নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
‘ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলের নিন্দিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের সব মামলা এখনো বাতিল হয়নি কেন, এই দাবি খুব জোরালোভাবে ওঠা উচিত। সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৪-এর খসড়ায় কালাকানুনের উপাদান রয়ে গেছে। তাই সংশ্লিষ্ট সবার মতামত নিয়ে এ অধ্যাদেশের খসড়া নতুন করে তৈরি করা উচিত।’
আজ শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘ভয়েস ফর রিফর্ম’ আয়োজিত ‘সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৪ (খসড়া)-রাষ্ট্রীয় নিবর্তনব্যবস্থা বহাল ও ভুক্তভোগীদের বয়ান’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তারা এ অভিমত দেন।
সভায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ভুক্তভোগীরা তাঁদের তিক্ত অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন।
গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রধান কামাল আহমেদ বলেন, ‘৭ দিনের মধ্যেই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের সব মামলা বাতিল হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু তারপর বহু ৭ দিন পার হয়ে গেলেও তা বাতিল হয়নি কেন, এই দাবি খুব জোরালোভাবে ওঠা উচিত। যাঁরা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলার কারণে জেল খেটেছেন, তাঁদের কাছে ক্ষমতার অপব্যবহারের জন্য রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে ক্ষমা চাইতে হবে।’
সাইবার নিরাপত্তা অধ্যাদেশ, ২০২৪ খসড়া প্রসঙ্গে কামাল আহমেদ বলেন, এই আইন করার ক্ষেত্রে সবার মতামত নেওয়া হয়নি। সরকার সব শ্রেণির নাগরিকদের সঙ্গে আলোচনা করে এই খসড়ার পুনর্লিখন করবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
সভার আয়োজক ‘ভয়েস ফর রিফর্ম’-এর সহ-আহ্বায়ক শহীদুল আলম জানান, তাঁকে ৫৭ ধারায় গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। জামিনের সময় রায়ে বিচারক লিখেছিলেন, অভিযোগের সঙ্গে সম্পর্কিত আলামত পাওয়া যায়নি। কিন্তু তারপরও সেই মামলা চলমান।
সভায় লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সাংবাদিক সিমু নাসের। লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ‘সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৪; গণতন্ত্র, বাকস্বাধীনতা এবং মানবাধিকারের বিরুদ্ধে একটি কালাকানুন। এটি পুলিশকে পরোয়ানা ছাড়াই তল্লাশি ও গ্রেপ্তারের ক্ষমতা দিয়ে নাগরিক হয়রানির সুযোগ সৃষ্টি করেছে। মতপ্রকাশের স্বাধীনতা খর্ব করে সৃজনশীলতার ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। জনগণের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের সঙ্গে সাংঘর্ষিক এই অধ্যাদেশ আমরা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারি না। তাই এটি অবিলম্বে বাতিলের দাবি জানাই।’
সাবেক আওয়ামী লীগ সরকারের সময়কার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ভুক্তভোগী ইসরাত জাহান রেইলী তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘দুই বছর সাত মাস আমি কারাগারে ছিলাম। আমাকে জানানো হয়, দোষ স্বীকার করলে খালাস পাব। দোষ স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থনা করার পর আমাকে মুক্তি দেওয়া হয়। তার আগে আমার রিমান্ড মঞ্জুর হয়েছিল। তা কার্যকর করেন একজন পুরুষ কর্মকর্তা। এটি আমার জন্য অত্যন্ত অপমানজনক অভিজ্ঞতা ছিল।’
‘ডিএসএ ভিকটিম নেটওয়ার্ক’-এর আহ্বায়ক দিদারুল ভূঁইয়া আওয়ামী লীগ আমলের বিতর্কিত মামলা এখনো প্রত্যাহার না করার বিষয়ে বলেন, ‘৭ হাজার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলার মধ্যে মাত্র একটি বাতিল হয়েছে। সেটি উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খানের।’
ভয়েস ফর রিফর্মের সহ-আহ্বায়ক ফাহিম মাশরুরের সঞ্চালনায় আলোচনা অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের হাসিব উদ্দিন হোসেন, বাংলাদেশ মোবাইল ফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন, সাংবাদিক ও মানবাধিকারকর্মী সালিম সামাদ প্রমুখ।
‘ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলের নিন্দিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের সব মামলা এখনো বাতিল হয়নি কেন, এই দাবি খুব জোরালোভাবে ওঠা উচিত। সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৪-এর খসড়ায় কালাকানুনের উপাদান রয়ে গেছে। তাই সংশ্লিষ্ট সবার মতামত নিয়ে এ অধ্যাদেশের খসড়া নতুন করে তৈরি করা উচিত।’
আজ শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘ভয়েস ফর রিফর্ম’ আয়োজিত ‘সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৪ (খসড়া)-রাষ্ট্রীয় নিবর্তনব্যবস্থা বহাল ও ভুক্তভোগীদের বয়ান’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তারা এ অভিমত দেন।
সভায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ভুক্তভোগীরা তাঁদের তিক্ত অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন।
গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রধান কামাল আহমেদ বলেন, ‘৭ দিনের মধ্যেই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের সব মামলা বাতিল হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু তারপর বহু ৭ দিন পার হয়ে গেলেও তা বাতিল হয়নি কেন, এই দাবি খুব জোরালোভাবে ওঠা উচিত। যাঁরা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলার কারণে জেল খেটেছেন, তাঁদের কাছে ক্ষমতার অপব্যবহারের জন্য রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে ক্ষমা চাইতে হবে।’
সাইবার নিরাপত্তা অধ্যাদেশ, ২০২৪ খসড়া প্রসঙ্গে কামাল আহমেদ বলেন, এই আইন করার ক্ষেত্রে সবার মতামত নেওয়া হয়নি। সরকার সব শ্রেণির নাগরিকদের সঙ্গে আলোচনা করে এই খসড়ার পুনর্লিখন করবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
সভার আয়োজক ‘ভয়েস ফর রিফর্ম’-এর সহ-আহ্বায়ক শহীদুল আলম জানান, তাঁকে ৫৭ ধারায় গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। জামিনের সময় রায়ে বিচারক লিখেছিলেন, অভিযোগের সঙ্গে সম্পর্কিত আলামত পাওয়া যায়নি। কিন্তু তারপরও সেই মামলা চলমান।
সভায় লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সাংবাদিক সিমু নাসের। লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ‘সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৪; গণতন্ত্র, বাকস্বাধীনতা এবং মানবাধিকারের বিরুদ্ধে একটি কালাকানুন। এটি পুলিশকে পরোয়ানা ছাড়াই তল্লাশি ও গ্রেপ্তারের ক্ষমতা দিয়ে নাগরিক হয়রানির সুযোগ সৃষ্টি করেছে। মতপ্রকাশের স্বাধীনতা খর্ব করে সৃজনশীলতার ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। জনগণের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের সঙ্গে সাংঘর্ষিক এই অধ্যাদেশ আমরা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারি না। তাই এটি অবিলম্বে বাতিলের দাবি জানাই।’
সাবেক আওয়ামী লীগ সরকারের সময়কার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ভুক্তভোগী ইসরাত জাহান রেইলী তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘দুই বছর সাত মাস আমি কারাগারে ছিলাম। আমাকে জানানো হয়, দোষ স্বীকার করলে খালাস পাব। দোষ স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থনা করার পর আমাকে মুক্তি দেওয়া হয়। তার আগে আমার রিমান্ড মঞ্জুর হয়েছিল। তা কার্যকর করেন একজন পুরুষ কর্মকর্তা। এটি আমার জন্য অত্যন্ত অপমানজনক অভিজ্ঞতা ছিল।’
‘ডিএসএ ভিকটিম নেটওয়ার্ক’-এর আহ্বায়ক দিদারুল ভূঁইয়া আওয়ামী লীগ আমলের বিতর্কিত মামলা এখনো প্রত্যাহার না করার বিষয়ে বলেন, ‘৭ হাজার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলার মধ্যে মাত্র একটি বাতিল হয়েছে। সেটি উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খানের।’
ভয়েস ফর রিফর্মের সহ-আহ্বায়ক ফাহিম মাশরুরের সঞ্চালনায় আলোচনা অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের হাসিব উদ্দিন হোসেন, বাংলাদেশ মোবাইল ফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন, সাংবাদিক ও মানবাধিকারকর্মী সালিম সামাদ প্রমুখ।
চট্টগ্রামের ওয়াসা মোড়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক আবদুল হান্নান মাসউদ ও সমন্বয়ক রাসেল আহমেদকে অবরুদ্ধ করে হামলার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার বিকেলে নগরের ওয়াসা মোড়ে একটি অফিসে এ ঘটনা ঘটে।
৭ মিনিট আগেকারাগার থেকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এক আসামি সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনিরকে সম্প্রতি একটি চিঠি লিখেছেন। চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেন, ‘আমার মতো অসহায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামির আর্তনাদ কেউ শুনতে চায় না। তারপরও মনে হয়, কেউ যদি শোনে। বিনা দোষে জেল খাটার চেয়ে মরে যাওয়া অনেক ভালো।’
১ ঘণ্টা আগেনোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে করা শ্রম আইনের পাঁচ মামলার কার্যক্রম বাতিল করেছিলেন হাইকোর্ট। হাইকোর্টের ওই রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ পৃথক লিভ টু আপিল করলে গত ৮ ডিসেম্বর তা খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ। আপিল বিভাগের আদেশের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি ৬ জানুয়ারি প্রকাশিত হয়।
২ ঘণ্টা আগেশেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘিরে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা ও ভাঙচুরের যেসব ঘটনা ঘটেছে, সেগুলোর মধ্যে মাত্র ১ দশমিক ৫৯ শতাংশ সাম্প্রদায়িক কারণে ঘটেছে। আর ৯৮ শতাংশের বেশি রাজনৈতিক কারণে ঘটেছে বলে দাবি করেছে পুলিশ। আজ শনিবার (১১ জানুয়ারি) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বার্তায় প
৪ ঘণ্টা আগে