মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি
মানিকগঞ্জ খান বাহাদুর আওলাদ হোসেন খান উচ্চবিদ্যালয়ে পরীক্ষায় ফেল করাদের টাকার বিনিময়ে উত্তীর্ণ করা, শিক্ষক নিয়োগে ঘুষ গ্রহণ, ভবন নির্মাণে দুর্নীতি, আসবাব কেনাকাটায় অনিয়মসহ নানা দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।
এ জন্য প্রতিষ্ঠানটির প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ মজিদ মোল্লাকে দায়ী করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তর ও জেলা প্রশাসনে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। সেই সঙ্গে তাঁর পদত্যাগের দাবিতে গতকাল বৃহস্পতিবার বিক্ষোভ মিছিল করেন প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা। বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ থেকে বের হওয়া মিছিলটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে গিয়ে অবস্থান নেয়। খবর পেয়ে পুলিশ উপস্থিত হয়ে শিক্ষার্থীদের বুঝিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। শিক্ষার্থীরা জানান, অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগ বা বদলি না হলে ভবিষ্যতে তাঁদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।
বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ঘিওর উপজেলার পেঁচারকান্দার বাসিন্দা মজিদ চাকরিজীবন শুরু করেন বালিয়াখোড়া ইউনিয়ন উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হিসেবে। সেখানে অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ায় তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়। এরপর তিনি স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের হাত করে ২০১২ সালে এই বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক পদে যোগ দেন এবং তাঁদের প্রশ্রয়ে নানা অপকর্মে জড়িয়ে পড়েন। নিজের অবস্থান শক্ত করতে বিদ্যালয়ের বাৎসরিক অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতাদের প্রধান অতিথি করতেন। সেই সঙ্গে প্রতিষ্ঠানের লাখ লাখ টাকায় দৃষ্টিনন্দন বঙ্গবন্ধু কর্নার ও বঙ্গবন্ধুর মিনি ভাস্কর্য বানিয়ে আলোচনায় আসেন। তিনি জেলা শহরের প্রাণকেন্দ্রে সাততলা আবাসিক ভবন গড়ে তোলাসহ শহরের আশপাশে একাধিক স্থানে জমি কিনেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ভয়ে মজিদ নিয়মিত বিদ্যালয়ে আসছেন না। তিনি খণ্ডকালীন সহকারী শিক্ষক মো. কামাল হোসেন ও অফিস সহকারী রাজু আহমেদের মাধ্যমে এসএসসি টেস্ট পরীক্ষায় অকৃতকার্যদের ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকায় পাস করে দিচ্ছেন।
আরও অভিযোগ রয়েছে, প্রধান শিক্ষক মজিদ অর্থের বিনিময়ে অতিরিক্ত শিক্ষার্থী ভর্তি করেন। বোর্ডের অনুমোদন ছাড়া বেশ কয়েকটি শ্রেণিশাখা চালু এবং সেখানে অর্থের বিনিময়ে কয়েকজন খণ্ডকালীন শিক্ষক নিয়োগ দেন। একইভাবে তিন কর্মচারী নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে। সেই সঙ্গে অনুদানের কম্পিউটার বাসায় নেওয়া, এসি ও জেনারেটর কেনায় অনিয়ম এবং ভবন নির্মাণে নিজের মতো করে বিল পরিশোধের অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। এ ছাড়া স্টেশনারি সামগ্রী কেনা, ডায়েরি-ক্যালেন্ডার ছাপানো, ক্যানটিন ভাড়া ও কোচিং সেন্টার পরিচালনায় অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে।
যোগাযোগ করা হলে প্রধান শিক্ষক মজিদ অনিয়মের কথা অস্বীকার করে বলেন, ‘আমি কোনো অনিয়ম করিনি। আমার সাততলা বাড়ি, সম্পত্তি নিজের টাকা এবং ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে করা হয়েছে।’
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের অ্যাডহক কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মানোয়ার হোসেন মোল্লা বলেন, দুর্নীতির বিষয়ে জানতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির প্রতিবেদন ও ঘটনার সত্যতা পেলে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মানিকগঞ্জ খান বাহাদুর আওলাদ হোসেন খান উচ্চবিদ্যালয়ে পরীক্ষায় ফেল করাদের টাকার বিনিময়ে উত্তীর্ণ করা, শিক্ষক নিয়োগে ঘুষ গ্রহণ, ভবন নির্মাণে দুর্নীতি, আসবাব কেনাকাটায় অনিয়মসহ নানা দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।
এ জন্য প্রতিষ্ঠানটির প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ মজিদ মোল্লাকে দায়ী করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তর ও জেলা প্রশাসনে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। সেই সঙ্গে তাঁর পদত্যাগের দাবিতে গতকাল বৃহস্পতিবার বিক্ষোভ মিছিল করেন প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা। বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ থেকে বের হওয়া মিছিলটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে গিয়ে অবস্থান নেয়। খবর পেয়ে পুলিশ উপস্থিত হয়ে শিক্ষার্থীদের বুঝিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। শিক্ষার্থীরা জানান, অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগ বা বদলি না হলে ভবিষ্যতে তাঁদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।
বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ঘিওর উপজেলার পেঁচারকান্দার বাসিন্দা মজিদ চাকরিজীবন শুরু করেন বালিয়াখোড়া ইউনিয়ন উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হিসেবে। সেখানে অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ায় তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়। এরপর তিনি স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের হাত করে ২০১২ সালে এই বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক পদে যোগ দেন এবং তাঁদের প্রশ্রয়ে নানা অপকর্মে জড়িয়ে পড়েন। নিজের অবস্থান শক্ত করতে বিদ্যালয়ের বাৎসরিক অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতাদের প্রধান অতিথি করতেন। সেই সঙ্গে প্রতিষ্ঠানের লাখ লাখ টাকায় দৃষ্টিনন্দন বঙ্গবন্ধু কর্নার ও বঙ্গবন্ধুর মিনি ভাস্কর্য বানিয়ে আলোচনায় আসেন। তিনি জেলা শহরের প্রাণকেন্দ্রে সাততলা আবাসিক ভবন গড়ে তোলাসহ শহরের আশপাশে একাধিক স্থানে জমি কিনেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ভয়ে মজিদ নিয়মিত বিদ্যালয়ে আসছেন না। তিনি খণ্ডকালীন সহকারী শিক্ষক মো. কামাল হোসেন ও অফিস সহকারী রাজু আহমেদের মাধ্যমে এসএসসি টেস্ট পরীক্ষায় অকৃতকার্যদের ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকায় পাস করে দিচ্ছেন।
আরও অভিযোগ রয়েছে, প্রধান শিক্ষক মজিদ অর্থের বিনিময়ে অতিরিক্ত শিক্ষার্থী ভর্তি করেন। বোর্ডের অনুমোদন ছাড়া বেশ কয়েকটি শ্রেণিশাখা চালু এবং সেখানে অর্থের বিনিময়ে কয়েকজন খণ্ডকালীন শিক্ষক নিয়োগ দেন। একইভাবে তিন কর্মচারী নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে। সেই সঙ্গে অনুদানের কম্পিউটার বাসায় নেওয়া, এসি ও জেনারেটর কেনায় অনিয়ম এবং ভবন নির্মাণে নিজের মতো করে বিল পরিশোধের অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। এ ছাড়া স্টেশনারি সামগ্রী কেনা, ডায়েরি-ক্যালেন্ডার ছাপানো, ক্যানটিন ভাড়া ও কোচিং সেন্টার পরিচালনায় অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে।
যোগাযোগ করা হলে প্রধান শিক্ষক মজিদ অনিয়মের কথা অস্বীকার করে বলেন, ‘আমি কোনো অনিয়ম করিনি। আমার সাততলা বাড়ি, সম্পত্তি নিজের টাকা এবং ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে করা হয়েছে।’
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের অ্যাডহক কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মানোয়ার হোসেন মোল্লা বলেন, দুর্নীতির বিষয়ে জানতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির প্রতিবেদন ও ঘটনার সত্যতা পেলে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কমবেশি ১৮ বছর পর রাজধানীর বনানী ৫৪ প্লট প্রকল্পের ফাইলগুলোর দাপ্তরিক কার্যক্রম শুরু করেছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। ২০০১ সালে ক্ষমতাসীন হওয়া বিএনপির নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকারের আমলে বনানীর এ প্লটগুলো তৎকালীন মন্ত্রী, সংসদ সদস্য ও অন্যদের নামে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। ওই সরকারের মেয়াদ শেষের প
২ ঘণ্টা আগেমৌলভীবাজারের কাউয়াদীঘি হাওর অধ্যুষিত রাজনগর ও সদর উপজেলায় পানিসংকটের কারণে ধান উৎপাদন অর্ধেকে নেমেছে। এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে মনু নদ সেচ প্রকল্প খনন না করায়। ভুক্তভোগী কৃষকদের দাবি, ১০৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সেচনালা ধীরে ধীরে ভরাট হয়ে উঁচু হয়ে গেছে।
৯ ঘণ্টা আগেকক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের ঝাউবনে গোলাম রব্বানী টিপু (৫৫) নামের এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে শহরের হোটেল সি-গালসংলগ্ন সৈকততীরে এ ঘটনা ঘটে বলে জানান কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইলিয়াস খান।
৯ ঘণ্টা আগেউত্তরা পূর্ব থানা থেকে সাবেক ওসি শাহ আলম পালিয়ে যাওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা রাত ১১টার দিকে উত্তরা পূর্ব থানায় জড়ো হওয়া শুরু করেন। এ সময় তাঁরা ওসিকে গ্রেপ্তারের দাবিতে আলটিমেটাম দেন।
৯ ঘণ্টা আগে