গোপালগঞ্জে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে দুই কিশোর নিহত হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে সদর উপজেলার গোপীনাথপুর-কোটাখোল সড়কে দুর্গাপুর গ্রামের কালী মন্দিরের সামনে এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হচ্ছে- সদর উপজেলার ইছাখালী গ্রামের বুলবুল ফকিরের ছেলে বাঁধন ফকির (১৪) ও একই গ্রামের পলাশ শেখের ছেলে মাহিম শেখ ওরফে মারুফ শেখ (১৪)। আর মোটরসাইকেলের থেকে ছিটকে পড়ে বেঁচে যায় তাদেরই বন্ধু ইব্রাহীম।
গোপীনাথপুর পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক আহম্মেদ আলী বিশ্বাস জানান, আজ শুক্রবার সকালে ৩ বন্ধু মোটরসাইকেল নিয়ে ঘুরতে বের হয়। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মোটরসাইকেলটি জালালাবাদ ইউনিয়নের দুর্গাপুর কালী মন্দিরের সামনে পৌঁছালে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশে থাকা গাছের সঙ্গে সজোরে ধাক্কা লাগে। এতে মাহিম ও বাঁধন মারাত্মক আহত হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় দুজনকে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে আনা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত বাঁধন ফকির খালিয়া ইউনাইটেড একাডেমির অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী এবং মাহিম শেখ ওরফে মারুফ শেখ স্থানীয় পাচুরিয়া আলিয়া মাদ্রাসায় অষ্টম শ্রেণিতে পড়ে।
দুর্ঘটনায় বেঁচে যাওয়া ইব্রাহীম বলেন, মোড় ঘোরার সময় মোটরসাইকেলের গতি ছিল ৮০ কিলোমিটারের ওপরে। এ সময় অপর দিক থেকে একটি ইজিবাইক আসতেছিল। তখন মোটরসাইকেলটি নিয়ন্ত্রণ হারায় এবং রাস্তার পাশে একটি গাছের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। আমি মোটরসাইকেলের পেছন থেকে ছিটকে বাগানের মধ্যে পড়ে যাই। একজন গাছের সঙ্গে ধাক্কা খায় এবং একজন গাড়ির নিচে চাপা পড়ে।
নিহত মাহিম শেখের বাবা পলাশ শেখ জানান, আমার ভাগ্নি জামাই (মাহিমের ফুপাতো ভগ্নিপতি) আজিজুল গাজী মোটরসাইকেল নিয়ে আমাদের বাড়িতে বেড়াতে আসে। আজিজুল গাজী আমাদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলতেছিল। এই ফাঁকে মাহিম তার ভগ্নিপতির মোটরসাইকেলের চাবিটি নিয়ে তার বন্ধু বাঁধনকে সঙ্গে নিয়ে মোটরসাইকেলে ঘুরতে বের হয়।
পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষার্থীদের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান সদর থানার এসআই মোরাদ হোসেন।