মেহেরপুরের গাংনীতে তীব্র শীত আর ঘন কুয়াশায় বিপাকে পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষেরা। সঙ্গে বইছে হিম বাতাস। এর মধ্যেও থেমে নেই খেটে খাওয়া মানুষের পথ চলা। শীত উপেক্ষা করে বের হচ্ছেন কাজে।
রাজমিস্ত্রি কাজে যাওয়া মো. সাব্বির আহমেদ বলেন, ‘শীতের মৌসুম অনেক আগে শুরু হলেও তীব্রতা তেমন ছিল না। গত সপ্তাহ থেকে হাড় কাঁপানো শীত শুরু হয়েছে। হাত-পা সব ঝিনঝিন করছে। এই কনকনে শীতে বিপাকে পড়েছে খেটে খাওয়া, দিনমজুরসহ নিম্ন আয়ের মানুষেরা।’
তিনি বলেন, ‘খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে সব বয়সী মানুষ। সন্ধ্যা থেকে সকাল পর্যন্ত প্রচণ্ড শীত পড়ছে সঙ্গে ঘন কুয়াশা। আর সূর্যের দেখা না মিললে সারা দিন শীতের তীব্রতা থেকেই যাচ্ছে।’
করমদী গ্রামের দিনমজুর সৌকত আলী বলেন, ‘আমরা ইটভাটায় কাজ করি তাই আমাদের খুব ভোরবেলাতেই চলে যেতে হয় কাজে। যখন কাদায় হাত লাগায় তখন হাত কনকন করে ওঠে শীতে। শীত যেন তখন হাড়ে ঠেকে যায়।’
দেবীপুর গ্রামের রহিদুল ইসলাম বলেন, ‘শীতের পোশাক খুলতেই বেলা ১২টা বেজে যাচ্ছে। সকালবেলায় সাইকেল চালিয়ে কাজে যেতে হয়। ঘন কুয়াশা, তীব্র শীত আর হালকা বাতাসে যেন শরীর কাবু ফেলে। আর সঙ্গে ঘন কুয়াশা। কুয়াশা ভেদ করে সাইকেল চালিয়ে যেতে হয় কাজে।’
চলতি পথের ভ্যানচালক কবির হোসেন বলেন, ‘শীতে অনেকে ঘর থেকে বের হতে পারে না। ভোরে রাস্তায় কোনো মানুষ নেই, এরপরেও বসে থাকতে হয় ভাড়ার আশায়। কারণ আমাদের মতো গরিবদের ভাড়া মেরে চাল কিনেই বাড়ি ফিরতে হয়।’
গাংনী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইমরান হোসেন জানান, প্রচণ্ড শীতে জবুথবু হয়ে পড়ছে খেটে খাওয়া মানুষগুলো। ঘন কুয়াশায় বোরো ধানের বীজতলার যত্ন নিতে হবে যাতে চারার কোনো ক্ষতি না হয়। দুই বীজতলার পাশে পানি রাখতে হবে এবং বীজতলায় ছিটিয়ে দিতে হবে যাতে চারার গায়ে কুয়াশা না লেগে থাকে।