নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম থেকে
চট্টগ্রাম টেস্টে নাঈম হাসানের খেলা দূরে থাক, স্কোয়াডেই থাকার কথা ছিল না। মেহেদী হাসান মিরাজের আকস্মিক চোট দলে তাঁর অন্তর্ভুক্তির দরজা খুলে দেয়। ১৫ মাসের বিরতি দিয়ে সুযোগ এসে যায় সেরা একাদশে। এর পরের গল্পটা এতক্ষণে সবার জানার কথা।
জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের ব্যাটিংস্বর্গে রাজসিক প্রত্যাবর্তনই হয়েছে নাঈমের। প্রথম ইনিংসে ৬ শ্রীলঙ্কান ব্যাটারকে শিকারে পরিণত করেছেন তিনি। এটি তাঁর ক্যারিয়ারসেরা বোলিং তো বটেই, লঙ্কানদের বিপক্ষেও কোনো বাংলাদেশির ইনিংসসেরা।
নাঈমের দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন গত দুই দিন মাঠে বসেই দেখেছেন বাবা মাহবুবুল আলম। ২০১৮ সালের নভেম্বরে চট্টগ্রামেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দীর্ঘদেহী স্পিনারের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের পথচলা শুরু হয়েছিল। তৃতীয় বাংলাদেশি স্পিনার হিসেবে অভিষেক টেস্টেই ৫ উইকেট নিয়ে বেশ আলোড়ন ফেলেছিলেন ১৮ ছুঁই ছুঁই নাঈম। ৬ ফুট উচ্চতার এই অফ স্পিনারকে নিয়ে যখন স্বপ্নটা বড় হচ্ছিল, তখনই কোথায় যেন হারিয়ে গেলেন। চট্টগ্রাম টেস্ট দিয়ে আবার পাদপ্রদীপের আলোয় এসেছেন নাঈম। ছেলের পারফরম্যান্সের আনন্দ ছুঁয়ে গেছে বাবাকে। জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের হসপিটালিটি বক্সে বসে আজকের পত্রিকাকে বললেন,‘ছেলেকে নিয়ে আমি গর্বিত। এই আনন্দ ভাষায় প্রকাশ করার মতো না। আশা করি সামনে সে আরও উন্নতি করবে।’
নাঈমের ক্রিকেটার হয়ে ওঠা এবং এখন জাতীয় দলে সতীর্থ হয়ে যাওয়া সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবালদের খেলা দেখতে যাওয়ার সেই গল্পও শুনিয়েছেন মাহবুবুল, ‘আমি তামিমকে অনূর্ধ্ব-১৫ থেকে আমার ক্লাব ব্রাদার্স ইউনিয়নে খেলিয়েছি। এরপর সে ঢাকায় গেছে। আফতাব আহমেদ ও আমার ক্লাবে খেলেছে। তো ওরা যখন খেলত ও (নাঈম) তখন আমার সঙ্গে স্টেডিয়ামে যেত। তামিম ওর সঙ্গে খুব দুষ্ট্মি করত। ও তো তখন পিচ্চি ছিল। তামিম, সাকিব, মুমিনুল ওকে সব সময় অনুপ্রাণিত করে।’
সারা দিন খেলা নিয়ে পড়ে থাকতে চাইলেও ছেলেকে নিজের পরিকল্পনা অনুযায়ী গড়ে তোলেন মাহবুবুল। ক্রিকেটার হয়ে ওঠার পেছনের গল্প নিয়ে বলছিলেন, ‘আমি সব সময় তার পড়ালেখাকে প্রধান্য দিতাম। ক্রিকেটের প্রতি তার প্রচণ্ড আগ্রহ ছিল। তবে আমি চাইছিলাম সে পড়ালেখাটা সম্পূর্ণ করুক। এজন্য তিন মাস সুযোগ দিতাম। আর তিন মাস পড়ালেখার মধ্যে রাখার চেষ্টা করতাম। এভাবেই তার ক্রিকেটার হয়ে ওঠা শুরু।’
সাড়ে তিন বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে অষ্টম টেস্ট খেলছেন নাঈম। মাঝে চোট আর সমন্বয় মিলিয়ে একাদশে সুযোগ মেলেনি। কঠিন সময়ে ক্রিকেটাররা নাকি সবচেয়ে বেশি শেখেন, শ্রীলঙ্কা সিরিজের দলে ডাক পেয়ে আজকের পত্রিকার সঙ্গে আলাপে সে কথা মনে করিয়ে দিয়ে নাঈম বলেছিলেন, ‘আল্লাহ যা করেন ভালোর জন্যই করেন। এ সময়টা না এলে হয়তো অনেক কিছুই অজানা থেকে যেত।’ নাঈমের বাবা মাহবুবুল নিজেও একজন মাঠের মানুষ ছিলেন। ইচ্ছাকে প্রাধান্য দিয়ে ছেলেকে ক্রিকেটার হিসেবে গড়ে তুললেও নিজে ছিলেন ফুটবলার। ফুটবলার হলেও একজন ক্রীড়াবিদ হিসেবে ক্রিকেটের খুঁটিনাটি বুঝতে পারেন জানিয়ে বলছিলেন, ‘কিছু কিছু ব্যাপার বুঝতে পারি। ক্রিকেট তো মানসিক পরীক্ষার খেলা, ধীরে ধীরে সে হয়তো নিজেকে আরও ভালোভাবে মেলে ধরতে পারবে।’
খেলোয়াড়, ক্রীড়া সংগঠক, রাজনীতিবিদ—তিন পরিচয়েই চট্টগ্রামে সমাদৃত মাহবুবুল। কিন্তু এখন তাঁকে অনেকেই নাঈমের বাবা হিসেবে সম্বোধন করেন। ব্যাপারটা ভালোই লাগে তাঁর কাছে, ‘আমি তো আগে কাউন্সিলরও ছিলাম। কাউন্সিলর হিসেবে ভালো পরিচিতি ছিল। এখন লোকে নাঈমের আব্বু বলে পরিচয় দিচ্ছে। আমি যে একজন কাউন্সিলর ছিলাম, এটা আর এখন কেউ তেমন বলে না। তবে অবশ্যই এটা আমার জন্য ভালো লাগার বিষয়।’ চট্টগ্রাম ছাড়িয়ে নাঈম দেশের নাম আরও উজ্জ্বল করুক, ছেলেকে নিয়ে মাহবুবুলের চাওয়া এটাই।
বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা টেস্ট সিরিজ এর সর্বশেষ খবর:
চট্টগ্রাম টেস্টে নাঈম হাসানের খেলা দূরে থাক, স্কোয়াডেই থাকার কথা ছিল না। মেহেদী হাসান মিরাজের আকস্মিক চোট দলে তাঁর অন্তর্ভুক্তির দরজা খুলে দেয়। ১৫ মাসের বিরতি দিয়ে সুযোগ এসে যায় সেরা একাদশে। এর পরের গল্পটা এতক্ষণে সবার জানার কথা।
জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের ব্যাটিংস্বর্গে রাজসিক প্রত্যাবর্তনই হয়েছে নাঈমের। প্রথম ইনিংসে ৬ শ্রীলঙ্কান ব্যাটারকে শিকারে পরিণত করেছেন তিনি। এটি তাঁর ক্যারিয়ারসেরা বোলিং তো বটেই, লঙ্কানদের বিপক্ষেও কোনো বাংলাদেশির ইনিংসসেরা।
নাঈমের দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন গত দুই দিন মাঠে বসেই দেখেছেন বাবা মাহবুবুল আলম। ২০১৮ সালের নভেম্বরে চট্টগ্রামেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দীর্ঘদেহী স্পিনারের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের পথচলা শুরু হয়েছিল। তৃতীয় বাংলাদেশি স্পিনার হিসেবে অভিষেক টেস্টেই ৫ উইকেট নিয়ে বেশ আলোড়ন ফেলেছিলেন ১৮ ছুঁই ছুঁই নাঈম। ৬ ফুট উচ্চতার এই অফ স্পিনারকে নিয়ে যখন স্বপ্নটা বড় হচ্ছিল, তখনই কোথায় যেন হারিয়ে গেলেন। চট্টগ্রাম টেস্ট দিয়ে আবার পাদপ্রদীপের আলোয় এসেছেন নাঈম। ছেলের পারফরম্যান্সের আনন্দ ছুঁয়ে গেছে বাবাকে। জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের হসপিটালিটি বক্সে বসে আজকের পত্রিকাকে বললেন,‘ছেলেকে নিয়ে আমি গর্বিত। এই আনন্দ ভাষায় প্রকাশ করার মতো না। আশা করি সামনে সে আরও উন্নতি করবে।’
নাঈমের ক্রিকেটার হয়ে ওঠা এবং এখন জাতীয় দলে সতীর্থ হয়ে যাওয়া সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবালদের খেলা দেখতে যাওয়ার সেই গল্পও শুনিয়েছেন মাহবুবুল, ‘আমি তামিমকে অনূর্ধ্ব-১৫ থেকে আমার ক্লাব ব্রাদার্স ইউনিয়নে খেলিয়েছি। এরপর সে ঢাকায় গেছে। আফতাব আহমেদ ও আমার ক্লাবে খেলেছে। তো ওরা যখন খেলত ও (নাঈম) তখন আমার সঙ্গে স্টেডিয়ামে যেত। তামিম ওর সঙ্গে খুব দুষ্ট্মি করত। ও তো তখন পিচ্চি ছিল। তামিম, সাকিব, মুমিনুল ওকে সব সময় অনুপ্রাণিত করে।’
সারা দিন খেলা নিয়ে পড়ে থাকতে চাইলেও ছেলেকে নিজের পরিকল্পনা অনুযায়ী গড়ে তোলেন মাহবুবুল। ক্রিকেটার হয়ে ওঠার পেছনের গল্প নিয়ে বলছিলেন, ‘আমি সব সময় তার পড়ালেখাকে প্রধান্য দিতাম। ক্রিকেটের প্রতি তার প্রচণ্ড আগ্রহ ছিল। তবে আমি চাইছিলাম সে পড়ালেখাটা সম্পূর্ণ করুক। এজন্য তিন মাস সুযোগ দিতাম। আর তিন মাস পড়ালেখার মধ্যে রাখার চেষ্টা করতাম। এভাবেই তার ক্রিকেটার হয়ে ওঠা শুরু।’
সাড়ে তিন বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে অষ্টম টেস্ট খেলছেন নাঈম। মাঝে চোট আর সমন্বয় মিলিয়ে একাদশে সুযোগ মেলেনি। কঠিন সময়ে ক্রিকেটাররা নাকি সবচেয়ে বেশি শেখেন, শ্রীলঙ্কা সিরিজের দলে ডাক পেয়ে আজকের পত্রিকার সঙ্গে আলাপে সে কথা মনে করিয়ে দিয়ে নাঈম বলেছিলেন, ‘আল্লাহ যা করেন ভালোর জন্যই করেন। এ সময়টা না এলে হয়তো অনেক কিছুই অজানা থেকে যেত।’ নাঈমের বাবা মাহবুবুল নিজেও একজন মাঠের মানুষ ছিলেন। ইচ্ছাকে প্রাধান্য দিয়ে ছেলেকে ক্রিকেটার হিসেবে গড়ে তুললেও নিজে ছিলেন ফুটবলার। ফুটবলার হলেও একজন ক্রীড়াবিদ হিসেবে ক্রিকেটের খুঁটিনাটি বুঝতে পারেন জানিয়ে বলছিলেন, ‘কিছু কিছু ব্যাপার বুঝতে পারি। ক্রিকেট তো মানসিক পরীক্ষার খেলা, ধীরে ধীরে সে হয়তো নিজেকে আরও ভালোভাবে মেলে ধরতে পারবে।’
খেলোয়াড়, ক্রীড়া সংগঠক, রাজনীতিবিদ—তিন পরিচয়েই চট্টগ্রামে সমাদৃত মাহবুবুল। কিন্তু এখন তাঁকে অনেকেই নাঈমের বাবা হিসেবে সম্বোধন করেন। ব্যাপারটা ভালোই লাগে তাঁর কাছে, ‘আমি তো আগে কাউন্সিলরও ছিলাম। কাউন্সিলর হিসেবে ভালো পরিচিতি ছিল। এখন লোকে নাঈমের আব্বু বলে পরিচয় দিচ্ছে। আমি যে একজন কাউন্সিলর ছিলাম, এটা আর এখন কেউ তেমন বলে না। তবে অবশ্যই এটা আমার জন্য ভালো লাগার বিষয়।’ চট্টগ্রাম ছাড়িয়ে নাঈম দেশের নাম আরও উজ্জ্বল করুক, ছেলেকে নিয়ে মাহবুবুলের চাওয়া এটাই।
বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা টেস্ট সিরিজ এর সর্বশেষ খবর:
ব্যাটিংয়ে পাঁচে নেমে ১২ বলে ১ চার ও ১ ছয়ে ১৯ রান। বোলিংয়ে ১ ওভারে ১ রান দিয়ে ২ উইকেট। এমন অলরাউন্ড পারফরম্যান্সের পরও হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে সাকিব আল হাসানকে। আজ আবুধাবি টি-টেনে নিউইয়র্ক স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে ৭ উইকেটে হেরেছে তাঁর দল বাংলা টাইগার্স।
২১ মিনিট আগেআফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে ফিল্ডিংয়ের সময় বাঁ হাতের আঙুলে চোট পেয়ে সিরিজ থেকে ছিটকে যান বাংলাদেশ দলের অভিজ্ঞ উইকেটরক্ষক-ব্যাটার মুশফিকুর রহিম। বর্তমানে পুনর্বাসনে আছেন তিনি। চিকিৎসকের পরামর্শে চলছে নিয়মিত ট্রেনিং। তবে তাঁর মাঠে ফেরার জন্য আরও সময় লাগবে—এমনটা জানিয়েছে বিসিবি।
৩৫ মিনিট আগেআন্তর্জাতিক বিরতি থেকে ফেরার প্রথম ম্যাচেই জয় পেয়েছে চেলসি। আজ ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে লেস্টার সিটিকে তাদের মাঠ কিং পাওয়ার স্টেডিয়ামে ২-১ গোলে হারিয়েছে ব্লুজরা।
১ ঘণ্টা আগেদ্বিতীয় দিনের প্রথম বলেই জাস্টিন গ্রিভসের বিপক্ষে কট বিহাইন্ডের আবেদন করেছিলেন হাসান মাহমুদ। বাংলাদেশি পেসার সেই আবেদনে হতাশ হলেও উইকেটের জন্য বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি। দিনের পঞ্চম বলেই উইকেটরক্ষক জশুয়া ডি সিলভাকে (১৪) এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেছেন তিনি।
২ ঘণ্টা আগে