেধের ঘোষণাকে সমাজের একেক শ্রেণি একেকভাবে নিচ্ছে। বিশেষত নিম্ন আয়ের মানুষ পড়েছে গভীর চিন্তায়। গেলবারের মতো এবারও তারা চরম অর্থনৈতিক দুর্ধশায় পড়ার আশঙ্কা করছেন। সচেতন মহল এমন পদক্ষেপকে স্বাগত জানালেও নিম্নবিত্তদের দুর্দশাকে এড়িয়ে যাচ্ছেন না। গত বছর এমন সময়ে লকডাউন চলাকালে রাজধানীর সড়কগুলোতে বহু মানুষকে খাবারের গাড়ির জন্য অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। অনেকেই চাকরি হারিয়েছেন। গেলবারের ধাক্কায় বহু মানুষ নিজের পরিবারকে গ্রামে পাঠিয়ে দিয়েছেন। তারপর পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলে কেউ কেউ ফিরে আসেন। গতকাল শনিবার লকডাউনের মতো পদক্ষেপের ঘোষণা আসতে পারে বলে জানার পরই শহর ছাড়তে রীতিমতো প্রতিযোগিতা শুরু হয়। বহু মানুষ গতকালই শহর ছেড়েছেন। আজ রোববারও এ ধারা অব্যাহত ছিল।
লকডাউনের মতো পদক্ষেপ শুধু বাংলাদেশই নয়, বিশ্বের যেকোনো দেশের নিম্নবিত্তকেই সংকটে ফেলে। এই সময়ে ই–কমার্স ভিত্তিক ব্যবসার সম্প্রসারণ হলেও খেটে খাওয়া মানুষসহ ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীদের আয়ের উৎস প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। এবারও নিম্নবিত্তদের মধ্যে একই আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। রাজধানীর কোনো কোনো জায়গায় প্রতিবাদও হয়েছে। মূলত অর্থনৈতিক নিরাপত্তাই মানুষকে স্বাস্থ্যঝুঁকি মাথায় নিয়ে কাজে নামার দাবি তুলতে বাধ্য করছে। শরবত বিক্রতা আব্দুল হালিমের কথাই আদতে এই শ্রেণির সব মানুষের অন্তরের কথা।
রাজধানীর নবাবপুর এলাকায় শরবত বিক্রেতা আব্দুল হালিম বলেন, ‘হঠাৎ “লকডাউন” দিয়া দিছে। সাতদিন কেন, আমাগো একদিনও কাজ ছাড়া চলনের উপায় নাই। এমন বেশি দিন হইলে ভিক্ষা ছাড়া উপায় থাকব না। সরকারের উচিত আমগো দিকে দেখা।’
‘গত বছরের ক্ষতি কাটায়া উঠতে না উঠতেই লকডাউন দিয়া দিল।’ এই এক বাক্যের পেছনে কতটা দীর্ঘশ্বাস জড়ানো, তা মোহাম্মদ কাজলের চোখ না দেখলে বোঝা সম্ভব নয়। করোনা পরিস্থিতি ক্রমেই বাজে দিকে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে আগামীকাল সোমবার থেকে সন্ধ্যা ৬টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত চলাচলে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে সরকার। সরকারের তরফ থেকে ‘লকডাউন’ বলা না হলেও সাধারণ মানুষের মুখে মুখে এই বিধিনিষেধ লকডাউনেরই সমার্থক।
করোনা পরিস্থিতির কারণে গত বছরের মতো এবারও লকডাউনের মতো সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলে আগে থেকেই গুঞ্জন ছিল। শেষ পর্যন্ত তেমন সিদ্ধান্ত আসেনি। কিন্তু করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় যে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে, তাকে সাধারণ মানুষ লকডাউন বলেই বিবেচনা করছেন। গেলবারের মতোই নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে গণপরিবহন চলাচল বন্ধ থাকছে। তবে আগের মতোই বেশ কিছু বিষয় এই নিষেধাজ্ঞার আওতার বাইরে থাকছে। ফলে ঘরের বাইরে বের হওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা ভোর ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কার্যকর হলেও বিশেষত নিম্ন আয়ের মানুষদের কপালে এই সরকারি নির্দেশনা চিন্তার ভাঁজ এনে দিয়েছে। এমনই একজন লিয়াকত আলী।
রাজধানীর রামপুরা ব্রিজসংলগ্ন ফুটপাতে চা বিক্রি করেন ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার মোহাম্মদ লিয়াকত আলী (৪৬)। পরিবার নিয়ে থাকেন বাড্ডায়। সন্তান-স্ত্রী-মা-বাবাসহ মোট ১১ জনের পেট চলে এই ছোট দোকানের আয় দিয়েই। ডাল-ভাত মিলিয়ে ভালোই যাচ্ছিল দিন। কিন্তু হঠাৎ ‘লকডাউন’–এর খবর শুনে কীভাবে সংসার চালাবেন, তার চিন্তায় থই পাচ্ছেন না কোনো।
লিয়াকত আলীর ভাষায়, ‘সন্তানদের পড়াশোনা, খাওয়া-দাওয়া সবকিছু নিয়েই দুশ্চিন্তায় পড়ে গেলাম। আমাদের মতো গরিবদের জন্য “লকডাউন” এক আতঙ্কের নাম। ধনীদের কিছুই হবে না। আমাদের মতো গরিবদের না খেয়ে মরার অবস্থা হবে।
একই রকম পরিস্থিতিতে পড়েছেন কাপড় ব্যবসায়ী মোহাম্মদ কাজল। রাজধানীর বঙ্গবাজারের সিটি মার্কেটের এ কাপড় ব্যবসায়ী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গত বছরের ক্ষতি কাটায়া উঠতে না উঠতেই “লকডাউন” দিয়া দিল। এমনিতেই ঋণ-কিস্তিতে ডুইবা আছি। কী যে করুম, বুঝতে পারছি না। রোজায় ভালো বেচাবিক্রি হইব ভাবছিলাম।’
মোহাম্মদ কাজল বলেন, ‘এই ক্ষতি কাটিয়ে ওঠা সম্ভব নয়। আমরা সরকারের কাছে মার্কেট খোলা রাখার দাবি জানাই।’
আগামীকাল থেকে মার্কেট খোলা থাকবে, নাকি বন্ধ থাকবে, তা নিয়ে মার্কেট কর্তৃপক্ষ এখনো কিছু জানায়নি বলে জানিয়েছেন কাজল। বললেন, ‘টিভিতে লকডাউনের খবর দেখলাম। বলাবলি হচ্ছে, মার্কেট নাকি খুলতে দিব না।’
তরুণ উদ্যোক্তা ‘বেকারত্ব হটাও’–এর প্রতিষ্ঠাতা ফাহিম খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, যে হারে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে, ‘লকডাউন’–এর বিকল্প ছিল না। তবে সবাই যেন সরকারি বিধিনিষেধ মেনে চলে, সেদিকে দৃষ্টি দিতে হবে। যদি গত বছরের মতো পরিস্থিতি হয়, তাহলে করোনাও কমবে না, আবার অর্থনীতিতেও বড় আঘাত আসবে।
‘লকডাউন’ পরিস্থিতিতে অনেকেই চাকরি হারানোর শঙ্কায় আছেন। এমন পরিস্থিতিতে তরুণদের অনলাইন বা ই-কমার্স বিজনেসের দিকে ঝুঁকতে হবে উল্লেখ করে ফাহিম বলেন, ‘লকডাউন’–এর সময় ই-কমার্সের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করা যায়। কারণ, এই সময়ে মানুষেরা তেমন ঘর থেকে বের হতে পারবে না। তাই এখনই সময় ই-কমার্স বিজনেসের দিকে নজর দেওয়া। তবে অনেক চ্যালেঞ্জ আছে। সময়-শ্রম দিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। মানসিকভাবে শক্ত থাকতে হবে। আর অবশ্যই করোনাবিষয়ক স্বাস্থ্যনীতি মেনে চলতে হবে। ঠিকমতো স্বাস্থ্যবিধি না মানলে দেখা যাবে সরকার এই বিধিনিষেধের সময়সীমা আরও বাড়াবে। এতে হুমকিতে পড়বে অর্থনীতি।
করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারি কঠোর বিধিনিষেধের ঘোষণাকে সমাজের একেক শ্রেণি একেকভাবে নিচ্ছে। বিশেষত নিম্ন আয়ের মানুষ পড়েছে গভীর চিন্তায়। গেলবারের মতো এবারও তারা চরম অর্থনৈতিক দুর্ধশায় পড়ার আশঙ্কা করছেন। সচেতন মহল এমন পদক্ষেপকে স্বাগত জানালেও নিম্নবিত্তদের দুর্দশাকে এড়িয়ে যাচ্ছেন না। গত বছর এমন সময়ে লকডাউন চলাকালে রাজধানীর সড়কগুলোতে বহু মানুষকে খাবারের গাড়ির জন্য অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। অনেকেই চাকরি হারিয়েছেন। গেলবারের ধাক্কায় বহু মানুষ নিজের পরিবারকে গ্রামে পাঠিয়ে দিয়েছেন। তারপর পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলে কেউ কেউ ফিরে আসেন। গতকাল শনিবার লকডাউনের মতো পদক্ষেপের ঘোষণা আসতে পারে বলে জানার পরই শহর ছাড়তে রীতিমতো প্রতিযোগিতা শুরু হয়। বহু মানুষ গতকালই শহর ছেড়েছেন। আজ রোববারও এ ধারা অব্যাহত ছিল।
লকডাউনের মতো পদক্ষেপ শুধু বাংলাদেশই নয়, বিশ্বের যেকোনো দেশের নিম্নবিত্তকেই সংকটে ফেলে। এই সময়ে ই–কমার্স ভিত্তিক ব্যবসার সম্প্রসারণ হলেও খেটে খাওয়া মানুষসহ ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীদের আয়ের উৎস প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। এবারও নিম্নবিত্তদের মধ্যে একই আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। রাজধানীর কোনো কোনো জায়গায় প্রতিবাদও হয়েছে। মূলত অর্থনৈতিক নিরাপত্তাই মানুষকে স্বাস্থ্যঝুঁকি মাথায় নিয়ে কাজে নামার দাবি তুলতে বাধ্য করছে। শরবত বিক্রতা আব্দুল হালিমের কথাই আদতে এই শ্রেণির সব মানুষের অন্তরের কথা।
রাজধানীর নবাবপুর এলাকায় শরবত বিক্রেতা আব্দুল হালিম বলেন, ‘হঠাৎ “লকডাউন” দিয়া দিছে। সাতদিন কেন, আমাগো একদিনও কাজ ছাড়া চলনের উপায় নাই। এমন বেশি দিন হইলে ভিক্ষা ছাড়া উপায় থাকব না। সরকারের উচিত আমগো দিকে দেখা।’
ভোরের আলো ফোটার আগেই রাজধানীর আজিমপুর বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন শ্রমজীবীদের হাটে জড়ো হন শত শত শ্রমজীবী মানুষ। বিভিন্ন বয়সের পুরুষ ও নারী শ্রমিকেরা এই হাটে প্রতিদিন ভিড় করেন একটু কাজ পাওয়ার আশায়। তবে দিন যত যাচ্ছে, তাঁদের জীবনের লড়াই ততই কঠিন হয়ে উঠছে। দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি তাঁদের জীবনকে দুর্বিষ
২৬ অক্টোবর ২০২৪ফেলুদার দার্জিলিং জমজমাট বইয়ে প্রথম পরিচয় দার্জিলিংয়ের সঙ্গে। তারপর অঞ্জন দত্তের গানসহ আরও নানাভাবে হিল স্টেশনটির প্রতি এক ভালোবাসা তৈরি হয়। তাই প্রথমবার ভারত সফরে ওটি, শিমলা, মসুরির মতো লোভনীয় হিল স্টেশনগুলোকে বাদ দিয়ে দার্জিলিংকেই বেছে নেই। অবশ্য আজকের গল্প পুরো দার্জিলিং ভ্রমণের নয়, বরং তখন পরিচয়
২৩ অক্টোবর ২০২৪কথায় আছে না—‘ঘরপোড়া গরু, সিঁদুরেমেঘ দেখলেই ডরায়’! আমার হইছে এই অবস্থা। বাড়িতে এখন বাড়িআলী, বয়স্ক বাপ-মা আর ছোট মেয়ে। সকাল থেকে চার-পাঁচবার কতা বলিচি। সংসার গোচাচ্ছে। আইজকা সন্ধ্যার দিকে ঝড় আসপি শুনতিছি। চিন্তায় রাতে ভালো ঘুমাতে পারিনি...
২৬ মে ২০২৪প্রতিদিন ভোরে ট্রেনের হুইসেলে ঘুম ভাঙে রাকিব হাসানের। একটু একটু করে গড়ে ওঠা রেলপথ নির্মাণকাজ তাঁর চোখে দেখা। এরপর রেলপথে ট্রেন ছুটে চলা, ট্রেন ছুঁয়ে দেখা—সবই হলো; কিন্তু এখনো হয়নি চড়া। রাকিবের মুখে তাই ভারতীয় সংগীতশিল্পী হৈমন্তী শুক্লার বিখ্যাত গান। ‘আমার বলার কিছু ছিল না, চেয়ে চেয়ে দেখলাম, তুমি চলে
১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪