হোম > খেলা > ক্রিকেট

পাকিস্তানের ‘হল অব ফেমে’ ইনজামাম-মিসবাহ-সাইদ

ক্রীড়া ডেস্ক    

আপডেট: ১০ জানুয়ারি ২০২৫, ২০: ১৫
পাকিস্তানের হল অব ফেম। ছবি: পিসিবি

তাঁরা অবসর নিয়েছেন অনেক বছরই হলো। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) ‘হল অব ফেম’ চালু করেছে ২০২১ সাল থেকে। বিশেষ এই সম্মাননার তালিকায় এবার যুক্ত করা হয়েছে ইনজামাম-উল-হক, মিসবাহ-উল-হক, মুশতাক মোহাম্মদ ও সাইদ আনোয়ারকে। পিসিবির হল অব ফেমে এ নিয়ে সদস্য সংখ্যা হলো ১৪ জন।

আজ এক বিবৃতি দিয়ে নতুন সদস্যদের নাম প্রকাশ করেছে পিসিবি। নতুন সদস্যদের অভিনন্দন জানিয়েছেন পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি। ইনজামাম-মিসবাহদের আগে হল অব ফেমে ১০ জনকে অন্তর্ভুক্ত করেছিল পিসিবি। হল অব ফেমের আগের সদস্য, সাবেক খেলোয়াড় ও সাংবাদিকদের সমন্বয়ে ১১ জনের একটি স্বতন্ত্র প্যানেলের ভোটে এই ক্লাবে জায়গা পেয়েছেন নতুন চার ক্রিকেটার।

হল অব ফেমের নতুন চার সদস্যকে পিসিবির চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি অভিনন্দন জানিয়ে বলেছেন, ‘পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষ থেকে এই চার কিংবদন্তিকে হল অব ফেমে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার জন্য আন্তরিক অভিনন্দন। পাকিস্তান ক্রিকেট ও বৈশ্বিক খেলাটিতে তাঁদের অসামান্য অবদানের জন্য এই শ্রদ্ধা নিবেদন।’

পাকিস্তানের ১৯৯২ বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য ছিলেন ইনজামাম। দেশের হয়ে ১২০ টেস্টে করেছেন ৮৮৩০ রান। পাকিস্তানের হয়ে যা তৃতীয় সর্বোচ্চ। ৩৭৮ ওয়ানডে করেছেন ১১৭৩৯ রান। ১টি টি-টোয়েন্টি ১১ রান তাঁর। সব মিলিয়ে ২০৫৪১ রান। পাকিস্তান ক্রিকেটের ইতিহাসে এখন পর্যন্ত ইনজামামই সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক।

পাওয়ার প্লেতে বা ইনিংসের শুরুতে দ্রুত রান তোলার সংস্কৃতি যখন চালু হয়, সেই সময় সেরা ওপেনারদের একজন ছিলেন সাইদ আনোয়ার। পাকিস্তানের হয়ে ৫৫ টেস্টে ৪০৫২ রান, ২৪৭ ওয়ানডেতে ৮৮২৪। ভারতের বিপক্ষে ১৯৯৭ সালে তার খেলা ১৯৪ রানের ইনিংসটি ছিল দীর্ঘ সময় ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ। পাকিস্তানের সফল টেস্ট অধিনায়ক বলা যায় মিসবাহকে। ২০১০ সালে স্পট ফিক্সিং কাণ্ডের পর দলটির নেতৃত্ব নেন তিনি। তাঁর অধিনায়কত্বে ২০১৬ সালে টেস্ট র‍্যাঙ্কিংয়ে ১ নম্বরে ওঠে পাকিস্তান।

পাকিস্তানের হয়ে ৭৫ টেস্ট ৫২২২ রান করেন মিসবাহ। ১৬২ ওয়ানডেতে ৫১২২। ৩৯ টি-টোয়েন্টিতে তাঁর রান ৭৮৮। ক্রিকেট ক্যারিয়ার শেষে পাকিস্তান প্রধান দলের কোচের দায়িত্বও পালন করেন তিনি। ১৯৫৯ সালে ১৫ বছর বয়সে পাকিস্তানের হয়ে টেস্ট অভিষেক হয় মুশতাকের। ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত টেস্ট ক্রিকেটে অভিষিক্ত সর্বকনিষ্ঠ ক্রিকেটার ছিলেন তিনি। ১৭ বছর বয়সে প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরিও করেন।

৫৭ টেস্টে মুশতাকের ৩৬৪৩ রান। ১০ ওয়ানডেতে করেন ২০৯ রান। তার নেতৃত্বে অস্ট্রেলিয়ার মাঠে প্রথমবারের মতো টেস্ট জিতেছিল পাকিস্তান। বল হাতেও লেগ স্পিনে টেস্টে নিয়েছেন ৭৯ উইকেট। ওয়ানডেতে অবশ্য কোনো উইকেট পাননি।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, সংবাদমাধ্যম বা যেকোনো মাধ্যমে প্রচারিত কোনো ছবি, ভিডিও বা তথ্য বিভ্রান্তিকর মনে হলে তার স্ক্রিনশট বা লিংক কিংবা সে সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য আমাদের ই-মেইল করুন। আমাদের ই-মেইল ঠিকানা factcheck@ajkerpatrika.com

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আমার অধ্যায় শেষ, জানিয়ে দিলেন তামিম

ঢাকাকে জয়শূন্য রেখে জয়ের মুখ দেখল সিলেট

জিসানকে ‘চমকপ্রদ প্যাকেজ’ বললেন বিজয়

আবাহনীর চিন্তা বাড়াল কিংস