তাসনীম হাসান, ঢাকা
কাশ্মীর বললে প্রথমেই চোখের পর্দায় ভেসে ওঠে এক ভূস্বর্গের ছবি। যেখানে আকাশের গায়ে হেলান দেওয়া তুষারপাতে মোড়ানো সারি সারি শৃঙ্গরাজি। কাশ্মীর বলতে ভারত-পাকিস্তান লড়াইয়ের ভুক্তভোগী অসহায় মানুষের প্রাণহানি, বোমা আর বুলেটের ঝনঝনানি। আলো আর আঁধারের সেই কাশ্মীর থেকে উঠে আসা এক ‘বুলেট’-এর আগমনই হয়েছে ক্রিকেটে!
এই বুলেটের নাম উমরান মালিক। ২১ বছরের তরুণকে নিয়ে এত হইচই একটাই কারণে। ভারতের জম্মু-কাশ্মীরের এই ক্রিকেটারের ডান হাত থেকেই যেন বেরোচ্ছে গোলা! তিনি তাক লাগিয়ে দিয়েছেন আইপিএলের সর্বোচ্চ গতির বল (ঘণ্টায় ১৫২.৯৫ কিলোমিটার) করে।
গত রোববার সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে আইপিএল অভিষেক উমরানের। কলকাতা নাইট রাইডার্সের (কেকেআর) বিপক্ষে উমরান নিজের প্রথম বলটা করেন ঘণ্টায় ১৪৫ কিলোমিটার গতিতে।
উড়োজাহাজ যেমন রানওয়েতে ধীরগতি থেকে হঠাৎ গতির ঝড় তোলে, উমরানের পরের পদক্ষেপও ছিল তেমন। ঘণ্টায় ১৫০ কিলোমিটার গতিতে তৃতীয় বলটা আঁচড়ে পড়ল শুভমান গিলের ব্যাটে। কোনোমতে ঠেকিয়ে এক রান নেন কলকাতার ওপেনার। এই বল দিয়েই এবারের আইপিএলের ভারতীয় বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ গতির বলটা করা হয়ে যায় উমরানের।
১৩ ওভারের শেষ তিন বলে বল তো নয়, নীতিশ রানার কান ঘেঁষে যেন বুলেটই গেছে! ওই ওভারে ১৫১.১ কিলোমিটার গতিতে শেষ বলটা ছুড়ে কিছুক্ষণ আগেই গড়া নিজের রেকর্ডটা ভাঙেন উমরান। ৪ ওভারে ২৭ রান দিয়ে সেদিন উইকেট না পেলেও ভারতীয় প্রায় সব পত্রিকার শিরোনামে উমরান। কারণ একটাই, গতির ঝড়।
উমরান শৌর্যের সবটা ঢেলে দিয়েছেন নিজের দ্বিতীয় ম্যাচে। পরশু রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে আরও অনবদ্য ২১ বছর বয়সী এই বোলার। এবার দেশি-বিদেশি সব পেসারকে পেছনে ফেলে ছুড়লেন ১৫২.৯৫ কিলোমিটার গতির বল। ২১ রান দিয়ে পান ১টি উইকেটও।
দুই ম্যাচে গতির ঝড় তুলেই প্রচারের আলোয় চলে এসেছেন উমরান। বিরাট কোহলির বিশেষ সনদও জুটেছে তাঁর, ‘আইপিএল প্রতিবছর প্রতিভাবানদের জন্ম হয়। একজন বোলারকে ১৫০ গতিতে বোলিং করতে দেখে ভালো লাগছে।’
উলকার মতো উত্থান হওয়া উমরান থেমে যেতে পারতেন হায়দরাবাদের নেটেই। দলের বাঁহাতি পেসার টি নটরজান করোনা আক্রান্ত হয়ে চিটকে পড়ায় স্বপ্নের দুয়ার খুলে যায় উমরানের সামনে।
নটরজানের জায়গায় কয়েক দিনের জন্য নেট থেকে মূল দলে নেওয়া হয় উমরানকে। নেটে ডেভিড ওয়ার্নারকে নাকি এতটাই সমস্যায় ফেলেন, উমরানকে একাদশে নিতে দুবার ভাবেননি হায়দরাবাদের অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন।
জম্মুর শ্রীনগরের ফল ব্যবসায়ী আবদুল মালিকের সংসারে নুন আনতে পান্তা ফুরায় দশা। পরিবারকে সহযোগিতা করতে অনুশীলন বাদ দিয়ে কতবারই যে উমরানকে ছুটতে হয়েছে খ্যাপ খেলতে। ১০ম শ্রেণিতেই থেমে গেছে তাঁর পড়াশোনা। হারিয়ে যেতে বসা উমরানের আবির্ভাব ইরফান পাঠানের সহায়তায়। একদিন জম্মু-কাশ্মীর ক্রিকেট দলের পরামর্শক পাঠান সিনিয়র দলকে অনুশীলন করাচ্ছিলেন।
তার পাশেই চলছিল উমরানদের অনূর্ধ্ব-২৩ দলের খেলা। পাঠানের জহুরির চোখ উমরানকে দ্রুত আবিষ্কার করতে ভুল করেনি। কাশ্মীরের আরেক ক্রিকেটার আবদুল সামাদ বন্ধু উমরানকে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন পাঠানের সঙ্গে। এরপর পাঠানের ছোঁয়ায় আরও ধারালো হয়ে ওঠেন উমরান।
তাঁর সেই ধার দেখা যাচ্ছে এই আইপিএলে। ধারটা ধরে রাখতে পারলে ভারতীয় দলের দরজাটা উমরানের সামনে খুলতে বেশি সময় না-ও লাগতে পারে!
কাশ্মীর বললে প্রথমেই চোখের পর্দায় ভেসে ওঠে এক ভূস্বর্গের ছবি। যেখানে আকাশের গায়ে হেলান দেওয়া তুষারপাতে মোড়ানো সারি সারি শৃঙ্গরাজি। কাশ্মীর বলতে ভারত-পাকিস্তান লড়াইয়ের ভুক্তভোগী অসহায় মানুষের প্রাণহানি, বোমা আর বুলেটের ঝনঝনানি। আলো আর আঁধারের সেই কাশ্মীর থেকে উঠে আসা এক ‘বুলেট’-এর আগমনই হয়েছে ক্রিকেটে!
এই বুলেটের নাম উমরান মালিক। ২১ বছরের তরুণকে নিয়ে এত হইচই একটাই কারণে। ভারতের জম্মু-কাশ্মীরের এই ক্রিকেটারের ডান হাত থেকেই যেন বেরোচ্ছে গোলা! তিনি তাক লাগিয়ে দিয়েছেন আইপিএলের সর্বোচ্চ গতির বল (ঘণ্টায় ১৫২.৯৫ কিলোমিটার) করে।
গত রোববার সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে আইপিএল অভিষেক উমরানের। কলকাতা নাইট রাইডার্সের (কেকেআর) বিপক্ষে উমরান নিজের প্রথম বলটা করেন ঘণ্টায় ১৪৫ কিলোমিটার গতিতে।
উড়োজাহাজ যেমন রানওয়েতে ধীরগতি থেকে হঠাৎ গতির ঝড় তোলে, উমরানের পরের পদক্ষেপও ছিল তেমন। ঘণ্টায় ১৫০ কিলোমিটার গতিতে তৃতীয় বলটা আঁচড়ে পড়ল শুভমান গিলের ব্যাটে। কোনোমতে ঠেকিয়ে এক রান নেন কলকাতার ওপেনার। এই বল দিয়েই এবারের আইপিএলের ভারতীয় বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ গতির বলটা করা হয়ে যায় উমরানের।
১৩ ওভারের শেষ তিন বলে বল তো নয়, নীতিশ রানার কান ঘেঁষে যেন বুলেটই গেছে! ওই ওভারে ১৫১.১ কিলোমিটার গতিতে শেষ বলটা ছুড়ে কিছুক্ষণ আগেই গড়া নিজের রেকর্ডটা ভাঙেন উমরান। ৪ ওভারে ২৭ রান দিয়ে সেদিন উইকেট না পেলেও ভারতীয় প্রায় সব পত্রিকার শিরোনামে উমরান। কারণ একটাই, গতির ঝড়।
উমরান শৌর্যের সবটা ঢেলে দিয়েছেন নিজের দ্বিতীয় ম্যাচে। পরশু রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে আরও অনবদ্য ২১ বছর বয়সী এই বোলার। এবার দেশি-বিদেশি সব পেসারকে পেছনে ফেলে ছুড়লেন ১৫২.৯৫ কিলোমিটার গতির বল। ২১ রান দিয়ে পান ১টি উইকেটও।
দুই ম্যাচে গতির ঝড় তুলেই প্রচারের আলোয় চলে এসেছেন উমরান। বিরাট কোহলির বিশেষ সনদও জুটেছে তাঁর, ‘আইপিএল প্রতিবছর প্রতিভাবানদের জন্ম হয়। একজন বোলারকে ১৫০ গতিতে বোলিং করতে দেখে ভালো লাগছে।’
উলকার মতো উত্থান হওয়া উমরান থেমে যেতে পারতেন হায়দরাবাদের নেটেই। দলের বাঁহাতি পেসার টি নটরজান করোনা আক্রান্ত হয়ে চিটকে পড়ায় স্বপ্নের দুয়ার খুলে যায় উমরানের সামনে।
নটরজানের জায়গায় কয়েক দিনের জন্য নেট থেকে মূল দলে নেওয়া হয় উমরানকে। নেটে ডেভিড ওয়ার্নারকে নাকি এতটাই সমস্যায় ফেলেন, উমরানকে একাদশে নিতে দুবার ভাবেননি হায়দরাবাদের অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন।
জম্মুর শ্রীনগরের ফল ব্যবসায়ী আবদুল মালিকের সংসারে নুন আনতে পান্তা ফুরায় দশা। পরিবারকে সহযোগিতা করতে অনুশীলন বাদ দিয়ে কতবারই যে উমরানকে ছুটতে হয়েছে খ্যাপ খেলতে। ১০ম শ্রেণিতেই থেমে গেছে তাঁর পড়াশোনা। হারিয়ে যেতে বসা উমরানের আবির্ভাব ইরফান পাঠানের সহায়তায়। একদিন জম্মু-কাশ্মীর ক্রিকেট দলের পরামর্শক পাঠান সিনিয়র দলকে অনুশীলন করাচ্ছিলেন।
তার পাশেই চলছিল উমরানদের অনূর্ধ্ব-২৩ দলের খেলা। পাঠানের জহুরির চোখ উমরানকে দ্রুত আবিষ্কার করতে ভুল করেনি। কাশ্মীরের আরেক ক্রিকেটার আবদুল সামাদ বন্ধু উমরানকে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন পাঠানের সঙ্গে। এরপর পাঠানের ছোঁয়ায় আরও ধারালো হয়ে ওঠেন উমরান।
তাঁর সেই ধার দেখা যাচ্ছে এই আইপিএলে। ধারটা ধরে রাখতে পারলে ভারতীয় দলের দরজাটা উমরানের সামনে খুলতে বেশি সময় না-ও লাগতে পারে!
অ্যান্টিগা টেস্টে বাংলাদেশ দলের প্রথম দিন কাটল অম্ল-মধুর। আলোকস্বল্পতার কারণে খেলা হয়েছে ৮৪ ওভার। দিন শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজ তুলেছে ৫ উইকেটে ২৫০ রান।
১ ঘণ্টা আগেহচ্ছে হচ্ছে করে এখনো হয়নি। কবে হবে, বলতে পারছে না বাফুফে। তারা বলছে, আজ-কালও হামজা চৌধুরীকে নিয়ে সবুজ সংকেত দিতে পারে ফিফা। আবার এক মাস পরও এমনটি হতে পারে। তবে সর্বশেষ খবর, এখনো ফিফার টেবিলে পড়ে আছে হামজার ফাইল।
৩ ঘণ্টা আগে