সম্প্রতি ভারতের দিল্লিতে ‘বাংলাদেশি অবৈধ অভিবাসী’দের চিহ্নিত করতে অভিযান শুরু হয়েছে। অবৈধভাবে দিল্লিতে বসবাসরত বাংলাদেশি নাগরিকদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করছে দেশটি। এরই ধারাবাহিকতায় দিল্লির এল–জি সেক্রেটারিয়েটে অভিযানে আটক এক বাংলাদেশি নাগরিককে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ৫০ বছর বয়সী ফিরোজ মোল্লা ১৯৯০ সালে মাদারীপুর থেকে তাঁর বাবা–মায়ের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ হয়ে ভারতে যান। ২০০২ সালে তাঁর বাবা-মা বাংলাদেশে ফিরে এলেও তিনি থেকে যান। জীবিকার তাগিদে দিল্লির যমুনা পুষ্তার ঢোলাক বস্তিতে থাকতে শুরু করেন। এর দুই বছর পরই তাঁকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হয়।
১৮ বছর পর আবারও অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেন ফিরোজ মোল্লা। ২০২২ সাল থেকে দিল্লিতে থাকতে শুরু করেন তিনি। কাজ নেন স্থানীয় দোকান ও ধাবায় (খাবারের দোকান)। তবে এবার আর তাঁর রেহাই মিলল না। অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসী ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়ায় আবারও দেশে ফিরতে হচ্ছে তাঁকে। ইতিমধ্যে তাঁকে দেশে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
গত শুক্রবার গোপন তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ পরিদর্শক এসএইচও রবীন্দ্র কুমার তিয়াগি আর. কে পুরম সেক্টর ২–এর হনুমান মজদুর ক্যাম্প থেকে ফিরোজ মোল্লাকে আটক করেন।
পুলিশ জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ফিরোজ নিজেকে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁর বাসিন্দা বলে দাবি করেন। কিন্তু দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদে তাঁর পৈতৃক নিবাস বাংলাদেশের মাদারীপুর জেলার শিবচর থানার সাহেবহাট গ্রামে বলে স্বীকার করেন।
দিল্লির এল–জি সেক্রেটারিয়েটে বাংলাদেশি অবৈধ অভিবাসীদের শনাক্ত ও ফেরত পাঠানো অভিযানে ফিরোজ মোল্লা দ্বিতীয় ব্যক্তি, যাকে প্রত্যাবাসনের মুখোমুখি হতে হলো।
এর আগে গত বুধবার সোনালি শেখ নামের ২৮ বছর বয়সী এক নারী আটক হন। সোনালি বৈধ কাগজপত্র ছাড়াই মহিপালপুরের রুচি বিহারে বসবাস করছিলেন।
এক কর্মকর্তা জানান, সাধারণত অবৈধ অভিবাসীদের কাছে আসাম ও পশ্চিমবঙ্গের মতো সীমান্ত রাজ্যে তৈরি আধার কার্ড থাকে। কিন্তু সোনালির ক্ষেত্রে এটি ছিল না। ছয় বছর আগে বাংলাদেশের নড়াইল জেলা থেকে বাবা-মা ও ছোট ভাইয়ের সঙ্গে ভারতে এসেছিলেন তিনি।