ইমতিয়াজ আহমেদ
শিবচর (মাদারীপুর): ‘যে কয় টাকা কামাই কইরা আনছিলাম, লকডাউনে বাড়ি বইসা সব শ্যাষ হইয়া গেছে। সামনে ঈদ। পুলাপানসহ পরিবারের সবাই নতুন জামা–কাপড়ের আশায় থাকে ঈদে। নতুন জামাকাপড় দিতে না পারলে নিজের কাছেই খারাপ লাগব। কালকে থাইকা দোকান-পাট খুলব। তাই ঢাকা যাইতাছি। ঈদের খরচা জুগাইতে হইব।’ কথাগুলো মো. হাচেন মিয়ার।
আজ শনিবার রাজধানী ঢাকায় যাওয়ার জন্য যাত্রীদের স্রোত নেমেছে শিবচরের বাংলাবাজার ঘাটে। ভোরের আলো ফোটার আগে থেকেই যাত্রীরা দলে দলে ঘাটে এসে পৌঁছায় দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা থেকে। লঞ্চ ও স্পিডবোট বন্ধ থাকায় ফেরিতে চেপে বসেন তাঁরা। যাত্রীদের বেশির ভাগই ঢাকায় বিভিন্ন কাজে নিয়োজিত শ্রমিক, কর্মচারী, দিনমজুর বা ছোট চাকরিজীবী। আগামীকাল রোববার থেকে মার্কেট, শপিংমল খুলছে। গিয়েই কাজে লেগে যেতে হবে—এমন প্রত্যয় নিয়ে করোনা ঝুঁকিতে স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই ছুটছে হচ্ছে তাঁদের। তাঁদেরই একজন এই হাচেন মিয়া।
ঢাকায় ফুটপাতে বাচ্চাদের জামাকাপড় বিক্রি করেন হাচেন মিয়া। করোনার লকডাউনে তীব্র ভিড়ের মধ্যে ফেরিতে নিজের জায়গা করে নিতে নিতে দ্রুত গতিতে কথাগুলো বললেন তিনি। একদিকে ক্ষুধা, অন্যদিকে করোনা। করোনার কথা তুলতেই তাই বললেন, ‘প্যাডে ভাত না থাকলে করোনা দিয়া কি হইব? আগে তো খাইয়া বাঁচতে হইব? প্যাডের চিন্তা না থাকলে বাড়িতে পরিবারের সাথেই থাকতাম। বাইর হইতাম না।’
শিবচর (মাদারীপুর): ‘যে কয় টাকা কামাই কইরা আনছিলাম, লকডাউনে বাড়ি বইসা সব শ্যাষ হইয়া গেছে। সামনে ঈদ। পুলাপানসহ পরিবারের সবাই নতুন জামা–কাপড়ের আশায় থাকে ঈদে। নতুন জামাকাপড় দিতে না পারলে নিজের কাছেই খারাপ লাগব। কালকে থাইকা দোকান-পাট খুলব। তাই ঢাকা যাইতাছি। ঈদের খরচা জুগাইতে হইব।’ কথাগুলো মো. হাচেন মিয়ার।
আজ শনিবার রাজধানী ঢাকায় যাওয়ার জন্য যাত্রীদের স্রোত নেমেছে শিবচরের বাংলাবাজার ঘাটে। ভোরের আলো ফোটার আগে থেকেই যাত্রীরা দলে দলে ঘাটে এসে পৌঁছায় দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা থেকে। লঞ্চ ও স্পিডবোট বন্ধ থাকায় ফেরিতে চেপে বসেন তাঁরা। যাত্রীদের বেশির ভাগই ঢাকায় বিভিন্ন কাজে নিয়োজিত শ্রমিক, কর্মচারী, দিনমজুর বা ছোট চাকরিজীবী। আগামীকাল রোববার থেকে মার্কেট, শপিংমল খুলছে। গিয়েই কাজে লেগে যেতে হবে—এমন প্রত্যয় নিয়ে করোনা ঝুঁকিতে স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই ছুটছে হচ্ছে তাঁদের। তাঁদেরই একজন এই হাচেন মিয়া।
ঢাকায় ফুটপাতে বাচ্চাদের জামাকাপড় বিক্রি করেন হাচেন মিয়া। করোনার লকডাউনে তীব্র ভিড়ের মধ্যে ফেরিতে নিজের জায়গা করে নিতে নিতে দ্রুত গতিতে কথাগুলো বললেন তিনি। একদিকে ক্ষুধা, অন্যদিকে করোনা। করোনার কথা তুলতেই তাই বললেন, ‘প্যাডে ভাত না থাকলে করোনা দিয়া কি হইব? আগে তো খাইয়া বাঁচতে হইব? প্যাডের চিন্তা না থাকলে বাড়িতে পরিবারের সাথেই থাকতাম। বাইর হইতাম না।’
ভোরের আলো ফোটার আগেই রাজধানীর আজিমপুর বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন শ্রমজীবীদের হাটে জড়ো হন শত শত শ্রমজীবী মানুষ। বিভিন্ন বয়সের পুরুষ ও নারী শ্রমিকেরা এই হাটে প্রতিদিন ভিড় করেন একটু কাজ পাওয়ার আশায়। তবে দিন যত যাচ্ছে, তাঁদের জীবনের লড়াই ততই কঠিন হয়ে উঠছে। দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি তাঁদের জীবনকে দুর্বিষ
২৬ অক্টোবর ২০২৪ফেলুদার দার্জিলিং জমজমাট বইয়ে প্রথম পরিচয় দার্জিলিংয়ের সঙ্গে। তারপর অঞ্জন দত্তের গানসহ আরও নানাভাবে হিল স্টেশনটির প্রতি এক ভালোবাসা তৈরি হয়। তাই প্রথমবার ভারত সফরে ওটি, শিমলা, মসুরির মতো লোভনীয় হিল স্টেশনগুলোকে বাদ দিয়ে দার্জিলিংকেই বেছে নেই। অবশ্য আজকের গল্প পুরো দার্জিলিং ভ্রমণের নয়, বরং তখন পরিচয়
২৩ অক্টোবর ২০২৪কথায় আছে না—‘ঘরপোড়া গরু, সিঁদুরেমেঘ দেখলেই ডরায়’! আমার হইছে এই অবস্থা। বাড়িতে এখন বাড়িআলী, বয়স্ক বাপ-মা আর ছোট মেয়ে। সকাল থেকে চার-পাঁচবার কতা বলিচি। সংসার গোচাচ্ছে। আইজকা সন্ধ্যার দিকে ঝড় আসপি শুনতিছি। চিন্তায় রাতে ভালো ঘুমাতে পারিনি...
২৬ মে ২০২৪প্রতিদিন ভোরে ট্রেনের হুইসেলে ঘুম ভাঙে রাকিব হাসানের। একটু একটু করে গড়ে ওঠা রেলপথ নির্মাণকাজ তাঁর চোখে দেখা। এরপর রেলপথে ট্রেন ছুটে চলা, ট্রেন ছুঁয়ে দেখা—সবই হলো; কিন্তু এখনো হয়নি চড়া। রাকিবের মুখে তাই ভারতীয় সংগীতশিল্পী হৈমন্তী শুক্লার বিখ্যাত গান। ‘আমার বলার কিছু ছিল না, চেয়ে চেয়ে দেখলাম, তুমি চলে
১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪