ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে মানুষ স্বস্তিতে বাড়ি ফিরতে পারলেও বাড়তি ভাড়ার কারণে অস্বস্তিতে রয়েছে। যাত্রীদের অভিযোগ, যানবাহন কম থাকার সুযোগে দূরপাল্লার যাত্রীদের কাছ থেকে বেশি ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। যে কারণে বাধ্য হয়ে অনেকে খোলা ট্রাক বা পিকআপে করে বাড়ি ফিরছেন।
তবে যানবাহনে বাড়তি ভাড়া আদায়ের অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানিয়েছেন কুমিল্লার জেলা প্রশাসক (ডিসি) খন্দকার মু. মুশফিকুর রহমান।
কুমিল্লার পদুয়ার বাজার থেকে রংপুর বাসের অপেক্ষায় কাজল মিয়া। তিনি বলেন, ‘বাস ভাড়া ছিল ৮০০ টাকা। এখন চাওয়া হচ্ছে ১৮ শ টাকা। এত বেশি ভাড়া চাইলে ট্রাকে করে যেতে হবে।’
আরেক যাত্রী তাহমিদুল ইসলাম বলেন, আট ঘণ্টা অপেক্ষা করেও বাস পাওয়া যায়নি। আর যেসব বাস পাওয়া যাচ্ছে, তারা দুই-তিন গুণ ভাড়া চাইছে। ৪০০ থেকে ৬০০ টাকার ভাড়া দাবি করা হচ্ছে ১৮ শ থেকে ২ হাজার টাকা।
সরেজমিন পদুয়ার বাজার এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, বাড়ি ফেরার জন্য অনেক যাত্রী অপেক্ষা করছেন। যাত্রীবাহী বাস না পেয়ে অনেকে ট্রাক-পিকআপে করে বাড়ি যাচ্ছেন। অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ প্রায় সবারই।
ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন ও যানজটমুক্ত রাখতে সড়ক-মহাসড়কে পুলিশের পাশাপাশি দায়িত্ব পালন করছেন ৩৮ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক, কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়ক ও কুমিল্লা-নোয়াখালী মহাসড়কে পৃথকভাবে দায়িত্ব পালন করছেন তাঁরা। আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক পরিদর্শন করেন কুমিল্লার জেলা প্রশাসক খন্দকার মু. মুশফিকুর রহমান ও জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) আব্দুল মান্নান।
হাইওয়ে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ঈদ উপলক্ষে হাইওয়ে কুমিল্লা বিভাগে ৪৪টি ভ্রাম্যমাণ টিম, ৩৪টি পিকেট টিম, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ২২ থানায় ২২টি কুইক রেসপন্স টিম, ইন্টেলিজেন্স টিম রয়েছে তথ্য সংগ্রহ করার জন্য। তা ছাড়া সরকারি ও বেসরকারি রেকার মোতায়েন করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মহাসড়ক নিরাপদ রাখতে আমরা সচেষ্ট। ঈদযাত্রায় কেউ যেন ছিনতাইকারী বা ডাকাতের কবলে না পড়ে, সে জন্য মহাসড়কগুলো পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। আগামী দুই-তিন দিন মহাসড়কে যানবাহনের কিছুটা চাপ থাকবে। হাইওয়ে ও জেলা পুলিশ মিলে তা মোকাবিলা করতে পারব।’