হোম > সারা দেশ > রংপুর

অর্থাভাবে সংস্কার নেই ক্ষতবিক্ষত সড়ক

শিপুল ইসলাম, রংপুর 

আপডেট: ০৯ জানুয়ারি ২০২৫, ০১: ৩৯
রংপুর মহানগরীর অনেক সড়কের পিচ-পাথর উঠে গেছে আগেই। কোথাও কোথাও খোয়াও উঠে গিয়ে তৈরি হয়েছে গর্ত। এতে বিভিন্ন যানবাহনে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে যাত্রীদের। সম্প্রতি মহানগরীর বুড়িরহাট এলাকায় বুড়িরহাট-বাংলাদেশ ব্যাংক মোড় সড়কে। ছবি: আজকের পত্রিকা

দীর্ঘদিন সংস্কার করা হয়নি রংপুর মহানগরীর বেশির ভাগ সড়ক। ফলে সড়কগুলোর পিচ-পাথর উঠে গিয়ে বেরিয়ে পড়েছে খোয়া ও মাটি। অনেক স্থানেই সৃষ্টি হয়েছে ছোট-বড় গর্ত। এতে দুর্ভোগ হচ্ছে নগরবাসীর। বর্ষা মৌসুমের আগে সংস্কার না করলে সেই দুর্ভোগ বেড়ে যাবে কয়েক গুণ। এদিকে সিটি করপোরেশন বলছে, বরাদ্দ না থাকায় সংস্কার করা যাচ্ছে না।

রংপুর নগরীর প্রাণকেন্দ্র জাহাজ কোম্পানি মোড়। এই মোড় থেকে সাতমাথা হয়ে একটি সড়ক চলে গেছে কাউনিয়া উপজেলায়। এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন কাউনিয়া উপজেলাসহ আশপাশের কয়েকটি এলাকার হাজারো মানুষ রংপুর শহরে যাতায়াত করে। কিন্তু জাহাজ কোম্পানি মোড় থেকে সাতমাথা পর্যন্ত প্রায় সাড়ে চার কিলোমিটার সড়কজুড়ে সৃষ্টি হয়েছে অসংখ্য গর্ত, উঠে গেছে কার্পেটিং। হেলে-দুলে চলছে যানবাহন।

সড়কটির কামালকাছনা এলাকায় কথা হয় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাচালক রিপন মিয়ার সঙ্গে। তিনি আক্ষেপের সুরে বলেন, ‘সড়কের অবস্থা খুবই খারাপ। অসুস্থ রোগীকে নিয়ে এ সড়ক দিয়ে গেলে আরও বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ে। প্রায় দিনই এ সড়কে গাড়ি উল্টে দুর্ঘটনা ঘটছে। তবু এসব মেরামত করার কেউ নেই।’

একই সড়কের মাহীগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা শিক্ষক রফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘চলাচলের অনুপযোগী হয়ে উঠেছে সড়কটি। বিভাগীয় শহরের প্রাণকেন্দ্রে এমন বেহাল সড়ক কখনোই আশা করা যায় না। সড়কটির গর্ত, ভাঙা স্থানগুলো দ্রুত মেরামত করা না হলে দুর্ঘটনায় প্রাণহানিও হতে পারে। বর্ষায় দুর্ভোগ আরও বেড়ে যাবে।’

জাহাজ কোম্পানি-সাতমাথা সড়কের মতো বেহাল বাংলাদেশ ব্যাংক মোড়-বুড়িরহাট সড়কের। এ সড়কের মেডিকেল পূর্বগেট থেকে বুড়িরহাট পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার অংশে অসংখ্য গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।

বুড়িরহাট এলাকার বাসিন্দা তাজিদুল ইসলাম বলেন, ‘সিটি করপোরেশনের সড়ক মেরামতের টাকা নেই, সেই সিটি করপোরেশন নাগরিকদের কী সেবা দেবে। ট্যাক্স নেওয়া ছাড়া আর কোনো কাজ নেই।’

একই অবস্থা বুড়িরহাট-হাজীরহাট ৬ কিলোমিটার সড়কটিরও। এ সড়কে ডোবার মতো শতাধিক গর্ত রয়েছে। গ্রীষ্মকালে ঝুঁকি নিয়ে যান চলাচল করলেও বর্ষায় চলা দায় হয়ে ওঠে।

সড়কটির অভিরাম এলাকায় কথা হয় স্থানীয় শাহিনুর ইসলামের সঙ্গে। ভাঙা সড়ক দেখিয়ে তিনি বলেন, ‘বর্ষাকালে পানি জমে থাকায় গর্ত বোঝা যায় না। একেকটা গর্ত ১২ থেকে ১৫ ফুট দীর্ঘ। এলাকাবাসী কয়েকবার সড়কটি মেরামতের জন্য সিটি করপোরেশনে গিয়েছিল; কিন্তু কোনো কাজ হয়নি।’

সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) রংপুর মহানগর সভাপতি অধ্যক্ষ খন্দকার ফখরুল আনাম বেঞ্জু বলেন, ‘রুটিন মেরামতের আওতায় সড়কগুলো দ্রুত সংস্কার করতে হবে।’

সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে ফাতিমা বলেন, ‘চলতি অর্থবছরে কোনো বরাদ্দ না থাকায় সড়ক সংস্কারসহ উন্নয়ন কার্যক্রম কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে। নতুন অর্থবছরে বরাদ্দ পেলে সড়কগুলো সংস্কার করা হবে।’

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, সংবাদমাধ্যম বা যেকোনো মাধ্যমে প্রচারিত কোনো ছবি, ভিডিও বা তথ্য বিভ্রান্তিকর মনে হলে তার স্ক্রিনশট বা লিংক কিংবা সে সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য আমাদের ই-মেইল করুন। আমাদের ই-মেইল ঠিকানা factcheck@ajkerpatrika.com

নিয়োগ নির্মাণ কেনাকাটায় প্রধান শিক্ষকের দুর্নীতি

সেচের অভাবে ধান উৎপাদন অর্ধেকে, উদ্বিগ্ন কৃষক

কক্সবাজার সৈকতে খুলনার সাবেক কাউন্সিলরকে গুলি করে হত্যা

পলাতক সেই ওসিকে গ্রেপ্তারে শিক্ষার্থীদের আলটিমেটাম