ইউক্রেনের অধিকৃত দুটি শহর খেরসন ও মেলিতোপোলের বাসিন্দাদের কাছে রুশ পাসপোর্ট হস্তান্তর শুরু করেছে রুশ দখলদার কর্তৃপক্ষ। রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম তাসের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি।
তাস এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, স্থানীয় সময় শনিবার থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে পাসপোর্ট দেওয়া শুরু হয়েছে। প্রথম দিনে খেরসনের ২৩ জন ব্যক্তি রুশ পাসপোর্ট পেয়েছেন। তবে বাসিন্দারা অভিযোগ করে বলেছেন, হাজার হাজার মানুষ পাসপোর্টের জন্য আবেদন করলেও, তা যাচাই করা হচ্ছে না।
খেরসনে নিযুক্ত রাশিয়ার সামরিক গভর্নর ভলোদিমির সালদো বলেছেন, ‘খেরসনের বাসিন্দারা যত দ্রুত সম্ভব রুশ পাসপোর্ট ও রুশ নাগরিকত্ব পেতে আগ্রহী।’
এদিকে রাশিয়ার এ পদক্ষেপকে আঞ্চলিক অখণ্ডতার ‘প্রকাশ্য লঙ্ঘন’ বলে নিন্দা করেছে ইউক্রেন।
ইউক্রেনের ক্রিমিয়া ও দনবাসের বেশির ভাগ অংশ ২০১৪ সাল থেকে দখলে রেখেছে রাশিয়া। সম্প্রতি এ অঞ্চলের দোনেৎস্ক ও লুহানস্ককে ‘স্বাধীন প্রজাতন্ত্র’ ঘোষণা করেছে রাশিয়া। যদিও রাশিয়ার এ পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক মহলে নিন্দিত হয়েছে।
ইউক্রেন আশঙ্কা করছে, রুশ বাহিনীর দখল করা এলাকাগুলোতে একই প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে পারে রাশিয়া। এসব এলাকার বাসিন্দারা রুশ নাগরিক হয়ে গেলে, ক্রেমলিন তাদের সুরক্ষা দাবি করতে পারে।
মেলিতোপোল দক্ষিণ-পূর্ব জাপোরিঝিয়া অঞ্চলে অবস্থিত। এ এলাকার বেশির ভাগই এখন রুশ বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ইউরোপের বৃহত্তম পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রটিও এ অঞ্চলে অবস্থিত যা রুশদের দখলে রয়েছে।
রুশ অধিকৃত ক্রিমিয়া ও দনবাসে রাশিয়া তাদের মুদ্রা ‘রুবল’ চালু করেছে এবং এ অঞ্চলের স্কুলগুলোতে রুশ পাঠ্যক্রম চালু করেছে।
রাশিয়া ইউক্রেন সংকট সম্পর্কিত সংবাদ পেতে - এখানে ক্লিক করুন
ইউক্রেনের খেরসন ও জাপোরিঝিয়া অঞ্চলের বাসিন্দারা রুশ পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে পারবেন এমন একটি ডিক্রিতে গত ২৫ মে সাক্ষর করেছিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
বিশ্ব সম্পর্কিত পড়ুন: