ঠাকুরগাঁওয়ে ধর্ষণ মামলায় মো. হাসমত আলী (৩৬) এক ব্যক্তির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে। একই মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় অপর দুই আসামিকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
আজ রোববার ঠাকুরগাঁও নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. গোলাম ফারুক এই রায় দেন। দণ্ডপ্রাপ্ত হাসমত আলী ঠাকুরগাঁও পৌর শহরের কলেজপাড়া মহল্লার হায়দার আলীর ছেলে।
মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি (পিপি) আবু তৈয়ব মো. নজমুল হুদা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হাসমত আলীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।’
আদালত সূত্রে জানা যায়, পৌর শহরের কলেজপাড়া মহল্লার এক কিশোরীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়ায় হাসমত আলী। পরে ২০১০ সালের ৬ জুলাই ভুল বুঝিয়ে নিজের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে কিশোরীকে ধর্ষণ করেন তিনি। পরে ওই কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পরলে বিষয়টি জানাজানি হয়। পরে ওই মাসের ২০ জুন ভুক্তভোগী কিশোরীর মা বাদী হয়ে ঠাকুরগাঁও নারী ও শিশু দমন ট্রাইব্যুনালে হাসমত আলীসহ ৩ জনকে আসামি করে মামলা করেন।
আদালত মামলাটি সদর থানা-পুলিশকে নথিভুক্ত করে তদন্তের আদেশ দেন। তদন্ত শেষে পুলিশ হাসমত আলীকে অভিযুক্ত করে এবং অপর ২ জনকে এ ঘটনায় জড়িত ছিল না মর্মে চূড়ান্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করে।
উল্লেখ্য, রায় ঘোষণার সময় আসামি হাসমত আলী আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরবর্তীতে তাকে ঠাকুরগাঁও জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।