বলিউড বাদশাহ শাহরুখ খান স্ত্রী গৌরী খান ও ছেলে আরিয়ানকে নিয়ে মক্কায় গেছেন। নতুন বছরে এই তারকা দম্পতিকে মক্কায় দেখা গেছে—এমন দাবিতে কিছু ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। অনেকে বলছেন, তিনি সপরিবার ওমরাহ করতে গেছেন।
ছবিগুলো প্রথম প্রকাশিত হয় খ্রিষ্টীয় নববর্ষের প্রথম দিনে। সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন অ্যাকাউন্ট ও পেজ থেকে ছবিগুলো পোস্ট করে দাবি করা হয়, শাহরুখ খান ও তাঁর পরিবার বছরের প্রথম দিনে পবিত্র শহর মক্কায় গিয়েছিলেন। ছবিতে শাহরুখ, গৌরী ও আরিয়ানকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। তাঁদের পেছনে দেখা যাচ্ছে মক্কার বিশাল গ্র্যান্ড মসজিদ।
এই ছবিগুলো দ্রুত বিভিন্ন মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। অনেকে এটিকে সত্যি বলে মনে করেছেন। তবে পরে জানা যায়, ছবিটি ভুয়া। এটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহার করে তৈরি করা হয়েছে।
কিছু ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডল ছবিটি পোস্ট করার সময় স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছে যে এটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে তৈরি।
এআইয়ের ব্যাপক ব্যবহার এবং ডিপফেক ভিডিওর বিস্তার বিশ্বজুড়ে উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যুক্তরাজ্য এবং অন্যান্য দেশে পরিচালিত গবেষণায় দেখা গেছে, হাজার হাজার বিখ্যাত ব্যক্তি ডিপফেক পর্নোগ্রাফির শিকার হয়েছেন এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে তৈরি করা ডিজিটালভাবে পরিবর্তিত ভিডিওর কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ভারতে রাশমিকা মান্দানা, ক্যাটরিনা কাইফ ও আমির খানের ভিডিও-ও ইন্টারনেটে ছড়িয়েছিল, যা পরে ভুয়া প্রমাণিত হয়। এবার ডিপফেকের লক্ষ্যবস্তু হয়ে উঠলেন শাহরুখ খান।
শাহরুখ খান ও গৌরী বিয়ে করেন ১৯৯১ সালের ২৫ অক্টোবর।
২০০৫ সালে করণ জোহরের শো ‘কফি উইদ করণ’-এ উপস্থিত হয়ে গৌরী খান তাঁদের মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সম্প্রীতির কথা বলেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘(পরিবারে) একটি ভারসাম্য রয়েছে। আমি শাহরুখের ধর্মকে সম্মান করি, কিন্তু এর অর্থ এই নয় যে আমি ধর্ম পরিবর্তন করে মুসলিম হয়ে যাব। আমি এটা বিশ্বাস করি না। প্রত্যেকে একটি পৃথক সত্তা এবং তারা তাদের ধর্ম অনুসরণ করে। অবশ্যই পারস্পরিক শ্রদ্ধা থাকা উচিত—শাহরুখ কখনোই আমার ধর্মকে অসম্মান করবে না এবং আমিও তার ধর্মকে অসম্মান করব না।’
শাহরুখ খানও তাঁদের সম্পর্ক নিয়ে #AskSRK সেশনে একবার কথা বলেছিলেন। এক ভক্ত তাঁকে প্রশ্ন করেছিলেন, ‘সুন্দর বিবাহিত জীবনের রহস্য কী?’ জবাবে শাহরুখ খান বলেছিলেন, ‘গৌরীর মন খুবই সহজ-সরল। তিনি আমাদের সবাইকে পরিবার এবং ভালোবাসার প্রতি বিশ্বাস রাখতে শিখিয়েছেন।’