ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে মেছো বাঘ (বনবিড়াল) মেরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছবি আপলোড দেওয়ার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। কোটচাঁদপুর সামাজিক বনায়ন নার্সারি ও প্রশিক্ষণকেন্দ্রের কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা করেছেন। গতকাল মঙ্গলবার রাতে মাহশপুরের কৈখালী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, মঙ্গলবার রাতে মাহশপুরের কৈখালী গ্রামে নির্মমভাবে একটি মেছো বাঘকে (বনবিড়াল) হত্যা করে স্থানীয় বাসিন্দারা। পরে তার ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে (ফেসবুকে) দেন। এরপর সেটি মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়ে যায়। ওই দৃশ্য দেখতে পান যশোর সার্কেলের বন কর্মকর্তা ও যশোর সামাজিক বন বিভাগের কর্মকর্তা অমিতা মণ্ডল। পরে তিনি কোটচাঁদপুর সামাজিক বনায়ন নার্সারি ও প্রশিক্ষণকেন্দ্রের কর্মকর্তা শফিকুল ইসলামকে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন।
বন কর্মকর্তা আজ সকালে ছুটে যান ঘটনাস্থলে। উদ্ধার করেন মৃত মেছো বাঘটি। এরপর বাঘটির ময়নাতদন্ত শেষে মহেশপুর থানায় দুজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও কয়েকজনকে আসামি করে মামলা করেছেন বলে জানিয়েছেন ওই কর্মকর্তা। তবে তিনি মামলার স্বার্থে আসামিদের নাম গণমাধ্যমে প্রকাশ করতে রাজি হননি।
শফিকুল ইসলাম বলেন, ঘটনা ঘটার পর ওই বাঘ হত্যাকারীরা, তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে দেন। সেটি ভাইরাল হলে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশে মামলা করা হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে নাম দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
পরে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্য ও সাধারণ মানুষ নিয়ে জনসচেতনতা সভা করেন ওই কর্মকর্তা।
মহেশপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফয়েজ উদ্দিন বলেন, ‘ঘটনাটি আমি শুনেছি। ওই ঘটনায় কোটচাঁদপুরের বন কর্মকর্তা বাদী হয়ে থানায় মামলা প্রস্তুত করছেন। তবে কতজনকে আসামি করেছেন, সেটা পরে বলা সম্ভব হবে।’