হোম > সারা দেশ > রাজশাহী

বিএমডিএ পিডি লাঞ্ছিত, নেপথ্যে ১৯ কোটির ‘ভাগ’

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

প্রকাশ: ০৭ জানুয়ারি ২০২৫, ০২: ১০
আপডেট: ০৭ জানুয়ারি ২০২৫, ০২: ১০
বিএমডিএ পিডি লাঞ্ছিত, নেপথ্যে ১৯ কোটির ‘ভাগ’। ছবি: আজকের পত্রিকা

বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী শহীদুর রহমানকে লাঞ্ছনার নেপথ্যে রয়েছে ১৯ কোটি টাকার কাজের ভাগ-বাঁটোয়ারা। এই কাজের ভাগ চেয়ে সাড়া না পেয়ে জামায়াতে ইসলামীর প্রয়াত এক নেতার ছেলের নেতৃত্বে রোববার সন্ধ্যায় শহীদুর রহমানকে তাঁর কার্যালয়েই শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয় বলে ভুক্তভোগী সূত্রে জানা গেছে।

জামায়াতে ইসলামী অবশ্য দাবি করেছে, বিএনপির নেতাদের নামে কাজ বরাদ্দ হচ্ছে। জামায়াত এই ভাগ-বাঁটোয়ারার মধ্যে নেই। যোগ্য ঠিকাদার কাজ পাবেন, তারা এটিই চায়।

তবে সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলী জানিয়েছেন, যাঁরা অফিসে ‘হট্টগোল’ করেছেন, তাঁরাও নিয়মবহির্ভূতভাবে কাজ চেয়েছিলেন। এভাবে কাজ দেওয়া সম্ভব নয় জানালেই ওই ঘটনা ঘটে।

জামায়াতে ইসলামীর রাজশাহী মহানগরীর প্রচার ও মিডিয়া সম্পাদক আশরাফুল আলম ইমন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জামায়াতের প্রয়াত ওই নেতার ছেলে বিএমডিএতে যেতে পারেন। তবে এই ঘটনা জামায়াতের দলীয় কোনো বিষয় নয়। এটা এলাকাভিত্তিক একটা ঘটনা। এর দায় জামায়াত নেবে না।’

তিনি বলেন, ‘বিএমডিএতে হালুয়া-রুটির মতো কাজ ভাগাভাগি চলছে। এটা বিএনপির ওমুক নেতার কাজ, ওটা আরেক নেতার—এভাবেই কাজ ভাগ হচ্ছে। জামায়াত এটার বিরুদ্ধে। আমাদের কথা হলো, নিয়মতান্ত্রিকভাবে যে ঠিকাদার যোগ্য তিনিই কাজ পাবেন। এখানে কাউকে পছন্দ করে কাজ দেওয়া চলবে না। এটাই আমাদের দলের অবস্থান।’

এদিকে ওই ঘটনায় গতকাল সোমবার সকালে শহীদুর রহমানের কার্যালয়ে গিয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলেন নগরের রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল ইসলাম। বের হওয়ার পর ওসি বলেন, ‘পিডি চাইলে থানায় অভিযোগ দিতে পারেন। তাহলে আমরা আইনগতভাবে দেখব।’

কাজ ভাগাভাগি করে দেওয়ার অভিযোগের বিষয়ে পিডি শহীদুর রহমান বলেন, কেবল দরপত্র দাখিল হয়েছে। ঠিকাদার নির্বাচনই হয়নি। তাই কাজ ভাগাভাগি করে দেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না।

থানায় অভিযোগ করবেন কি না, জানতে চাইলে পিডি বলেন, ‘নির্বাহী পরিচালক স্যার ঢাকায় আছেন। তিনি ফেরার পর আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেব।’

ভুক্তভোগী প্রকৌশলী শহীদুর রহমান বিএমডিএর ‘ভূগর্ভস্থ সেচ নালা বর্ধিতকরণের মাধ্যমে সেচ এলাকার সম্প্রসারণ’ প্রকল্পের পরিচালক (পিডি)। রাজশাহী ও রংপুর বিভাগে আগে থেকেই আছে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার গভীর নলকূপ। এই নলকূপগুলোর মাধ্যমে ৬১০ মিটার এলাকা সেচের আওতায় আনা যাচ্ছে। আরও ৫০০ মিটার করে পাইপলাইন সম্প্রসারণ করা এই প্রকল্পের মূল কাজ।

বিএমডিএ সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি পিডি শহীদুর রহমান ৯৫টি লটে পাইপলাইন সম্প্রসারণ কাজের দরপত্র আহ্বান করেছেন। প্রতিটি লটে কাজ হবে ২০ লাখ টাকার। মোট ১৯ কোটি টাকার এই কাজের ‘ভাগ’ চাইতে গিয়েই লাঞ্ছনা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।

১৭৫ হেক্টরে আবাদ অনিশ্চিত

তিতাস দখল ঘেরে, নদ হয়েছে খাল

নকশা না মেনে একের পর এক উঠছে ভবন

ডিএনসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তাকে ছুরিকাঘাত