সড়ক-মহাসড়কে দুর্ঘটনার দায় এখন থেকে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর (সওজ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) কর্মকর্তাদের কাঁধে এসে পড়বে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। তিনি বলেছেন, সড়কে ত্রুটির জন্য কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে সওজ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আজ শনিবার (১১ জানুয়ারি) দুপুরে বিআরটিএর প্রধান কার্যালয়ে সড়ক নিরাপত্তা বিষয়ে সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের সঙ্গে সভা শেষে তিনি এ কথা বলেন।
ফাওজুল কবির খান বলেন, ‘স্পষ্ট করে বলছি, সড়কে দুর্ঘটনার জন্য যদি কোনো সড়কে ত্রুটি দায়ী হয়, তবে সওজের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যদি দেখা যায় বাস চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স নেই, গাড়ির ফিটনেস সনদ নেই, তবে সে ক্ষেত্রে দায় বর্তাবে বিআরটিএর কর্মকর্তাদের ওপর। তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ পুলিশের গাফিলতি থাকলে সেটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দেখবে বলে জানান তিনি।
বিআরটিএতে এখনো সাড়ে চার লাখ ড্রাইভিং লাইসেন্স অপেক্ষমাণ রয়েছে বলে জানানো হয় এই সভায়। সে লাইসেন্সগুলো আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে দিয়ে দেওয়া হবে।
বিআরটিএ সময়মতো লাইসেন্স দিতে না পারায় সড়ক পরিবহনে বিশৃঙ্খলা তৈরি হচ্ছে বলে সভায় অভিযোগ উঠে। এ সময় উপদেষ্টা বলেন, সেনাবাহিনী নিয়ন্ত্রিত বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরিকে ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদানের জন্য কাজ দেওয়া হবে। এ ছাড়া এখন থেকে বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থাকেও লাইসেন্স প্রদানের কাজ দেওয়া হবে।
ড্রাইভিং লাইসেন্স ও ফিটনেস সনদ পেতে সময় কমিয়ে আনার পাশাপাশি তা দ্রুত সময়ে কার্যকর করা হবে বলে জানান তিনি। একই সঙ্গে সড়ক উপদেষ্টা বলেন, ড্রাইভিং লাইসেন্স ও ফিটনেস সনদ নির্ধারিত সময়ে নবায়ন না করলে তা বাতিল বলে ঘোষণা করা হবে। মোটরসাইকেলচালকদের শিক্ষানবিশ সনদের মেয়াদ এক মাস। পরে তা নবায়ন না করলে লাইসেন্স বাতিল করা হবে।
সড়ক দুর্ঘটনায় হতাহতদের ক্ষতিপূরণ ও চিকিৎসা ব্যয় দ্রুত সময়ে দিতে বিআরটিএর কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেন সড়ক উপদেষ্টা।