বাগেরহাটের কচুয়ায় চাঁদা আদায় করতে গিয়ে রাসেল শেখ ওরফে ডাকাত রাসেল (৩৮) নামের এক যুবক গণপিটুনিতে নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল রোববার বিকেলে উপজেলার চন্দ্রপাড়া এলাকার মহিদ পাইকের বাড়ির সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় রাসেলের সহযোগী রাজিব আহত হন।
নিহত রাসেল শেখ চন্দ্রপাড়া এলাকার আজিজ শেখের ছেলে। আহত রাজিব একই এলাকার সেলিম শেখের ছেলে। তাঁকে কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
গণপিটুনিতে রাসেল নিহত হওয়ার তথ্য আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেন কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাশেদুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘ঘটনার সময় রাসেলের সহযোগী রাজিব গুরুতর আহত হয়েছেন। রাসেলের নামে কচুয়ায় ডাকাতি, চাঁদাবাজি, হত্যাসহ বিভিন্ন অপরাধে ২২টি মামলা রয়েছে। এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’
স্থানীয় বাসিন্দা জাহিদ পাইক বলেন, ‘আমার ভাই মহিদ পাইকের কাছে বিভিন্ন সময় চাঁদা দাবি করতেন রাসেল। সপ্তাহখানেক আগে ৫ হাজার টাকা নিয়ে যান। গত শনিবার মহিদ পাইককে আরও টাকা জোগাড় করে রাখার জন্য শাসিয়ে যান। যদি টাকা না রাখা হয়, ঘরবাড়ি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ফেলার হুমকি দিয়ে যান রাসেল। পরে রোববার বিকেলের দিকে রাসেলসহ পাঁচ-ছয়জন ধারালো অস্ত্র নিয়ে মহিদের বাড়িতে ঢোকেন এবং টাকা দাবি করেন। এ সময় বাড়ির নারীরা চিৎকার দিলে গ্রামবাসী এসে তাঁদেরকে ঘিরে ফেলে গণপিটুনি দেন। কয়েকজন পালিয়ে গেলেও রাসেল ও রাজিব গুরুতর আহত হন।’
গ্রামবাসী জানান, রাসেল শেখ এলাকার একজন চিহ্নিত সন্ত্রাসী। গত ৫ আগস্টের পর রাসেল শেখের নেতৃত্বে এলাকার বিভিন্ন বাড়িতে হামলা, লুটপাট, ভাঙচুর ও চাঁদাবাজি হয়েছে। এমনকি প্রকাশ্যে ধারালো অস্ত্র নিয়ে রাস্তায় মহড়া দেওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দারা ভীতসন্ত্রস্ত থাকতেন।
এ বিষয়ে কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) মনি শংকর পাইক বলেন, রাসেলকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তাঁর মাথা, পিঠ, পাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছয়টি বড় ক্ষত ও অসংখ্য জখমের চিহ্ন রয়েছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণও হয়েছে তাঁর।