নারী, গর্ভপাত, স্বাস্থ্য, পরিসংখ্যান, কন্যাশিশু, ভ্রূণ, পরিসংখ্যা ব্যুরো
পানিশূন্যতার কারণে শরীর দুর্বল হওয়াসহ নানা ধরনের স্বাস্থ্যগত সমস্যা দেখা দিতে পারে। আর এসব সমস্যার একটি প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া। এমন পরিস্থিতে ইউরিন ইনফেকশন বা প্রস্রাবে সংক্রমণ দেখা দিতে পারে।
শীতকালে বৈরী আবহাওয়ার সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে গিয়ে সবাইকে বেশ বেগ পেতে হয়। এ ক্ষেত্রে পরিবারের বয়স্ক ও শিশুদের নিয়ে স্বাভাবিকভাবে দুশ্চিন্তা একটু বেশি থাকে।
বর্তমান সময়ের আলোচিত খাবার হানি নাট। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কল্যাণে দিনে দিনে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পাচ্ছে এই খাবার। মূলত মধু ও বিভিন্ন বাদাম একসঙ্গে মিশিয়ে এর নাম দেওয়া হয়েছে হানি নাট। এটি যাঁরা খাচ্ছেন, তাঁরা শুধু বিজ্ঞাপন দেখেই কিনছেন। এর ভালোমন্দ প্রভাব সম্পর্কে হয়তো খুব ভালো ধারণা তাঁদের নেই।
শীত আসবে আর পিঠা খাওয়া হবে না, এই বঙ্গ দেশে এটি সম্ভব নয়। আবার ঘরে ঘরে ডায়াবেটিসের যে প্রাদুর্ভাব, তাতে পিঠা খাওয়াটাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে না পারলে ভুগতে হবে। পিঠা তো আর শুধু চালেই তৈরি হবে না, সঙ্গে নতুন গুড় বা চিনি থাকবেই। সেখানেই বিপত্তি ডায়াবেটিসের রোগীদের।
গাড়ি চালানোর সময় অসাবধানতাবশত ছোট বা বড় যেকোনো ধরনের দুর্ঘটনার শিকার হতে পারেন যে কেউ। এসব দুর্ঘটনায় মেরুদণ্ডে আঘাত পেলে সেটা হয় ভয়াবহ ও গুরুতর বিষয়। এমনকি মেরুদণ্ডে আঘাতের কারণে স্বাভাবিক জীবনযাপনও ব্যাহত হতে পারে।
হঠাৎ মাথা ঘুরে গেল, চোখ অন্ধকার অল্প সময়ের জন্য। একে বলে ট্রাঞ্জিয়েন্ট ইস্কিমিক অ্যাটাক বা মিনি স্ট্রোক। একে অনেকে পাত্তা দেন না। সেটা খুব ভালো প্রবণতা নয়। চিকিৎসক ও বিভিন্ন সমীক্ষা জানাচ্ছে, দিন দিন তরুণদের মধ্যে মিনি স্ট্রোকের প্রবণতা বাড়ছে। তাই নতুন বছর সতর্ক থাকুন।
শীতের শুষ্ক ও ঠান্ডা আবহাওয়ার প্রভাব ঠোঁটের ওপর পড়ে ভীষণভাবে। তাই শীতকালে ঠোঁট ফাটা স্বাভাবিক ঘটনা। শীতে চামড়ার শুষ্কতার কারণে ঠোঁট ফাটে—এই ধারণা পুরোপুরি ঠিক নয়। ঠোঁট ফাটা বন্ধ করতে বারবার জিহ্বা দিয়ে ভেজালেও ঠোঁট ফাটে। আবার শরীর পানিশূন্য হয়ে পড়লে যেকোনো ঋতুতেই ঠোঁট ফাটে।
শীতের সময় পরিবেশটা বেশ খানিকটা ভিন্ন থাকে। ঠান্ডা, ধুলাবালু বেড়ে যাওয়া, পরিবর্তিত আর্দ্রতায় হঠাৎ শরীর খাপ খাওয়াতে গিয়ে একটু সমস্যায় পড়ে। আমাদের শরীরের ভেতরে টনসিল, ফ্যারিংস, নাসিকা, গলা—এসব জায়গায় অসংখ্য ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া থাকে। তাপমাত্রা কমে গেলে সেগুলো সক্ষম হয়ে ওঠে। এরপর সংক্রমণ তৈরি করে।
আমাদের শরীরে অনেকগুলো হরমোনাল গ্রন্থি আছে। সেগুলো থেকে বিভিন্ন রকমের হরমোন নিঃসৃত হয়। এমন একটি গ্রন্থি হচ্ছে থাইরয়েড গ্রন্থি। এটি আমাদের গলার সামনের দিকে থাকে। এই থাইরয়েড গ্রন্থি দেখতে কিছুটা প্রজাপতির মতো। তাই একে প্রজাপতি গ্রন্থিও বলা হয়। এখান থেকে থাইরয়েড নামের হরমোন নিঃসৃত হয়।
শীত এলে অনেক মানুষের পেশিতে ক্রেম্পিং বা খিঁচুনি হয়। এর অনেক কারণ থাকতে পারে। বয়স্ক মানুষের এটি তো হয়ই, সেই সঙ্গে যাদের আর্থ্রাইটিসজনিত সমস্যা আছে, তাদেরও এই শীতে পেশির খিঁচুনির প্রকোপ বাড়ে। একে অনেকে ঘুমের মধ্যে পা টেনে ধরা বলে জানেন। অনেকে এটার জন্য নানা ওষুধ খুঁজে থাকেন; কিন্তু এটি হয় শরীরে পুষ্ট
নাক-কান-গলারোগ বিশেষজ্ঞ এবং হেড-নেক সার্জন, রেজিস্ট্রার, সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল শীতে সর্দি-জ্বর খুব সাধারণ সমস্যা হলেও দীর্ঘ ঠান্ডা-কাশিসহ অন্যান্য কারণে শিশুর নাকের পেছনে মাংস বেড়ে যেতে পারে। একে বলে অ্যাডিনয়েড গ্রন্থির সমস্যা। নাকের পেছনে ও তালুর ওপরে থাকে অ্যাডিনয়েড গ্রন্থি।
শীত এলেই আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা তৈরি হয়; বিশেষ করে পানিঘাটতি ও ইলেকট্রোলাইটের ভারসাম্যহীনতাজনিত বিভিন্ন সমস্যা; যেমন পায়ের গোড়ালি ও পেশিতে টান পড়া। আরেকটি সমস্যা শীতে বেশি হয় তা হলো, কষা ও বাতজনিত ব্যথা বেড়ে যাওয়া। যাঁদের বাতের সমস্যা আছে, তাঁরা এরই মধ্যে টের পাচ্ছেন। ব্যথা ধীরে ধীরে বেড়
জরায়ু ভালো রাখতে শিশুকাল থেকে মেনোপজের পরে পর্যন্ত প্রতিটি ধাপে যত্ন প্রয়োজন। নারীদের জীবনে এর সমস্যা খুব সাধারণ এবং চিরন্তন ঘটনা। জরায়ু সমস্যার লক্ষণগুলো জানা থাকলে সতর্ক থাকা সম্ভব আগে থেকেই।
বর্তমানে অনেকের ডায়াবেটিসজনিত অন্ধত্ব দেখা দিচ্ছে। সারা বিশ্বে প্রায় ৫৩৭ মিলিয়ন মানুষ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। এর মধ্যে বাংলাদেশে আক্রান্তের সংখ্যা ১৩ দশমিক ১ মিলিয়ন বা ১ কোটি ৩০ লাখ মানুষ। ২০৪৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশে এই রোগে আক্রান্তের সংখ্যা হবে প্রায় আড়াই কোটি। আক্রান্ত রোগীদের ডায়াবেটিসজনিত জটিল
আমাদের শ্রোণিদেশ বা পেলভিসের ভেতর থাকে মূত্রথলি। কিডনি তৈরি করে মূত্র আর তা মূত্রনালি বেয়ে এসে জমা থাকে মূত্রথলিতে প্রস্রাবের বেগ না আসা পর্যন্ত। আমরা টয়লেটে যখন বসি, তখন মূত্রথলির বহিঃনির্গমন দ্বারের পেশিগুলো শিথিল হয় আর
বেলস পালসি হলো একধরনের পক্ষাঘাতগ্রস্ত অবস্থা, যা মুখের প্যারালাইসিসের কারণ হতে পারে। এতে আক্রান্ত হলে মুখের চারপাশে কিছু স্নায়ু বা নার্ভ ও পেশি দুর্বল হয়ে যায় বা এক পাশ প্যারালাইজড হয়ে পড়ে। মূলত মুখের পেশিগুলো যেসব ফেশিয়াল নার্ভ নিয়ন্ত্রণ করে, সেগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হলে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়।