মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেনশিয়াল মেডেল অব ফ্রিডম পদকে ভূষিত হয়েছেন হিলারি ক্লিনটন, জর্জ সরোস, ড্যানজেল ওয়াশিংটন, মেসিসহ ১৯ জন। স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার বিকেলে হোয়াইট হাউসের ইস্ট রুমে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন রাজনীতি, ক্রীড়া, বিনোদন, নাগরিক অধিকার, এলজিবিটিকিউ প্লাস অধিকার প্রচারণা এবং বিজ্ঞানে অবদান রাখায় তাঁদের প্রেসিডেনশিয়াল মেডেল অব ফ্রিডম প্রদান করেন।
সাবেক মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন তাঁর মেডেল গ্রহণের সময় দর্শকদের কাছ থেকে স্ট্যান্ডিং ওভেশন পান অর্থাৎ, উপস্থিত সবাই তাঁকে দাঁড়িয়ে অভিবাদন জানান। হিলারির সঙ্গে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তাঁর স্বামী সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন, মেয়ে চেলসি ক্লিনটন এবং নাতি-নাতনিরা।
এ ছাড়া, ডেমোক্রেটিক পার্টির দাতা জর্জ সরোস এবং অভিনেতা-পরিচালক ড্যানজেল ওয়াশিংটনও হোয়াইট হাউসের এই অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা লাভ করেন।
অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী বক্তব্যে জো বাইডেন বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট হিসেবে শেষবারের মতো আমি আমাদের জাতির সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান প্রেসিডেনশিয়াল মেডেল অব ফ্রিডম সত্যিই অসাধারণ কিছু ব্যক্তি-গোষ্ঠীকে প্রদান করার সম্মান পাচ্ছি, যারা আমেরিকার সংস্কৃতি এবং অবস্থান গড়ে তুলতে তাঁদের পবিত্র প্রচেষ্টা জারি রেখেছেন।’ বাইডেন আরও বলেন, ‘আমি শুধু আপনাদের প্রত্যেককে বলতে চাই, ধন্যবাদ, ধন্যবাদ, ধন্যবাদ—এই দেশকে সাহায্য করার জন্য।’
অনুষ্ঠানে চারজনকে মরণোত্তর এই পদক দেওয়া হয়। তাঁরা হলেন মিশিগানের গভর্নর এবং হাউজিং অ্যান্ড আরবান ডেভেলপমেন্ট সেক্রেটারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করা জর্জ ডব্লিউ রমনি, সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এবং সিনেটর রবার্ট এফ কেনেডি, সাবেক প্রতিরক্ষাসচিব অ্যাশ কার্টার এবং মিসিসিপি ফ্রিডম ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রতিষ্ঠাতা ফ্যানি লু হ্যামার। হ্যামারের আন্দোলন ১৯৬৫ সালে পাস হওয়া মার্কিন ভোটাধিকার আইনের ভিত্তি তৈরি করেছিল।
হোয়াইট হাউস জানায়, মেডেল অব ফ্রিডম প্রাপকেরা ‘যুক্তরাষ্ট্রের সমৃদ্ধি, মূল্যবোধ বা নিরাপত্তা, বিশ্ব শান্তি বা অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক, জনসাধারণ বা বেসরকারি উদ্যোগে উদাহরণযোগ্য অবদান রেখেছেন।’
এ ছাড়া, পুরস্কারপ্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছেন স্প্যানিশ-আমেরিকান শেফ জোসে আন্দ্রেস। তাঁর প্রতিষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড সেন্ট্রাল কিচেন চ্যারিটি বিশ্বের সবচেয়ে স্বীকৃত খাদ্য-ত্রাণ সংগঠনগুলোর একটি। রক ব্যান্ড ইউ২-এর ফ্রন্টম্যান এবং সামাজিক ন্যায়বিচার আন্দোলনকর্মী বোনো।
ক্রীড়া ও বিনোদন জগতের তারকাদের মধ্যে পুরস্কৃত হয়েছেন পেশাদার ফুটবলার লিওনেল মেসি। তিনি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন না। এ ছাড়া, বাস্কেটবল কিংবদন্তি এবং ব্যবসায়ী আর্ভিন ‘ম্যাজিক’ জনসন, অভিনেতা মাইকেল জে ফক্স এবং বিল নাই দ্য সায়েন্স গাই নামে পরিচিত উইলিয়াম স্যানফোর্ড নাই।