চোখ ও পায়ের চিকিৎসা করাতে ২০১৭ সালের ১৫ জুলাই যুক্তরাজ্যে গিয়েছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। এবারের লন্ডন যাওয়ার আগপর্যন্ত ওটাই ছিল তাঁর সর্বশেষ বিদেশে যাওয়া। এরপর সাড়ে ৭ বছর ধরে মা-ছেলের আর সামনা-সামনি দেখা হয়নি। অবশেষে সেই অপেক্ষার অবসান হলো, দেখা হলো মা ও ছেলের।
আজ বুধবার বাংলাদেশ সময় ২টা ৫৫ মিনিটে খালেদা জিয়াকে বহনকারী উড়োজাহাজটি লন্ডনের হিথরো বিমানবন্দরে এসে পৌঁছায়। সেখানে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তাঁর স্ত্রী জোবাইদা রহমান অভ্যর্থনা জানান তাঁকে।
হিথরো বিমানবন্দরে আগে থেকে অপেক্ষা করছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান, তাঁর স্ত্রী ও কন্যা জাইমা রহমান। লন্ডনে বিএনপির বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মীরা সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানাতে বিমানবন্দরে জড়ো হন।
এর আগে বাংলাদেশ সময় ২টা ৫৫ মিনিটে লন্ডনের হিথরো বিমানবন্দরে পৌঁছান বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। বিমানবন্দর থেকে তিনি ‘লন্ডন ক্লিনিক’ নামের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হবেন।
গতকাল মঙ্গলবার রাত ১১টা ৪৬ মিনিটে তাঁকে বহনকারী কাতারের আমিরের পাঠানো এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে। এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে যুক্তরাজ্যের উদ্দেশে যাত্রা করেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
এর আগে গতকাল রাত সোয়া ৮টায় গুলশানের বাসা ফিরোজা থেকে রওনা হন খালেদা জিয়া। ১০টা ৫০ মিনিটে তিনি বিমানবন্দরে পৌঁছান। বিমানবন্দরে তাঁকে বিদায় জানান বিএনপির মহাসচিব, স্থায়ী কমিটির সদস্যসহ আরও অনেক নেতা।
বিমানবন্দরের উদ্দেশে রওনা হওয়ার আগে খালেদা জিয়াকে বিদায় জানাতে ফিরোজায় আসেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গুলশান থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত ফুটপাতে দলের নেতা-কর্মীরা স্লোগানে স্লোগানে তাঁকে বিদায় জানান। খালেদা জিয়ার গাড়িবহর ও নেতা-কর্মীদের চাপে সড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়।