বেনাপোল প্রতিনিধি
নতুন ভাইরাস হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস (এইচএমপিভি) সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে প্রতিরোধের ব্যবস্থা নিয়েছে বেনাপোল ইমিগ্রেশন বিভাগ। গতকাল বুধবার স্বাস্থ্য বিভাগের দেওয়া নির্দেশনা অনুযায়ী এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য বিভাগের এ-সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিতে এইচএমপিভি সংক্রমণ নিয়ে আতঙ্কিত না হয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বিশেষ করে ১৪ বছরের কম এবং ৬৫ বছরের অধিক বয়সীদের এ ক্ষেত্রে বেশি সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। দেশের স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলোসহ সব প্রবেশপথে (পয়েন্টস অব এন্ট্রি) স্বাস্থ্যবিধি জোরদার করতে বলা হয়েছে।
তথ্যমতে, অতিরিক্ত মাত্রায় পরিবেশদূষণ জলবায়ু পরিবর্তনে দিন দিন সভ্যতা ও জীববৈচিত্র্যের জন্য বিশ্বমানব বড় ধরনের হুমকির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ২০১৫ থেকে ২০২৫ সালে কোনো না কোনো ভাইরাসের আক্রমণের শিকার হয়েছে বিশ্ব। চার বছরের বেশি সময় বিস্তার করা করোনাভাইরাসের ক্ষতি কাটিয়ে না উঠতেই দেখা দিয়েছে এইচএমপিভি নামের ভাইরাসটি।
২০০১ সালে ভাইরাসটি প্রথম দেখা যায়। সম্প্রতি সংক্রমণ ছড়িয়েছে পাশের দেশ ভারতেও। জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে চীনে এইচএমপিভি ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়েছে। পরে সেটির সংক্রমণ জাপান, মালয়েশিয়া, হংকং ও ভারতে ধরা পড়ে। এই ভাইরাস বিশেষ করে শিশু, বয়স্ক ও দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন ব্যক্তিদের প্রভাবিত করছে। চিকিৎসা-ব্যবসাসহ নানান কাজে প্রতিদিন বেনাপোল ও ভারতের পেট্রাপোল বন্দর ব্যবহার করে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে বিপুল পরিমাণে পাসপোর্টধারী যাতায়াত করে থাকে। এসব যাত্রীর মাধ্যমে বাংলাদেশে ভাইরাসটি সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যাওয়ায় প্রতিরোধব্যবস্থা গ্রহণ করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
ভারত থেকে আসা পাসপোর্টধারীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে ইমিগ্রেশন কার্যক্রম করা হচ্ছে। তা ছাড়া মাস্ক পরা, নিরাপদ দূরত্বে অবস্থান, সর্দি, কাশি ও জ্বর থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শের অনুরোধ করা হচ্ছে। আতঙ্কিত না হয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে সংক্রমণ এড়িয়ে নিজেকে ও দেশকে সুরক্ষা দেওয়া যাবে বলেছেন চিকিৎসকেরা।
ভারতফেরত পাসপোর্টধারী অনিমেষ জানান, তিনি চিকিৎসার জন্য ভারতে গিয়েছিলেন। ফেরার পথে বেনাপোল ইমিগ্রেশন স্বাস্থ্য বিভাগ তাঁকে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে ভাইরাসটি থেকে নিরাপদ থাকতে বিভিন্ন পরামর্শ দিয়েছে।
বেনাপোল ইমিগ্রেশন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমতিয়াজ মোহাম্মদ আহসানুল কাদের ভূঁইয়া বলেন, ভাইরাস সংক্রমণ রোধে ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ সতর্ক রয়েছে। ভারত থেকে আসা পাসপোর্টধারীদের কেউ আক্রান্ত কি না, তা পরীক্ষা করছে ইমিগ্রেশন স্বাস্থ্য বিভাগ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইমিগ্রেশন স্বাস্থ্য বিভাগের উপসহকারী মেডিকেল অফিসার আব্দুল মজিদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, এইচএমপিভি সংক্রমণ রোধে ভারত থেকে আসা পাসপোর্টধারীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে। আতঙ্কিত না হয়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। তিনি আরও বলেন, এইচএমপিভির আগে বেনাপোল ইমিগ্রেশন স্বাস্থ্য বিভাগ মাঙ্কিপক্স, ওমিক্রন, করোনা, নিপা ও জিকা ভাইরাস রোধে সতর্ক ব্যবস্থা নিয়েছিল।
সংক্রমণ প্রতিরোধে স্বাস্থ্য বিভাগের নির্দেশনাসমূহ:
১. শীতকালীন শ্বাসতন্ত্রের রোগসমূহ থেকে রক্ষার জন্য মাস্ক ব্যবহার করুন।
২. হাঁচি-কাশির সময় মাস্ক বা টিস্যু দিয়ে নাক-মুখ ঢেকে রাখুন।
৩. ব্যবহৃত টিস্যু অবিলম্বে ঢাকনাযুক্ত ময়লা ফেলার ঝুড়িতে ফেলুন এবং হাত স্যানিটাইজার বা সাবান দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
৪. আক্রান্ত হয়েছেন এমন ব্যক্তিদের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলুন এবং কমপক্ষে ৩ ফুট দূরত্ব বজায় রাখুন।
৫. ঘন ঘন সাবান ও পানি কিংবা হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত ধুয়ে ফেলুন (অন্তত ২০ সেকেন্ড)।
৬. অপরিষ্কার হাতে চোখ, নাক, মুখ ধরবেন না।
৭. আপনি জ্বর, কাশি ও শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হলে সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত বাড়িতে থাকুন। প্রয়োজন হলে নিকটস্থ হাসপাতালে যোগাযোগ করুন।
নতুন ভাইরাস হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস (এইচএমপিভি) সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে প্রতিরোধের ব্যবস্থা নিয়েছে বেনাপোল ইমিগ্রেশন বিভাগ। গতকাল বুধবার স্বাস্থ্য বিভাগের দেওয়া নির্দেশনা অনুযায়ী এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য বিভাগের এ-সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিতে এইচএমপিভি সংক্রমণ নিয়ে আতঙ্কিত না হয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বিশেষ করে ১৪ বছরের কম এবং ৬৫ বছরের অধিক বয়সীদের এ ক্ষেত্রে বেশি সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। দেশের স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলোসহ সব প্রবেশপথে (পয়েন্টস অব এন্ট্রি) স্বাস্থ্যবিধি জোরদার করতে বলা হয়েছে।
তথ্যমতে, অতিরিক্ত মাত্রায় পরিবেশদূষণ জলবায়ু পরিবর্তনে দিন দিন সভ্যতা ও জীববৈচিত্র্যের জন্য বিশ্বমানব বড় ধরনের হুমকির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ২০১৫ থেকে ২০২৫ সালে কোনো না কোনো ভাইরাসের আক্রমণের শিকার হয়েছে বিশ্ব। চার বছরের বেশি সময় বিস্তার করা করোনাভাইরাসের ক্ষতি কাটিয়ে না উঠতেই দেখা দিয়েছে এইচএমপিভি নামের ভাইরাসটি।
২০০১ সালে ভাইরাসটি প্রথম দেখা যায়। সম্প্রতি সংক্রমণ ছড়িয়েছে পাশের দেশ ভারতেও। জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে চীনে এইচএমপিভি ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়েছে। পরে সেটির সংক্রমণ জাপান, মালয়েশিয়া, হংকং ও ভারতে ধরা পড়ে। এই ভাইরাস বিশেষ করে শিশু, বয়স্ক ও দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন ব্যক্তিদের প্রভাবিত করছে। চিকিৎসা-ব্যবসাসহ নানান কাজে প্রতিদিন বেনাপোল ও ভারতের পেট্রাপোল বন্দর ব্যবহার করে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে বিপুল পরিমাণে পাসপোর্টধারী যাতায়াত করে থাকে। এসব যাত্রীর মাধ্যমে বাংলাদেশে ভাইরাসটি সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যাওয়ায় প্রতিরোধব্যবস্থা গ্রহণ করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
ভারত থেকে আসা পাসপোর্টধারীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে ইমিগ্রেশন কার্যক্রম করা হচ্ছে। তা ছাড়া মাস্ক পরা, নিরাপদ দূরত্বে অবস্থান, সর্দি, কাশি ও জ্বর থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শের অনুরোধ করা হচ্ছে। আতঙ্কিত না হয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে সংক্রমণ এড়িয়ে নিজেকে ও দেশকে সুরক্ষা দেওয়া যাবে বলেছেন চিকিৎসকেরা।
ভারতফেরত পাসপোর্টধারী অনিমেষ জানান, তিনি চিকিৎসার জন্য ভারতে গিয়েছিলেন। ফেরার পথে বেনাপোল ইমিগ্রেশন স্বাস্থ্য বিভাগ তাঁকে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে ভাইরাসটি থেকে নিরাপদ থাকতে বিভিন্ন পরামর্শ দিয়েছে।
বেনাপোল ইমিগ্রেশন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমতিয়াজ মোহাম্মদ আহসানুল কাদের ভূঁইয়া বলেন, ভাইরাস সংক্রমণ রোধে ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ সতর্ক রয়েছে। ভারত থেকে আসা পাসপোর্টধারীদের কেউ আক্রান্ত কি না, তা পরীক্ষা করছে ইমিগ্রেশন স্বাস্থ্য বিভাগ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইমিগ্রেশন স্বাস্থ্য বিভাগের উপসহকারী মেডিকেল অফিসার আব্দুল মজিদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, এইচএমপিভি সংক্রমণ রোধে ভারত থেকে আসা পাসপোর্টধারীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে। আতঙ্কিত না হয়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। তিনি আরও বলেন, এইচএমপিভির আগে বেনাপোল ইমিগ্রেশন স্বাস্থ্য বিভাগ মাঙ্কিপক্স, ওমিক্রন, করোনা, নিপা ও জিকা ভাইরাস রোধে সতর্ক ব্যবস্থা নিয়েছিল।
সংক্রমণ প্রতিরোধে স্বাস্থ্য বিভাগের নির্দেশনাসমূহ:
১. শীতকালীন শ্বাসতন্ত্রের রোগসমূহ থেকে রক্ষার জন্য মাস্ক ব্যবহার করুন।
২. হাঁচি-কাশির সময় মাস্ক বা টিস্যু দিয়ে নাক-মুখ ঢেকে রাখুন।
৩. ব্যবহৃত টিস্যু অবিলম্বে ঢাকনাযুক্ত ময়লা ফেলার ঝুড়িতে ফেলুন এবং হাত স্যানিটাইজার বা সাবান দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
৪. আক্রান্ত হয়েছেন এমন ব্যক্তিদের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলুন এবং কমপক্ষে ৩ ফুট দূরত্ব বজায় রাখুন।
৫. ঘন ঘন সাবান ও পানি কিংবা হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত ধুয়ে ফেলুন (অন্তত ২০ সেকেন্ড)।
৬. অপরিষ্কার হাতে চোখ, নাক, মুখ ধরবেন না।
৭. আপনি জ্বর, কাশি ও শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হলে সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত বাড়িতে থাকুন। প্রয়োজন হলে নিকটস্থ হাসপাতালে যোগাযোগ করুন।
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে আবারও অস্ত্রের মুখে একটি পরিবারকে জিম্মি করে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। আজ বৃহস্পতিবার ভোররাতে মোহাম্মদপুরের বছিলাসংলগ্ন লাউতলা এলাকার ৮ নম্বর সড়কের ১০ নম্বর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী তত্ত্বাবধায়ক নাসিমা বেগম মোহাম্মদপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
২৮ নভেম্বর ২০২৪রাজধানীর বিমানবন্দরে শরীরে বিশেষ কৌশলে গাঁজা নিয়ে এসে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে তিনজন কিশোর। তাঁরা বর্তমানে কিশোর সংশোধনাগারের রয়েছে।
০৮ নভেম্বর ২০২৪পরিবারে আর্থিক স্বচ্ছলতা ফেরাতে সিঙ্গাপুরে যান দুই ভাই উজ্জ্বল মিয়া ও মো. ঝন্টু। সেখানে থাকা অবস্থায় মুঠোফোনে ভাবির সঙ্গে পরকীয়ায় জড়ান ছোট ভাই মো. ঝন্টু। পরে দেশে ফিরে ভাবিকে বিয়ে করার জন্য আপন বড় ভাই উজ্জ্বল মিয়াকে খুন করে ছোট ভাই।
০৭ নভেম্বর ২০২৪রাজধানীর গেণ্ডারিয়ায় গত দুই মাসে দুই অটোরিকশা চালককে হত্যা করে রিকশা ছিনিয়ে নেওয়া ঘটনা ঘটেছে। পৃথক এই দুই ঘটনায় তদন্তে নেমে বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
০৭ নভেম্বর ২০২৪