ইমরান খান
মিরপুর–১ এর একটি চায়ের দোকানে চা পান করছিলেন পঞ্চাশোর্ধ আলমগীর হোসেন। আমিও চা নিলাম। হাসিমুখে তিনি বেঞ্চের একপাশে এগিয়ে আমাকেও বসার জায়গা করে দিলেন।
তাঁর হাতে স্মার্টফোন দেখে জানতে চাইলাম—স্মার্টফোনে আপনি কী করেন? ফেসবুক চালান?
আলমগীর: ফেসবুক তো বন্ধ। বন্ধ না ফেসবুক? ফেসবুকে ঢোকা যায় না। ইমো চলে, সব চলে কিন্তু ফেসবুকের লাইন বন্ধ কইর্যা রাখছে। যত আকাম–কুকাম হইতাছে, এগুলা সবাই ফেসবুকে ছাড়ে এই কারণে। আমি সিস্টেম কইরা ফেসবুক চালাই। ইতালির সফটওয়্যারে। ইতালি দিয়া আনাইছি। এই এইডা (সুপার ভিপিএন) দিয়া চালাই। বাংলাদেশ দেখতে পারমু, সব দেখতে পারমু।
মানে অনেকের বন্ধ আপনের চলে?
আলমগীর: যেরা মনে করেন যে সরকারের বিরুদ্ধে লাইক–টাইক একটু করে, হেগোতা বন্ধ। আমারটাও বন্ধ কইর্যা দেছে। লাইক–টাইক দেই, শেয়ার–মেয়ার করি, এই জন্য।
ফেসবুকে কী করেন?
আলমগীর: এই এমনে দেহি–টেহি।
ফেসবুক আসলে কার?
আলমগীর: ফেসবুক সরকারের, তোমার আমার না। আমাগো খালি আইডিডার মাদবারি। হেরা গোরাইদ্দা সুইচ বন্ধ কইর্যা দেলে, হেরপর কিছু আছে? কারেন্ট বন্ধ কইর্যা দেলে হেরপর কারেন্ট পাবা?
মোবাইল তোমার টাকাইদ্যা কেনছো। নেট তোমার টাকাইদ্যা ভরবা। কিন্তু, গোড়া হেগো কাছে।
যেমন, এই গ্যাসের লাইনের চাবি কোনহানে জানো? ভারতে। অইহাইনদা চাবি বন্ধ কইর্যা দেলে বাংলাদেশের গ্যাস বন্ধ।
এফির আবার আইছে। কী লইয়া গেছে আল্লাহই জানে।
ফেসবুক কি মোদির জন্যই বন্ধ?
আলমগীর: হ্যাঁ, এ তো মুদি আসার কারণেই। এই যে মারামারি, মিছিল–মিটিং হইতাছে, এগুলা সবাই ফেসবুকে লেখতাছে। আগে লাইভে ঢুকতে পরতাম না।
কথা বলতে বলতে ফেসবুকে ঢুকে হেফাজতের সঙ্গে ছাত্রলীগ, পুলিশের সংঘর্ষের খবর দেখিয়ে বললেন—‘এইডার উপরে যারা লাইক দেবে হেগোই ধরবে।’ একেবারে প্রমাণসহ বোঝাতে চাইলেন বিষয়টি। বোঝা যাচ্ছে চটে আছেন বেশ। কিন্তু কী থেকে কী হয়, কেটে পড়লাম। ছবিটাও তোলা হলো না।
মিরপুর–১ এর একটি চায়ের দোকানে চা পান করছিলেন পঞ্চাশোর্ধ আলমগীর হোসেন। আমিও চা নিলাম। হাসিমুখে তিনি বেঞ্চের একপাশে এগিয়ে আমাকেও বসার জায়গা করে দিলেন।
তাঁর হাতে স্মার্টফোন দেখে জানতে চাইলাম—স্মার্টফোনে আপনি কী করেন? ফেসবুক চালান?
আলমগীর: ফেসবুক তো বন্ধ। বন্ধ না ফেসবুক? ফেসবুকে ঢোকা যায় না। ইমো চলে, সব চলে কিন্তু ফেসবুকের লাইন বন্ধ কইর্যা রাখছে। যত আকাম–কুকাম হইতাছে, এগুলা সবাই ফেসবুকে ছাড়ে এই কারণে। আমি সিস্টেম কইরা ফেসবুক চালাই। ইতালির সফটওয়্যারে। ইতালি দিয়া আনাইছি। এই এইডা (সুপার ভিপিএন) দিয়া চালাই। বাংলাদেশ দেখতে পারমু, সব দেখতে পারমু।
মানে অনেকের বন্ধ আপনের চলে?
আলমগীর: যেরা মনে করেন যে সরকারের বিরুদ্ধে লাইক–টাইক একটু করে, হেগোতা বন্ধ। আমারটাও বন্ধ কইর্যা দেছে। লাইক–টাইক দেই, শেয়ার–মেয়ার করি, এই জন্য।
ফেসবুকে কী করেন?
আলমগীর: এই এমনে দেহি–টেহি।
ফেসবুক আসলে কার?
আলমগীর: ফেসবুক সরকারের, তোমার আমার না। আমাগো খালি আইডিডার মাদবারি। হেরা গোরাইদ্দা সুইচ বন্ধ কইর্যা দেলে, হেরপর কিছু আছে? কারেন্ট বন্ধ কইর্যা দেলে হেরপর কারেন্ট পাবা?
মোবাইল তোমার টাকাইদ্যা কেনছো। নেট তোমার টাকাইদ্যা ভরবা। কিন্তু, গোড়া হেগো কাছে।
যেমন, এই গ্যাসের লাইনের চাবি কোনহানে জানো? ভারতে। অইহাইনদা চাবি বন্ধ কইর্যা দেলে বাংলাদেশের গ্যাস বন্ধ।
এফির আবার আইছে। কী লইয়া গেছে আল্লাহই জানে।
ফেসবুক কি মোদির জন্যই বন্ধ?
আলমগীর: হ্যাঁ, এ তো মুদি আসার কারণেই। এই যে মারামারি, মিছিল–মিটিং হইতাছে, এগুলা সবাই ফেসবুকে লেখতাছে। আগে লাইভে ঢুকতে পরতাম না।
কথা বলতে বলতে ফেসবুকে ঢুকে হেফাজতের সঙ্গে ছাত্রলীগ, পুলিশের সংঘর্ষের খবর দেখিয়ে বললেন—‘এইডার উপরে যারা লাইক দেবে হেগোই ধরবে।’ একেবারে প্রমাণসহ বোঝাতে চাইলেন বিষয়টি। বোঝা যাচ্ছে চটে আছেন বেশ। কিন্তু কী থেকে কী হয়, কেটে পড়লাম। ছবিটাও তোলা হলো না।
ভোরের আলো ফোটার আগেই রাজধানীর আজিমপুর বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন শ্রমজীবীদের হাটে জড়ো হন শত শত শ্রমজীবী মানুষ। বিভিন্ন বয়সের পুরুষ ও নারী শ্রমিকেরা এই হাটে প্রতিদিন ভিড় করেন একটু কাজ পাওয়ার আশায়। তবে দিন যত যাচ্ছে, তাঁদের জীবনের লড়াই ততই কঠিন হয়ে উঠছে। দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি তাঁদের জীবনকে দুর্বিষ
২৬ অক্টোবর ২০২৪ফেলুদার দার্জিলিং জমজমাট বইয়ে প্রথম পরিচয় দার্জিলিংয়ের সঙ্গে। তারপর অঞ্জন দত্তের গানসহ আরও নানাভাবে হিল স্টেশনটির প্রতি এক ভালোবাসা তৈরি হয়। তাই প্রথমবার ভারত সফরে ওটি, শিমলা, মসুরির মতো লোভনীয় হিল স্টেশনগুলোকে বাদ দিয়ে দার্জিলিংকেই বেছে নেই। অবশ্য আজকের গল্প পুরো দার্জিলিং ভ্রমণের নয়, বরং তখন পরিচয়
২৩ অক্টোবর ২০২৪কথায় আছে না—‘ঘরপোড়া গরু, সিঁদুরেমেঘ দেখলেই ডরায়’! আমার হইছে এই অবস্থা। বাড়িতে এখন বাড়িআলী, বয়স্ক বাপ-মা আর ছোট মেয়ে। সকাল থেকে চার-পাঁচবার কতা বলিচি। সংসার গোচাচ্ছে। আইজকা সন্ধ্যার দিকে ঝড় আসপি শুনতিছি। চিন্তায় রাতে ভালো ঘুমাতে পারিনি...
২৬ মে ২০২৪প্রতিদিন ভোরে ট্রেনের হুইসেলে ঘুম ভাঙে রাকিব হাসানের। একটু একটু করে গড়ে ওঠা রেলপথ নির্মাণকাজ তাঁর চোখে দেখা। এরপর রেলপথে ট্রেন ছুটে চলা, ট্রেন ছুঁয়ে দেখা—সবই হলো; কিন্তু এখনো হয়নি চড়া। রাকিবের মুখে তাই ভারতীয় সংগীতশিল্পী হৈমন্তী শুক্লার বিখ্যাত গান। ‘আমার বলার কিছু ছিল না, চেয়ে চেয়ে দেখলাম, তুমি চলে
১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪