কামাল হোসেন সরকার, হোমনা (কুমিল্লা)
নদী দখলের নতুন চিত্র ধরা পড়ল কুমিল্লার হোমনায়। এ উপজেলা দিয়ে প্রবাহিত তিতাস নদের দুই পাশে কয়েক শ অবৈধ বাঁশের ঘের দেওয়া হয়েছে। এসব ঘের থেকে নির্বিচারে রেণুসহ বিভিন্ন মাছ শিকার করা হচ্ছে। এতে ব্যাহত হচ্ছে নদের স্বাভাবিক স্রোতোধারা। এ কারণে নদটি কোথাও কোথাও মরা খালে পরিণত হয়েছে। দীর্ঘদিন নির্বিচারে মাছ শিকার করা হলেও স্থানীয় প্রশাসন ঘেরমালিকদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলেও অভিযোগ রয়েছে।
সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা যায়, হোমনা সদর উপজেলার তিতাস নদের প্রায় ২০ কিলোমিটার এলাকায় শতাধিক অবৈধ ঘের রয়েছে। উপজেলার শ্রীমদ্দি থেকে রামচন্দ্রপুর পর্যন্ত প্রভাবশালীরা তিতাস নদে গণহারে ঘের দিয়ে মাছ শিকার করছেন। মাছ শিকারে ব্যবহার করা হচ্ছে চিকন ফাঁসের জাল। এসব জাল থেকে কোনো (আধা সেন্টিমিটারের কম) ধরনের মাছই বের হতে পারে না। ফলে ছোট-বড় মাছের পাশাপাশি পোনাও ধরা পড়ছে ঘেরমালিকদের ফাঁদে।
হোমনার শ্রীমদ্দি গ্রামের বাসিন্দা আবদুল বাতেন বলেন, ‘আমাদের তিতাস নদে আগে বড় বড় লঞ্চ, মালবাহী স্টিমার চলত। এখন তো ঘের, কচুরিপানা এবং ভরাট হয়ে যাওয়ায় শুষ্ক মৌসুমে এতে নৌকা চলাচল কষ্টকর হয়ে ওঠে। সময়ের ব্যবধানে নাব্যতা হারিয়ে ক্রমেই মরা খালে পরিণত হচ্ছে তিতাস।’ আবদুল বাতেন বলেন, নদের এই নাব্যতা হারানোর নেপথ্যে রয়েছে নদী দখল, পলি জমে ভরাট হওয়া, অবৈধভাবে ঘের দিয়ে মাছ শিকার করা। রামকৃষ্ণপুর গ্রামের আবদুল মোমেন বলেন, ‘তিতাস নদ ছিল আমাদের গর্ব। অবৈধ মাছের ঘেরের কারণে নদের স্বাভাবিক স্রোতোধারা ব্যাহত হচ্ছে, পলিমাটি জমে এটি ভরাট হচ্ছে। প্রশাসনকে ম্যানেজ করে এখানে এভাবে মাছ ধরা হচ্ছ।’
শ্রীমদ্দি গ্রামের মো. দুলাল মিয়ার ঘের আছে তিতাসে। তিনি বলেন, ‘সরকারি নদীতে ঘের তৈরি করে মাছ ধরা অবৈধ, এটা আমার জানা নাই।’
হোমনা গ্রামের ঘেরমালিক কিংকড় দাস বলেন, ‘আমরা যুগ যুগ ধরে নদীতে ঘের তৈরি করে মাছ ধরতেছি, কোনো দিন তো কেউ কিছু বলে নাই। আর সরকারি নদীতে ঘের দেওয়া অবৈধ হবে কেন?’
উপজেলার শ্রীমদ্দি থেকে রামচন্দ্রপুর পর্যন্ত পুরো এলাকায় তিতাস দখল হয়েছে। তবে সবচেয়ে বেশি দখল হয়েছে রামকৃষ্ণপুর। নদ দখল করে তৈরি করা হয়েছে কৃষিখেত। ধানসহ বিভিন্ন ধরনের চাষাবাদ হচ্ছে এই এলাকায়। এতে নদের প্রবাহ একেবারে শীর্ণ হয়ে এসেছে। এ ছাড়া নদে অবৈধ ঘের তৈরির কারণে কচুরিপানা আটকে নৌযান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। দুই পারের মানুষ রান্নাবান্নাসহ গৃহস্থালির কাজের জন্য নদের পানি ব্যবহার করত। তবে ঘেরের কচুরিপানা পচে পানি দুর্গন্ধময় হয়ে পড়ায় তিতাস পারের মানুষ গোসল, রান্নাবান্নাসহ দৈনন্দিন কাজ করতে পারছে না।
এমন অবৈধ ঘের থাকার কথা স্বীকার করলেন উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, ‘এসব অবৈধ মাছের ঘের আমিও দেখেছি। ইউএনও স্যারের সঙ্গে পরামর্শ করে অবৈধ ঘেরমালিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আর হোমনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ক্ষেমালিকা চাকমা বলেন, ‘উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
নদী দখলের নতুন চিত্র ধরা পড়ল কুমিল্লার হোমনায়। এ উপজেলা দিয়ে প্রবাহিত তিতাস নদের দুই পাশে কয়েক শ অবৈধ বাঁশের ঘের দেওয়া হয়েছে। এসব ঘের থেকে নির্বিচারে রেণুসহ বিভিন্ন মাছ শিকার করা হচ্ছে। এতে ব্যাহত হচ্ছে নদের স্বাভাবিক স্রোতোধারা। এ কারণে নদটি কোথাও কোথাও মরা খালে পরিণত হয়েছে। দীর্ঘদিন নির্বিচারে মাছ শিকার করা হলেও স্থানীয় প্রশাসন ঘেরমালিকদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলেও অভিযোগ রয়েছে।
সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা যায়, হোমনা সদর উপজেলার তিতাস নদের প্রায় ২০ কিলোমিটার এলাকায় শতাধিক অবৈধ ঘের রয়েছে। উপজেলার শ্রীমদ্দি থেকে রামচন্দ্রপুর পর্যন্ত প্রভাবশালীরা তিতাস নদে গণহারে ঘের দিয়ে মাছ শিকার করছেন। মাছ শিকারে ব্যবহার করা হচ্ছে চিকন ফাঁসের জাল। এসব জাল থেকে কোনো (আধা সেন্টিমিটারের কম) ধরনের মাছই বের হতে পারে না। ফলে ছোট-বড় মাছের পাশাপাশি পোনাও ধরা পড়ছে ঘেরমালিকদের ফাঁদে।
হোমনার শ্রীমদ্দি গ্রামের বাসিন্দা আবদুল বাতেন বলেন, ‘আমাদের তিতাস নদে আগে বড় বড় লঞ্চ, মালবাহী স্টিমার চলত। এখন তো ঘের, কচুরিপানা এবং ভরাট হয়ে যাওয়ায় শুষ্ক মৌসুমে এতে নৌকা চলাচল কষ্টকর হয়ে ওঠে। সময়ের ব্যবধানে নাব্যতা হারিয়ে ক্রমেই মরা খালে পরিণত হচ্ছে তিতাস।’ আবদুল বাতেন বলেন, নদের এই নাব্যতা হারানোর নেপথ্যে রয়েছে নদী দখল, পলি জমে ভরাট হওয়া, অবৈধভাবে ঘের দিয়ে মাছ শিকার করা। রামকৃষ্ণপুর গ্রামের আবদুল মোমেন বলেন, ‘তিতাস নদ ছিল আমাদের গর্ব। অবৈধ মাছের ঘেরের কারণে নদের স্বাভাবিক স্রোতোধারা ব্যাহত হচ্ছে, পলিমাটি জমে এটি ভরাট হচ্ছে। প্রশাসনকে ম্যানেজ করে এখানে এভাবে মাছ ধরা হচ্ছ।’
শ্রীমদ্দি গ্রামের মো. দুলাল মিয়ার ঘের আছে তিতাসে। তিনি বলেন, ‘সরকারি নদীতে ঘের তৈরি করে মাছ ধরা অবৈধ, এটা আমার জানা নাই।’
হোমনা গ্রামের ঘেরমালিক কিংকড় দাস বলেন, ‘আমরা যুগ যুগ ধরে নদীতে ঘের তৈরি করে মাছ ধরতেছি, কোনো দিন তো কেউ কিছু বলে নাই। আর সরকারি নদীতে ঘের দেওয়া অবৈধ হবে কেন?’
উপজেলার শ্রীমদ্দি থেকে রামচন্দ্রপুর পর্যন্ত পুরো এলাকায় তিতাস দখল হয়েছে। তবে সবচেয়ে বেশি দখল হয়েছে রামকৃষ্ণপুর। নদ দখল করে তৈরি করা হয়েছে কৃষিখেত। ধানসহ বিভিন্ন ধরনের চাষাবাদ হচ্ছে এই এলাকায়। এতে নদের প্রবাহ একেবারে শীর্ণ হয়ে এসেছে। এ ছাড়া নদে অবৈধ ঘের তৈরির কারণে কচুরিপানা আটকে নৌযান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। দুই পারের মানুষ রান্নাবান্নাসহ গৃহস্থালির কাজের জন্য নদের পানি ব্যবহার করত। তবে ঘেরের কচুরিপানা পচে পানি দুর্গন্ধময় হয়ে পড়ায় তিতাস পারের মানুষ গোসল, রান্নাবান্নাসহ দৈনন্দিন কাজ করতে পারছে না।
এমন অবৈধ ঘের থাকার কথা স্বীকার করলেন উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, ‘এসব অবৈধ মাছের ঘের আমিও দেখেছি। ইউএনও স্যারের সঙ্গে পরামর্শ করে অবৈধ ঘেরমালিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আর হোমনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ক্ষেমালিকা চাকমা বলেন, ‘উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
দীর্ঘদিন সংস্কার করা হয়নি রংপুর মহানগরীর বেশির ভাগ সড়ক। ফলে সড়কগুলোর পিচ-পাথর উঠে গিয়ে বেরিয়ে পড়েছে খোয়া ও মাটি। অনেক স্থানেই সৃষ্টি হয়েছে ছোট-বড় গর্ত। এতে দুর্ভোগ হচ্ছে নগরবাসীর। বর্ষা মৌসুমের আগে সংস্কার না করলে সেই দুর্ভোগ বেড়ে যাবে কয়েক গুণ। এদিকে সিটি করপোরেশন বলছে, বরাদ্দ না থাকায় সংস্কার করা
১৩ মিনিট আগেঅনিয়ম এবং ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সরকারি কর্মকর্তাদের যোগসাজশে বিপাকে পড়েছে খাদ্য অধিদপ্তর। ফসল সংগ্রহের লক্ষ্যে সাত লাখ বস্তা সরবরাহের জন্য রাজশাহী বিভাগের সঙ্গে যে দুটি প্রতিষ্ঠান চুক্তি করেছে, তারা বস্তা সরবরাহ করছে না। এ পর্যন্ত যে দুই লাখ বস্তা সরবরাহ করেছে, সেগুলো নিম্নমানের। এ ব্যাপারে যে
১৫ মিনিট আগেকুয়াশাচ্ছন্ন ভোরে বরিশাল নগরের নবগ্রাম সড়কে এক সাজি চাপিলা আকৃতির ইলিশের বাচ্চা বিক্রি করছিলেন বিক্রেতা লাল মিয়া। প্রতি কেজি সাড়ে ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে এ জাটকা। সম্প্রতি বরিশালের বাজারগুলোয় এসব দেদার বিক্রি হচ্ছে। তবে বরিশালের ইলিশ মোকাম পোর্ট রোডে ইলিশ নেই বললেই চলে। বলা হচ্ছে, এবার বড় ইলিশ আশঙ্কা
১৮ মিনিট আগেফেনী পৌরসভার ফলেশ্বর এলাকায় মাসুদা বেগম (৬৫) নামে এক গৃহকর্মীকে গলাকেটে হত্যার ঘটনায় আবির আল রাফি (২০) নামে এক কিশোরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার রাফি নোয়াখালী জেলার সদর উপজেলার চর মটুয়া গ্রামের মো. মেজবাহ উদ্দিনের ছেলে। তিনি ফেনীর একটি সরকারি কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে
১ ঘণ্টা আগে