ফজলুল কবির
সব এমন রং করছেন কেন?
আবু তাহের: ভাল্লাগে।
এটা তো আর্জেন্টিনার পতাকার রং—
আবু তাহের: হ। ভাল্লাগে।
রং কে করছে?
আবু তাহের: আমিই করছি।
রিকশা নিজের?
আবু তাহের: হ, আমারই রিকশা। নাইলে রং করা যাইত না।
কেন ভালো লাগে?
আবু তাহের: খেলে ভালো। কতো স্টার!
কী খেলে?
আবু তাহের: ফুটবল। (প্যাডেল দেওয়া বন্ধ করে অনেকটা বিরক্ত হয়ে পেছনে তাকিয়ে বললেন। মনে হলো, পেছনে প্রতিপক্ষ ব্রাজিল শিবিরের কেউ গেজাচ্ছেন বলে মনে করেছেন!)
ফুটবল খেলে ভালো? তা বিশ্বকাপ তো পায় না তারা? কী খেলে?
আবু তাহের: কে কয় পায় না? চৌদ্দর (২০১৪) বিশ্বকাপ তো জার্মানি ষড়যন্ত্র কইরা নিয়া গেছে।
কেমনে ষড়যন্ত্র হইল? জার্মানি গোল না দিয়া জিতছে?
আবু তাহের: না দিছে। কিন্তু একটা পেনাল্টি দেয় নাই। আর ওই একটা গোল, ওইটাও তো অফসাইডে ছিল।
তা রেফারি কী করছে?
আবু তাহের: ষড়যন্ত্র।
এর পরে আর বিশ্বকাপ হয় নাই?
আবু তাহের: হইব না কেন? আঠারো (২০১৮) সালেই হইছে। ওইটা জমে নাই। ফ্রান্সের কাছে হাইরা গেছে।
কার খেলা ভালো লাগে আপনার?
আবু তাহের: মেসির খেলা।
কিন্তু সে তো জিতাইতে পারল না।
আবু তাহের: চৌদ্দতে (২০১৪ সালে বিশ্বকাপ ফুটবলের) ফাইনালে নিল। কোপার (কোপা আমেরিকার) ফাইনালে নিল।
ফাইনাল খেলছে। কিন্তু জিততে তো পারে নাই?
আবু তাহের: ডিফেন্স নাই। জিতব কেমনে? সাম্পাওলি বেলমাথা, বুঝে কিছু? সাম্পাওলি কোচ। গুলি (গোলকিপার) নিছে আরেক বেলমাথারে। কোচও বেলমাথা, গুলিও বেলমাথা। গোল তো খাইবই। বল দেইখা তাল পায় না।
আর তো আশা নাই।
আবু তাহের: কেন? আগামী বছর খেলা আছে না?
কিন্তু মেসির তো ফর্ম নাই।
আবু তাহের: আছে, আছে।
কই। আগে যাও ক্লাবের খেলায় ভালো করত, এখন তো আর তেমন খেলে না।
আবু তাহের: আগামী বছর খেলা আছে না?
আপনি কবে থেকে আর্জেন্টিনার ভক্ত হলেন?
আবু তাহের: ছিয়াশি সালে (১৯৮৬ সালের বিশ্বকাপ ফুটবল), তখন ছোট ছিলাম। ওই সময় থেইকাই।
তার মানে ম্যারাডোনা—
আবু তাহের: কী খেলত! মরল যে, পুরো পৃথিবী একটা লাড়া (নাড়া) খাইল না? লাড়া খাইল। যেমন খেলত, তেমন কথা কইত। সবাই আহাজারি করছে।
তা ওই ছিয়াশির পর তো আর জিতল না। কেন বলেন তো?
আবু তাহের: ডিফেন্স নাই। ডিফেন্স না থাকলে খেলা হয়? হয় না। গুলিও (গোলকিপার) ভালো পায় না। এই দুইটা জায়গা ঠিক হইলেই জিতব। আগামীবারই জিতব।
ধন্যবাদ, ভালো থাইকেন। দেখা হবে।
আবু তাহের: দেখা হবে।
সব এমন রং করছেন কেন?
আবু তাহের: ভাল্লাগে।
এটা তো আর্জেন্টিনার পতাকার রং—
আবু তাহের: হ। ভাল্লাগে।
রং কে করছে?
আবু তাহের: আমিই করছি।
রিকশা নিজের?
আবু তাহের: হ, আমারই রিকশা। নাইলে রং করা যাইত না।
কেন ভালো লাগে?
আবু তাহের: খেলে ভালো। কতো স্টার!
কী খেলে?
আবু তাহের: ফুটবল। (প্যাডেল দেওয়া বন্ধ করে অনেকটা বিরক্ত হয়ে পেছনে তাকিয়ে বললেন। মনে হলো, পেছনে প্রতিপক্ষ ব্রাজিল শিবিরের কেউ গেজাচ্ছেন বলে মনে করেছেন!)
ফুটবল খেলে ভালো? তা বিশ্বকাপ তো পায় না তারা? কী খেলে?
আবু তাহের: কে কয় পায় না? চৌদ্দর (২০১৪) বিশ্বকাপ তো জার্মানি ষড়যন্ত্র কইরা নিয়া গেছে।
কেমনে ষড়যন্ত্র হইল? জার্মানি গোল না দিয়া জিতছে?
আবু তাহের: না দিছে। কিন্তু একটা পেনাল্টি দেয় নাই। আর ওই একটা গোল, ওইটাও তো অফসাইডে ছিল।
তা রেফারি কী করছে?
আবু তাহের: ষড়যন্ত্র।
এর পরে আর বিশ্বকাপ হয় নাই?
আবু তাহের: হইব না কেন? আঠারো (২০১৮) সালেই হইছে। ওইটা জমে নাই। ফ্রান্সের কাছে হাইরা গেছে।
কার খেলা ভালো লাগে আপনার?
আবু তাহের: মেসির খেলা।
কিন্তু সে তো জিতাইতে পারল না।
আবু তাহের: চৌদ্দতে (২০১৪ সালে বিশ্বকাপ ফুটবলের) ফাইনালে নিল। কোপার (কোপা আমেরিকার) ফাইনালে নিল।
ফাইনাল খেলছে। কিন্তু জিততে তো পারে নাই?
আবু তাহের: ডিফেন্স নাই। জিতব কেমনে? সাম্পাওলি বেলমাথা, বুঝে কিছু? সাম্পাওলি কোচ। গুলি (গোলকিপার) নিছে আরেক বেলমাথারে। কোচও বেলমাথা, গুলিও বেলমাথা। গোল তো খাইবই। বল দেইখা তাল পায় না।
আর তো আশা নাই।
আবু তাহের: কেন? আগামী বছর খেলা আছে না?
কিন্তু মেসির তো ফর্ম নাই।
আবু তাহের: আছে, আছে।
কই। আগে যাও ক্লাবের খেলায় ভালো করত, এখন তো আর তেমন খেলে না।
আবু তাহের: আগামী বছর খেলা আছে না?
আপনি কবে থেকে আর্জেন্টিনার ভক্ত হলেন?
আবু তাহের: ছিয়াশি সালে (১৯৮৬ সালের বিশ্বকাপ ফুটবল), তখন ছোট ছিলাম। ওই সময় থেইকাই।
তার মানে ম্যারাডোনা—
আবু তাহের: কী খেলত! মরল যে, পুরো পৃথিবী একটা লাড়া (নাড়া) খাইল না? লাড়া খাইল। যেমন খেলত, তেমন কথা কইত। সবাই আহাজারি করছে।
তা ওই ছিয়াশির পর তো আর জিতল না। কেন বলেন তো?
আবু তাহের: ডিফেন্স নাই। ডিফেন্স না থাকলে খেলা হয়? হয় না। গুলিও (গোলকিপার) ভালো পায় না। এই দুইটা জায়গা ঠিক হইলেই জিতব। আগামীবারই জিতব।
ধন্যবাদ, ভালো থাইকেন। দেখা হবে।
আবু তাহের: দেখা হবে।
ভোরের আলো ফোটার আগেই রাজধানীর আজিমপুর বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন শ্রমজীবীদের হাটে জড়ো হন শত শত শ্রমজীবী মানুষ। বিভিন্ন বয়সের পুরুষ ও নারী শ্রমিকেরা এই হাটে প্রতিদিন ভিড় করেন একটু কাজ পাওয়ার আশায়। তবে দিন যত যাচ্ছে, তাঁদের জীবনের লড়াই ততই কঠিন হয়ে উঠছে। দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি তাঁদের জীবনকে দুর্বিষ
২৬ অক্টোবর ২০২৪ফেলুদার দার্জিলিং জমজমাট বইয়ে প্রথম পরিচয় দার্জিলিংয়ের সঙ্গে। তারপর অঞ্জন দত্তের গানসহ আরও নানাভাবে হিল স্টেশনটির প্রতি এক ভালোবাসা তৈরি হয়। তাই প্রথমবার ভারত সফরে ওটি, শিমলা, মসুরির মতো লোভনীয় হিল স্টেশনগুলোকে বাদ দিয়ে দার্জিলিংকেই বেছে নেই। অবশ্য আজকের গল্প পুরো দার্জিলিং ভ্রমণের নয়, বরং তখন পরিচয়
২৩ অক্টোবর ২০২৪কথায় আছে না—‘ঘরপোড়া গরু, সিঁদুরেমেঘ দেখলেই ডরায়’! আমার হইছে এই অবস্থা। বাড়িতে এখন বাড়িআলী, বয়স্ক বাপ-মা আর ছোট মেয়ে। সকাল থেকে চার-পাঁচবার কতা বলিচি। সংসার গোচাচ্ছে। আইজকা সন্ধ্যার দিকে ঝড় আসপি শুনতিছি। চিন্তায় রাতে ভালো ঘুমাতে পারিনি...
২৬ মে ২০২৪প্রতিদিন ভোরে ট্রেনের হুইসেলে ঘুম ভাঙে রাকিব হাসানের। একটু একটু করে গড়ে ওঠা রেলপথ নির্মাণকাজ তাঁর চোখে দেখা। এরপর রেলপথে ট্রেন ছুটে চলা, ট্রেন ছুঁয়ে দেখা—সবই হলো; কিন্তু এখনো হয়নি চড়া। রাকিবের মুখে তাই ভারতীয় সংগীতশিল্পী হৈমন্তী শুক্লার বিখ্যাত গান। ‘আমার বলার কিছু ছিল না, চেয়ে চেয়ে দেখলাম, তুমি চলে
১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪