ইমরান খান
ঢাকা: বাজেট নিয়ে মানুষের আগ্রহ কতটা? সোজা কথায় অত হিসাব–নিকাশ তাঁরা বোঝেন না। তাঁরা শুধু বোঝেন, নুনটা, তেলটা আর চালটার দাম কমলো নাকি বাড়ল। তাই আজকে যে জাতীয় বাজেট উপস্থাপনের দিন সে খোঁজ নেই অনেকের কাছেই। এমনকি আব্দুল হাই (৫৫) বেশ পুরোনো ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী হলেও জাতীয় বাজেটে আগ্রহ নেই তাঁর। দক্ষিণ বনশ্রীর মেরাদিয়া বাজারে এসেছিলেন চাল–ডাল কিনতে।
আজ তো সংসদে বাজেট, খোঁজ আছে? মোটরসাইকেলে বসা অবস্থাতেই বললেন, নাহ! আসলে! মুখে সংকোচের হাসি। খোঁজ নাই কেন? কারণ, করোনা নিয়া সবাই ব্যস্ত, দেহেন না? কেমনে সুস্থ থাহন যাইবো হেই চিন্তা কইরাই তো কুল পাই না!
অর্থমন্ত্রী তো বলেছেন এবারের বাজেট সব শ্রেণি–পেশার মানুষের জন্য। আপনি কি বলেন? নাহ্! মন্ত্রীর আশ্বাসে বিশ্বাস নেই আব্দুল হাইয়ের। রাজনীতিকদের ওপর থেকেই আস্থা উঠে গেছে তাঁর।
‘যেইভাবে দেশ চালাইতাছে দেহেন না? যে অবস্থা চলছে, সাধারণ মানুষ, গরিবের কোন উপায় আছে? জিনিসপত্রের দাম যে অবস্থা! তেল-টেল যা আছে সবই তো এক অবস্থা। ব্যবসা-বাণিজ্য আছে কিছু? দেশে খালি শিল্পপতি আর সরকার সচ্ছল।’
জিনিসপত্রের দাম বাড়লে মানুষ অভিযোগ-আন্দোলন করে না কেন? আব্দুল হাই বলেন, সরকারের ভয়ে, মামলা-মোকদ্দমার ভয়ে। বিস্তর উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, কথা কইলেই তো বিভিন্ন ইস্যু দিয়া জেলে ভইরা থোয়। আপনেরা তো বোঝেন–ই। সরকারের লগে পারার তো কোন রাস্তা নাই। কথা বললেই বিপদ। এইভাবে যে কয়দিন চলে।
২০২০-২১ সালের বাজেটের কেমন বাস্তবায়ন দেখলেন? আব্দুল হাই ইতিবাচক কিছুই দেখছেন না। বছরজুড়ে সংবাদমাধ্যমে দুর্নীতি লুটপাটের খবর দেখতে দেখতে তাঁর দৃঢ় বিশ্বাস জন্মে গেছে–সব গেছে সরকারি লোকেদের পেটে!
‘তাতো দেখছেনই। কুটি কুটি (কোটি) টাকা কীভাবে আত্মসাৎ-লুটপাট করছে। সরকারের লোকেরা এই তো করতাছে, আর কি করতাছে? গরিব দিনে দিনে বাড়তাছেগা, সাধারণ মানুষ গরিব হইয়া যাইতাছেগা। যারা রাজনীতি করতাছে আর যারা আমলা তাঁরাই তো দ্যাশ বিদাশে বাড়িঘর করতাছে। আর সাধারণ মানুষ জায়গা জমি বেইচ্যা খাইতাছে, পেশা বদলাইতাছে।’
তাহলে এবারের বাজেটে কি একুটও আশা দেখছেন না আব্দুল হাই? তাচ্ছিল্যের সুরে বলেন, হ্যাহ! সরকার যদি ঠিক না থাহে, মন্ত্রী মিনিস্টার যদি চোর থাহে, বাজেট জনগণের পক্ষে কেমনে আইবো? সরকার যদি চোর না আটকাইতে পারে সাধারণ মানুষ কিছু পাইবো? দেহেন নাই-করোনার মধ্যে কত রহমের সাহায্য আইছে। দেহেন মানুষ পাইছেনি। বিভিন্ন খবরে তো আইতাছে। মেডিকেলে দেহেন না? কুটি কুটি (কোটি) টাকা আত্মসাৎ করে; কানাডায় বাড়ি করে, ওইহানে বাড়ি করে। একজন মহিলা সচিপ (সচিব) কি করছে দেহেন নাই? একজন সাংবাদিক প্রতিবাদ করতে গেছে, হ্যারে (তাঁকে) জেলে ভইরা থুইয়া দেছে। বড়, সিনিয়র সাংবাদিকরেই যদি জেলে ভইরা রাহে, আমরা সাধারণ মানুষ কী?
চোখেমুখে ক্ষোভ আর হতাশা নিয়ে মোটরসাইকেল স্টার্ট দিয়ে সোজা টান দেন আব্দুল হাই। এ নিয়ে আর কথা বলার মতো প্রবৃত্তি যেন নেই তাঁর!
ঢাকা: বাজেট নিয়ে মানুষের আগ্রহ কতটা? সোজা কথায় অত হিসাব–নিকাশ তাঁরা বোঝেন না। তাঁরা শুধু বোঝেন, নুনটা, তেলটা আর চালটার দাম কমলো নাকি বাড়ল। তাই আজকে যে জাতীয় বাজেট উপস্থাপনের দিন সে খোঁজ নেই অনেকের কাছেই। এমনকি আব্দুল হাই (৫৫) বেশ পুরোনো ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী হলেও জাতীয় বাজেটে আগ্রহ নেই তাঁর। দক্ষিণ বনশ্রীর মেরাদিয়া বাজারে এসেছিলেন চাল–ডাল কিনতে।
আজ তো সংসদে বাজেট, খোঁজ আছে? মোটরসাইকেলে বসা অবস্থাতেই বললেন, নাহ! আসলে! মুখে সংকোচের হাসি। খোঁজ নাই কেন? কারণ, করোনা নিয়া সবাই ব্যস্ত, দেহেন না? কেমনে সুস্থ থাহন যাইবো হেই চিন্তা কইরাই তো কুল পাই না!
অর্থমন্ত্রী তো বলেছেন এবারের বাজেট সব শ্রেণি–পেশার মানুষের জন্য। আপনি কি বলেন? নাহ্! মন্ত্রীর আশ্বাসে বিশ্বাস নেই আব্দুল হাইয়ের। রাজনীতিকদের ওপর থেকেই আস্থা উঠে গেছে তাঁর।
‘যেইভাবে দেশ চালাইতাছে দেহেন না? যে অবস্থা চলছে, সাধারণ মানুষ, গরিবের কোন উপায় আছে? জিনিসপত্রের দাম যে অবস্থা! তেল-টেল যা আছে সবই তো এক অবস্থা। ব্যবসা-বাণিজ্য আছে কিছু? দেশে খালি শিল্পপতি আর সরকার সচ্ছল।’
জিনিসপত্রের দাম বাড়লে মানুষ অভিযোগ-আন্দোলন করে না কেন? আব্দুল হাই বলেন, সরকারের ভয়ে, মামলা-মোকদ্দমার ভয়ে। বিস্তর উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, কথা কইলেই তো বিভিন্ন ইস্যু দিয়া জেলে ভইরা থোয়। আপনেরা তো বোঝেন–ই। সরকারের লগে পারার তো কোন রাস্তা নাই। কথা বললেই বিপদ। এইভাবে যে কয়দিন চলে।
২০২০-২১ সালের বাজেটের কেমন বাস্তবায়ন দেখলেন? আব্দুল হাই ইতিবাচক কিছুই দেখছেন না। বছরজুড়ে সংবাদমাধ্যমে দুর্নীতি লুটপাটের খবর দেখতে দেখতে তাঁর দৃঢ় বিশ্বাস জন্মে গেছে–সব গেছে সরকারি লোকেদের পেটে!
‘তাতো দেখছেনই। কুটি কুটি (কোটি) টাকা কীভাবে আত্মসাৎ-লুটপাট করছে। সরকারের লোকেরা এই তো করতাছে, আর কি করতাছে? গরিব দিনে দিনে বাড়তাছেগা, সাধারণ মানুষ গরিব হইয়া যাইতাছেগা। যারা রাজনীতি করতাছে আর যারা আমলা তাঁরাই তো দ্যাশ বিদাশে বাড়িঘর করতাছে। আর সাধারণ মানুষ জায়গা জমি বেইচ্যা খাইতাছে, পেশা বদলাইতাছে।’
তাহলে এবারের বাজেটে কি একুটও আশা দেখছেন না আব্দুল হাই? তাচ্ছিল্যের সুরে বলেন, হ্যাহ! সরকার যদি ঠিক না থাহে, মন্ত্রী মিনিস্টার যদি চোর থাহে, বাজেট জনগণের পক্ষে কেমনে আইবো? সরকার যদি চোর না আটকাইতে পারে সাধারণ মানুষ কিছু পাইবো? দেহেন নাই-করোনার মধ্যে কত রহমের সাহায্য আইছে। দেহেন মানুষ পাইছেনি। বিভিন্ন খবরে তো আইতাছে। মেডিকেলে দেহেন না? কুটি কুটি (কোটি) টাকা আত্মসাৎ করে; কানাডায় বাড়ি করে, ওইহানে বাড়ি করে। একজন মহিলা সচিপ (সচিব) কি করছে দেহেন নাই? একজন সাংবাদিক প্রতিবাদ করতে গেছে, হ্যারে (তাঁকে) জেলে ভইরা থুইয়া দেছে। বড়, সিনিয়র সাংবাদিকরেই যদি জেলে ভইরা রাহে, আমরা সাধারণ মানুষ কী?
চোখেমুখে ক্ষোভ আর হতাশা নিয়ে মোটরসাইকেল স্টার্ট দিয়ে সোজা টান দেন আব্দুল হাই। এ নিয়ে আর কথা বলার মতো প্রবৃত্তি যেন নেই তাঁর!
ভোরের আলো ফোটার আগেই রাজধানীর আজিমপুর বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন শ্রমজীবীদের হাটে জড়ো হন শত শত শ্রমজীবী মানুষ। বিভিন্ন বয়সের পুরুষ ও নারী শ্রমিকেরা এই হাটে প্রতিদিন ভিড় করেন একটু কাজ পাওয়ার আশায়। তবে দিন যত যাচ্ছে, তাঁদের জীবনের লড়াই ততই কঠিন হয়ে উঠছে। দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি তাঁদের জীবনকে দুর্বিষ
২৬ অক্টোবর ২০২৪ফেলুদার দার্জিলিং জমজমাট বইয়ে প্রথম পরিচয় দার্জিলিংয়ের সঙ্গে। তারপর অঞ্জন দত্তের গানসহ আরও নানাভাবে হিল স্টেশনটির প্রতি এক ভালোবাসা তৈরি হয়। তাই প্রথমবার ভারত সফরে ওটি, শিমলা, মসুরির মতো লোভনীয় হিল স্টেশনগুলোকে বাদ দিয়ে দার্জিলিংকেই বেছে নেই। অবশ্য আজকের গল্প পুরো দার্জিলিং ভ্রমণের নয়, বরং তখন পরিচয়
২৩ অক্টোবর ২০২৪কথায় আছে না—‘ঘরপোড়া গরু, সিঁদুরেমেঘ দেখলেই ডরায়’! আমার হইছে এই অবস্থা। বাড়িতে এখন বাড়িআলী, বয়স্ক বাপ-মা আর ছোট মেয়ে। সকাল থেকে চার-পাঁচবার কতা বলিচি। সংসার গোচাচ্ছে। আইজকা সন্ধ্যার দিকে ঝড় আসপি শুনতিছি। চিন্তায় রাতে ভালো ঘুমাতে পারিনি...
২৬ মে ২০২৪প্রতিদিন ভোরে ট্রেনের হুইসেলে ঘুম ভাঙে রাকিব হাসানের। একটু একটু করে গড়ে ওঠা রেলপথ নির্মাণকাজ তাঁর চোখে দেখা। এরপর রেলপথে ট্রেন ছুটে চলা, ট্রেন ছুঁয়ে দেখা—সবই হলো; কিন্তু এখনো হয়নি চড়া। রাকিবের মুখে তাই ভারতীয় সংগীতশিল্পী হৈমন্তী শুক্লার বিখ্যাত গান। ‘আমার বলার কিছু ছিল না, চেয়ে চেয়ে দেখলাম, তুমি চলে
১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪