তাপপ্রবাহের কারণে ঝরে পড়ছে আম ও লিচুর গুটি। দেশের বিভিন্ন স্থানে গতকাল বৃহস্পতিবার বৃষ্টি হলেও মেহেরপুরের গাংনীতে চলছে প্রচণ্ড খরা। চাষিরা নানাভাবে চেষ্টা করেও লিচুর গুটি রক্ষার সুফল পাচ্ছেন না। তা ছাড়া চলতি বছর আম কম এসেছে গাছে। আর লিচু রোদে কালো হয়ে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তাতে ফলন নিয়ে শঙ্কায় পড়েছেন বাগানৎমালিকেরা।
সরেজমিন উপজেলার করমদি, বালিয়াঘাট, ধানখোলা, দেবীপুর, ভরাট, মহাম্মদপুর, হাড়াভাঙ্গা, তেরাইল, কাজীপুরসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, আম ও লিচুর গুটি কম আর যা আছে তা প্রচণ্ড তাপপ্রবাহে ঝরে যাচ্ছে।
জেলার বারাদী গ্রামের আম ও লিচুচাষি হুমায়ূন আহমেদ বলেন, ‘আমার জমিতে আম ও লিচুর বাগান রয়েছে। এত সেচ-পানি দিয়েও গুটি ঝরা কমছে না। এমনিতেই তো লোকসানের মুখে পড়ে গেছি, আর কিছুদিন এ রকম দাবদাহ থাকলে প্রায় গুটি হয়ে যাবে। আর এতে বড় ধরনের লোকসান গুনতে হবে।’
হুমায়ূন আহমেদ আরও বলেন, ‘লিচুর গায়ে কালো দাগ পড়ছে। তারপর ফেটে ঝরে পড়ছে। তা ছাড়া গুটি শুকিয়ে যাচ্ছে। আল্লাহর দেওয়া বৃষ্টি ছাড়া পরিত্রাণ পাওয়ার কোনো উপায় দেখছি না।’
ঝোড়াঘাট গ্রামের মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘এ বছর গাছে লিচু কম এসেছে, যা আছে তা আবার ঝরে যাচ্ছে। যে পরিমাণ তাপপ্রবাহ বইছে, তাতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। তা ছাড়া আমও কম ধরেছে।’
গাংনী উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র জানায়, চলতি বছর গাংনী উপজেলায় ৯৫০ হেক্টর জমিতে আম ও ১২৫ হেক্টর জমিতে লিচুর চাষ হয়েছে। প্রচণ্ড খরা আর দাবদাহের কারণে গুটি ঝরে যাচ্ছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে গাংনী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইমরান হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অতিরিক্ত খরার কারণে আম ও লিচুর গুটি ঝরে যাচ্ছে। আমরা বাগানমালিকদের সঙ্গে সার্বিক যোগাযোগ রাখছি এবং পর্যাপ্ত সেচ দেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছি।’