চোখের যেকোনো অংশে ক্যানসার হতে পারে। চোখের চারপাশের সুস্থ কোষ অনিয়ন্ত্রিতভাবে বাড়লে টিউমার হয়ে চোখে ক্যানসার হতে পারে। সাধারণত জন্মের পর থেকে চার বছরের মধ্যে এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি। প্রাইমারি ও সেকেন্ডারি—দুই ধরনের চোখের ক্যানসার হতে পারে।
রোগের কারণ
চোখের ক্যানসারের মূল কারণ স্পষ্ট নয়। তবে পারিবারিক ইতিহাস, অত্যধিক অতিবেগুনি রশ্মির সংস্পর্শে আসা, চোখের মণির নীল রং ইত্যাদি চোখের ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়।
উপসর্গ
চোখের ক্যানসারের যেসব লক্ষণ দেখা যায়, সেগুলো প্রাপ্তবয়স্ক ও শিশুদের ক্ষেত্রে বিপরীত। প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে ঝাপসা দৃষ্টি, আইরিশের রং পরিবর্তন, আলোর ঝলকানি, অস্পষ্ট রেখা, ভাসমান বস্তু দেখা, চোখের আইরিশের কালো দাগ, চোখ ফুলে যাওয়া, চোখে ব্যথা ও লাল হওয়া সাধারণ লক্ষণ।
চিকিৎসা
এই রোগের চিকিৎসা করা যায় তিনটি উপায়ে—অপারেশন, কেমো ও রেডিওথেরাপি। ক্যানসারের ধরন, আকার ও তীব্রতা, রোগীর স্বাস্থ্য, বয়স এবং ফিটনেসের ওপর চিকিৎসার পদ্ধতি নির্ভর করে।
চোখের ক্যানসার প্রাণঘাতী রোগ। এ রোগ প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা পড়লে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত নিরাময় সম্ভব। প্রাথমিক অবস্থায় চিকিৎসা করালে ক্যানসার সেরে যেতে পারে কিংবা নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
পরামর্শ দিয়েছেন: কনসালট্যান্ট (চক্ষু), দীন মোহাম্মদ আই হসপিটাল, ঢাকা