গাজা যুদ্ধে অনেক চড়া মূল্য দিতে হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। গত শুক্রবার থেকে ফিলিস্তিন অঞ্চলে এ পর্যন্ত মোট ১৪ সেনা নিহত হয়েছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর দাবি, গাজায় স্থল অভিযানে এখন পর্যন্ত মোট ১৫৩ সেনা নিহত হয়েছে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত শনিবার ছিল সবচেয়ে ভয়াবহ দিনগুলোর একটি। তবে প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু বলছেন, লড়াই চালিয়ে যাওয়া ছাড়া কোনো উপায় ছিল না।
এদিকে হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, ইসরায়েলি হামলায় গতকাল শনিবারও ১৬৬ জন নিহত হয়েছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ২০ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। এর বেশির ভাগই নারী ও শিশু। আহত হয়েছে প্রায় ৫৪ হাজার জন।
ইসরায়েলি সেনাদের প্রাণহানির কথা উল্লেখ করে নেতানিয়াহু বলেন, ‘শনিবার গাজায় কঠিন এক লড়াইয়ের পর আজ রোববার সকাল ছিল অত্যন্ত বিষাদের।’
তবে তিনি বলেন, তাঁর সেনারা সর্বশক্তি দিয়ে এ লড়াই চালিয়ে যাবে। তিনি গাজায় জিম্মিদের নিরাপদে ফিরিয়ে আনা নিশ্চিত করে হামাসকে নিশ্চিহ্ন করার লক্ষ্য পুনর্ব্যক্ত করেন।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এটা স্পষ্ট করা দরকার: এ যুদ্ধ বেশ দীর্ঘ হতে চলেছে।’
ইসরায়েলের এ অভিযান শুরু হয় গত ৭ অক্টোবর হামাস ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে নজিরবিহীন হামলা চালানোর পর থেকে। এ ঘটনায় ১ হাজার ২০০ জন নিহত হয় ও ২৪০ জনকে জিম্মি করা হয়।
গতকাল শনিবার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এক ফোনালাপে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষার ওপর জোর দেন।
বাইডেন সাংবাদিকদের বলেন, তিনি ফোনালাপে যুদ্ধবিরতির বিষয়ে কিছু বলেননি। নেতানিয়াহু ও বাইডেন দুজনেই মনে করেন, যুদ্ধবিরতির ফলে হামাস লাভবান হবে।
গত শুক্রবার গাজায় বড় পরিসরে ত্রাণ পাঠানোর একটি প্রস্তাব জাতিসংঘে পাস হয়। তবে যুদ্ধবিরতির দাবি ওঠায় সেই প্রস্তাবও দ্রুতই স্থগিত হয়।