বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে কষ্টার্জিত জয় পেয়েছে আর্জেন্টিনা। বুয়েনোস এইরেসে আজ নিজেদের মাঠ লা বোম্বোনেরায় পেরুকে ১-০ গোলে হারিয়েছে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। পুরো ম্যাচে লিওনেল স্কালোনির শিষ্যরা বল দখলে রেখেছিল ৭৪ শতাংশ, নিয়েছে ১০ শট...
২০২৬ বিশ্বকাপে শিরোপা ধরে রাখার মিশনে নামার আগে আর্জেন্টিনা নিজেদের ঝালিয়ে নিচ্ছে দারুণভাবে। বাছাইপর্বের পয়েন্ট তালিকায় এখনো তারা শীর্ষে। বছরের শেষ ম্যাচ খেলতে আগামীকাল
২০২৪ এর ১৫ জুলাই-আনহেল দি মারিয়ার কান্নাভেজা চোখের ছবি নিশ্চয়ই ফুটবলপ্রেমীদের মনে রয়েছে। মায়ামির হার্ড রক স্টেডিয়ামে সেদিনই কোপা আমেরিকার ফাইনালের পর আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে অবসরের ঘোষণা দেন। তবে আর্জেন্টিনার আকাশী-নীল জার্সি না পরলেও ফুটবল মাঠটা তিনি বড্ড মিস করেন।
ঝামেলা যেন পিছুই ছাড়ছে না আর্জেন্টিনার। মাঠের পারফরম্যান্সে সাম্প্রতিক অবস্থা তো ভালো নয়ই। এমনকি ফুটবলারদের চোটও দুশ্চিন্তা বাড়িয়েছে আলবিসেলেস্তেদের।। জরুরি পরিস্থিতিতে দলে নেওয়া হয়েছে দিয়েগো সিমিওনের ছেলে গিলিয়ানো সিমিওনেকে।
সময়টা ভালো যাচ্ছে না লিওনেল মেসির। আন্তর্জাতিক ফুটবল হোক বা ক্লাব ফুটবল, কোথাও সাফল্যের দেখা পাচ্ছেন না মেসি গত ১ মাস ধরে। এরই মধ্যে ব্রাজিলের এক রেফারিকে শাসিয়ে নতুন এক আলোচনার জন্ম দিয়েছেন তিনি।
হঠাৎই খেই হারিয়েছে আর্জেন্টিনা। বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে নিজেদের শেষ চার ম্যাচের দুটিতেই হেরেছে আলবিসেলেস্তেরা। যেখানে সবশেষ হারটি এসেছে গতকাল আসুনসিওনের দেলচাকো স্টেডিয়ামে প্যারাগুয়ের বিপক্ষে। হারের পর আর্জেন্টিনার দুশ্চিন্তাও বেড়েছে।
কাতার বিশ্বকাপ থেকে বাংলাদেশকে নিজেদের বেশ আপন মনে করেই যেন চলছে আর্জেন্টিনা। বাংলাদেশের আর্জেন্টাইন সমর্থকদের উচ্ছ্বাস-উন্মাদনায় তারা যে অভিভূত, সেটি আর বলার অপেক্ষা রাখে না। নিজ দেশের সঙ্গে আর্জেন্টাইনরা বাংলাদেশের পতাকাও উড়ায়।
সিনেমা, নাটক-কোনো কিছুরই তো কমতি ছিল না আজ আর্জেন্টিনা-প্যারাগুয়ে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে। দেল চাকো স্টেডিয়ামে ব্রাজিলের রেফারি অ্যান্ডারসন দারাঙ্কোর একের পর এক কাণ্ডে ক্ষুব্ধ আর্জেন্টিনা ফুটবল দল। রেফারির সঙ্গে এক চোট হয়েই গেছে মেসির। এমনকি আঙুল উঁচিয়ে কথাও বলেছেন আর্জেন্টিনার বিশ্বজয়ী ফুটবলার।
বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচ হলেও দুই বিশ্বচ্যাম্পিয়ন দলকে একই টুর্নামেন্টে হারানো তো সহজ কথা নয়। প্যারাগুয়ে এবার সেই কঠিন কাজটিই করে দেখাল। ২০২৬ বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে সেপ্টেম্বরে প্যারাগুয়ে হারিয়েছিল ব্রাজিলকে। দুই মাস পর আজ বিশ্বকাপের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনাকেও হারিয়েছে প্যারাগুয়ে।
আর্জেন্টিনার ঘরোয়া ফুটবলে এক ইউটিউবারকে মাঠে নামানো নিয়েই চলছে আলোচনা-সমালোচনা। কারণ,‘স্প্রিন’ ছদ্মনামের সেই ইউটিউবারের ফুটবল সম্পর্কে তেমন কোনো জ্ঞান নেই। এখন তিনি বেটিং কাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত কি না, সে ব্যাপারে সৃষ্টি হয়েছে সন্দেহ।
নভেম্বরে আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ বাছাইয়ের দলে ডাক পাবেন, সেটা হয়তো কল্পনাও করেননি ফাকুন্দো মেদিনা। দলে যখন সুযোগ পেলেন, তখন তো আর ঘরে বসে থাকা যায় না। আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের (এএফএ) ভরসায় না থেকে বিমানের টিকিট নিজেই কাটলেন ২৫ বছর বয়সী এই ডিফেন্ডার।
প্রযুক্তির উৎকর্ষতার যুগে সামাজিক মাধ্যমে খেলাধুলা নিয়ে যেকোনো তথ্যই ছড়িয়ে পড়ে মুহূর্তেই। অনেকে ফেসবুক, ইউটিউবে ম্যাচ নিয়ে লাইভ করে থাকেন। আর্জেন্টিনার ঘরোয়া এক ফুটবলে ইউটিউবার কাণ্ডে রীতিমতো তোলপাড় হয়ে গেছে। যা নিয়ে গভীর সন্দেহ দেখা গেছে দেশটির ফুটবলে।
চোটের কারণে আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ বাছাইয়ের দল থেকে ছিটকে গেছেন ডিফেন্ডার লিসান্দ্রো মার্তিনেজ। বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের আগামী দুই ম্যাচে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড তারকাকে পাবে না আর্জেন্টিনা। তাঁর বদলি হিসেবে দলে ডাক পেয়েছেন লঁসের ডিফেন্ডার ফাকুন্দো মেদিনা। গতকাল বিষয়টি নিশ্চিত করেছে আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাস
২০২১ কোপা আমেরিকা থেকে বিশ্ব ফুটবলে আর্জেন্টিনার রাজত্ব শুরু। ফুটবল বিশ্বকাপ, কোপা আমেরিকার মতো মেজর শিরোপা জয়ের পাশাপাশি প্রীতি ম্যাচ, বাছাইপর্বের ম্যাচগুলো জিতে চলেছে আলবিসেলেস্তেরা। তাতে আর্জেন্টিনার ভক্ত-সমর্থকের সংখ্যা বেড়ে গেছে কয়েক গুণ। এমন সময়ে আর্জেন্টাইনদের দুঃসংবাদ দিল প্যারাগুয়ে।
আর্জেন্টিনা হোক বা ইন্টার মায়ামি-লিওনেল মেসি প্রয়োজনের সময় গোল করে দলকে বাঁচিয়েছেন বারবার। তবে সব সময় সবকিছু কি সমীকরণ মেনে এগোয়! এবার আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড গোল করলেও বাঁচতে পারেনি মায়ামি।
নিষেধাজ্ঞার কারণে অক্টোবরে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের দুই ম্যাচ খেলতে পারেননি এমিলিয়ানো মার্তিনেজ। আর্জেন্টিনার এই গোলরক্ষক এবার পেলেন সুখবর। এ মাসে আর্জেন্টিনা যে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচ খেলতে যাচ্ছে, সেই দলে ফিরেছেন তিনি।
আর্জেন্টিনার ম্যাচ নিয়ে কতটা উন্মাদনা থাকে, সেটা বোঝা যাচ্ছে গত কয়েক বছর ধরেই। বিশ্বের যে স্টেডিয়ামেই তাদের খেলা হোক না কেন, গ্যালারি থাকে কানায় কানায় পূর্ণ। ঘরের মাঠে সেই উন্মাদনা থাকে অকল্পনীয়।