ছাগল-কাণ্ডে আলোচিত জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক সদস্য মতিউর রহমান, তাঁর প্রথম স্ত্রী ও ছেলের নামে পৃথক আরও তিনটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তাঁদের বিরুদ্ধে ১২৪ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
আজ সোমবার (৬ জানুয়ারি) দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা তিনটি করা হয়েছে। দুদক মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন এ তথ্য জানান।
দুদক মহাপরিচালক আক্তার হোসেন বলেন, এনবিআরের সাবেক সদস্য মতিউর রহমান ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে পৃথক তিনটি মামলা করা হয়েছে। তাঁদের সম্পদের বিবরণী দাখিলের আদেশ করা হয়েছিল। ওই আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে মতিউর ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা সম্পদের বিবরণী দাখিল করেন।
প্রথম মামলার আসামি করা হয়েছে লায়লা কানিজ ও তাঁর স্বামী মতিউর রহমানকে। মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামি লায়লা কানিজ ১৩ কোটি ১ লাখ ৫৮ হাজার টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন। পাশাপাশি লায়লা কানিজের বিরুদ্ধে ১ কোটি ৫৩ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদের তথ্য গোপন করার অভিযোগ আনা হয়েছে। মতিউরের মেয়ে ফারজানা রহমানের নামে ২ কোটি ৪৫ লাখ টাকা গোপন এবং ৫৩ কোটি ৪১ লাখ টাকার বেশি অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ এনে দ্বিতীয় মামলাটি করা হয়েছে। এ মামলায় মতিউর রহমানকে আসামি করা হয়েছে।
এ ছাড়া মতিউরের প্রথম ঘরের ছেলে আহমেদ তৌফিকুর রহমান অর্ণবের সঙ্গে মতিউরকে সহযোগী করে তৃতীয় মামলাটি করা হয়। এই মামলায় অর্ণবের বিরুদ্ধে ১৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন এবং ৪২ কোটি ২২ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
গত বছরের কোরবানির ঈদে ১৫ লাখ টাকার ছাগল-কাণ্ডে আলোচনায় আসেন মুশফিকুর রহমান ইফাত। পরে এই ঘটনায় সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক আলোচনা সমালোচনায় প্রকাশ্যে আসে ইফাতের বাবার পরিচয়।
জানা যায়, তিনি এনবিআর সদস্য এবং কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট আপিলাত ট্রাইব্যুনালের প্রেসিডেন্ট মতিউর রহমান। এর পরই প্রকাশ্যে আসে তাঁর হাজার কোটি টাকার সম্পদের বিষয়টি।
গত ৪ জুন মতিউর ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের অনুসন্ধানে নামে দুদক। অনুসন্ধানে মতিউর ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নামে ৬৫ বিঘা জমি, আটটি ফ্ল্যাট, দুটি রিসোর্ট ও পিকনিক স্পট এবং তিনটি শিল্পপ্রতিষ্ঠানের তথ্য পায় দুদক।
আরও পড়ুন—