হোম > সারা দেশ > রংপুর

খানসামায় ভুট্টাখেত থেকে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার, মামলায় যুবক গ্রেপ্তার

খানসামা (দিনাজপুর) প্রতিনিধি 

আপডেট: ১০ জানুয়ারি ২০২৫, ১৫: ০৫
গ্রেপ্তার সবুজ ইসলাম (২৫)। ছবি: সংগৃহীত

দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার গোয়ালডিহি হাজীপাড়াসংলগ্ন ভুট্টাখেত থেকে এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলার আসামি সবুজ ইসলামকে (২৫) গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)। আজ শুক্রবার বেলা ১১টায় র‍্যাব-১৩-এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট সাইফুল্লাহ নাঈম স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার রাতে জেলার চিরিরবন্দর উপজেলার ফতেজংপুর গ্রামের সাইফুল ইসলামের বাড়ি থেকে তাঁকে আটক করেন র‍্যাব সদস্যরা। পরে তাঁকে খানসামা থানায় সোপর্দ করা হয়।

আটক সবুজ ইসলাম কামারের মোড় এলাকার জাহিদের ছেলে। তিনি থানায় দায়ের করা হত্যা মামলার ২ নম্বর আসামি এবং নিহত আনিছা খাতুনের স্বামী ও মামলার ১ নম্বর আসামি মাহফুজুর রহমানের বন্ধু।

মামলা, প্রেস বিজ্ঞপ্তি ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী আনিছা খাতুন (১৯) চিরিরবন্দর উপজেলার ফতেজংপুর এলাকার ইপিজেড এভারগ্রিন কোম্পানিতে চাকরি করার সুবাদে গ্রেপ্তার সবুজসহ অন্য আসামিদের সঙ্গে পরিচয় হয়। একপর্যায়ে মামলার এজাহারভুক্ত ১ নম্বর আসামি মাহফুজুর রহমানের সঙ্গে আনিছার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠলে তারা পরিবারকে না জানিয়ে বিয়ে করেন। ওই বিয়ে আসামির পরিবার মেনে না নেওয়ায় তারা দুজন নিহত আনিছার বড় ভাইয়ের বাড়িতে বসবাস শুরু করেন। তাঁর বাড়ি খানসামা উপজেলার গোয়ালডিহি ইলিয়াস হাজীপাড়া এলাকায়। এর কয়েক মাস পর উভয়ে পার্শ্ববর্তী এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করতে থাকেন।

একপর্যায়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্য হলে আনিছা তাঁর বাবার বাসায় চলে যান। গত ৬ জানুয়ারি সন্ধ্যায় গ্রেপ্তার আসামিসহ অন্য আসামিরা আনিছাকে তাঁর ভায়ের বাসা থেকে নিয়ে আসেন। পরদিন ৭ জানুয়ারি সকালে খানসামা থানার গোয়ালডিহি গ্রামের হাজীপাড়াসংলগ্ন একটি ভুট্টাখেত থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে থানা-পুলিশ। এ ঘটনায় আনিছার বড় ভাই বাদী হয়ে খানসামা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে খানসামা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজমুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হত্যা মামলার আসামি সবুজ ইসলামকে আমাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আজ (শুক্রবার) তাঁকে আদালতে পাঠানো হবে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সবাইকে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।’

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, সংবাদমাধ্যম বা যেকোনো মাধ্যমে প্রচারিত কোনো ছবি, ভিডিও বা তথ্য বিভ্রান্তিকর মনে হলে তার স্ক্রিনশট বা লিংক কিংবা সে সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য আমাদের ই-মেইল করুন। আমাদের ই-মেইল ঠিকানা factcheck@ajkerpatrika.com

ফরিদপুরে যুবককে তুলে নিয়ে নির্যাতন, ঢাকায় নেওয়ার পথে মৃত্যু

সিলেটে ড. মিজানুর রহমান আজহারীর মাহফিল শনিবার

চট্টগ্রামে গার্মেন্টসের জুটের কাপড়ে আগুন দেওয়া সন্ত্রাসী গ্রেপ্তার

শ্রীপুরের কারাবন্দী শ্রমিক লীগ নেতার হাসপাতালে মৃত্যু