চাঁদপুরে বাসের ধাক্কায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার এক যাত্রী নিহত ও পাঁচজন আহত হয়েছেন। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় সদর উপজেলার কুমরাডুগি এলাকায় কুমিল্লা-চাঁদপুর আঞ্চলিক মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত যাত্রী হলো মো. তাহিম হাসান ফাহিম (১২)। সে হাজীগঞ্জ পৌরসভার পৌর এলাকার টোরাগড় এলাকার মজুমদারবাড়ির বাসিন্দা এবং সাবেক কাউন্সিলর কাজী মনির হোসেনের ছোট ছেলে। আহতরা হলেন কাজী মনির হোসেন (৫৫) ও তাঁর স্ত্রী সীমা বেগম (৪০), মেয়ে মিথিলা আক্তার (১৭), ছেলে মো. হৃদয় (২২) এবং পুত্রবধূ সামিয়া আক্তার (১৯)।
দুর্ঘটনায় হতাহতের তথ্য আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেন চাঁদপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বাহার মিয়া। তিনি বলেন, দুর্ঘটনাস্থল থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার এবং দুর্ঘটনাকবলিত বাস ও অটোরিকশা থানা হেফাজতে নিয়ে আসা হয়। কোনো অভিযোগ না থাকায় লিখিত আবেদনের ভিত্তিতে নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্ত ছাড়াই পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্থানীয়রা জানান, কাজী মনির হোসেন পরিবার নিয়ে নিজ বাড়িতে আসার জন্য ঢাকা থেকে লঞ্চে করে গতকাল সন্ধ্যায় চাঁদপুরে আসেন। এরপর তিনি চাঁদপুর থেকে অটোরিকশায় করে হাজীগঞ্জে আসছিলেন। পথে সদর উপজেলার কুমরাডুগি এলাকায় কুমিল্লা-চাঁদপুর আঞ্চলিক মহাসড়কে আইদি পরিবহনের যাত্রীবাহী একটি বাস অটোরিকশাকে ধাক্কা দেয়। এতে অটোরিকশাটি দুমড়ে-মুচড়ে যায় এবং চালকসহ সবাই গুরুতর আহত হন। তাঁদের মধ্যে গুরুতর আহত ফহিম ঘটনাস্থলেই মারা যান।
হতাহত পরিবারের আত্মীয় হাজীগঞ্জ সরকারি মডেল স্কুলের শিক্ষক জহিরুল ইসলাম মজুমদার বলেন, ফাহিমকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় এবং আহত কাজী মনির হোসেন ও তাঁর স্ত্রী এবং ছেলে হৃদয়কে হাজীগঞ্জের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। একই সময়ে তাঁর ছেলে হৃদয়ের স্ত্রী সামিয়া ও অটোরিকশাচালককে চাঁদপুর সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে সামিয়াকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়।