সিলেটে গতকাল ফরচুন বরিশাল-রংপুর রাইডার্স ম্যাচ শেষ হতেই দেখা গেল তামিম ইকবালের রুদ্রমূর্তি। যেহেতু তামিম বরিশালের অধিনায়ক এবং হাতের নাগালে থাকা ম্যাচ ফস্কে গেছে, স্বাভাবিকভাবেই হারটা তাঁর মাথা গরমের কারণ মনে হতে পারে। কিন্তু পরে জানা গেল ভিন্ন কিছু।
অ্যালেক্স হেলসের সঙ্গে ব্যক্তিগত ঝামেলা থেকেই তামিমের তুমুল বাকবিতণ্ডার ঘটনা গতকাল ঘটেছে। ম্যাচ শেষে তামিম তেড়ে যান রংপুরের ডাগআউটের দিকে। সিলেট স্টেডিয়াম তখন এতটাই উত্তপ্ত হয়েছিল যে তাঁদের (তামিম-হেলস) থামাতে রংপুর রাইডার্সের টিম ডিরেক্টর শাহনিয়ান তানিমের পাশাপাশি সোহান-শেখ মেহেদীকেও এগিয়ে আসতে হয়েছে। ম্যাচ শেষে হাত মেলানোর সময় রংপুরের হেলসের আপত্তিকর মুখভঙ্গির কারণেই নাকি তামিমের মেজাজ গরম হওয়ার কারণ। বাংলাদেশের বাঁহাতি ব্যাটার যেন বোঝাতে চাইলেন, দূর থেকে নয়। কথাবার্তা হবে সামনাসামনি।
মাঠের ঝগড়া মাঠেই অবশ্য থেমে থাকেনি। বাংলাদেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার আগে একটি টেলিভিশন চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে হেলস অভিযোগের আঙুল তোলেন তামিমের দিকে। ইংলিশ টপ অর্ডার ব্যাটারের দাবি, ব্যক্তিগত আক্রমণের শুরুটা তামিমই করেছেন। ইংল্যান্ডের তারকা ক্রিকেটারদের সঙ্গে বাংলাদেশের এই ক্রিকেটারের এর আগেও লেগেছে। ২০১৬ সালে মিরপুরে বাংলাদেশ-ইংল্যান্ড সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডের পর ক্রিকেটাররা একে অপরের সঙ্গে করমর্দন করছিলেন। জনি বেয়ারস্টোর সঙ্গে করমর্দন করতে গেলে তাঁর (বেয়ারস্টো) আচরণ পছন্দ হয়নি তামিমের। বাংলাদেশের ওপেনার প্রতিক্রিয়া দেখানোর আগেই বেন স্টোকস এসে তাঁর (তামিম) কাঁধে ধাক্কা মেরেছিলেন। ঝামেলা বাড়ার আগেই তামিম-স্টোকসদের বুঝিয়ে সামাল দিয়েছিলেন সাকিব আল হাসান।
ইংল্যান্ডের ক্রিকেটারদের সঙ্গে চোখে চোখ রেখে যে লড়াই করতে তামিম পছন্দ করেন, সেটা ৯ বছর পর গতকাল সিলেটে সেটা দেখা গেল। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে যখন বরিশালের ব্যাটিং কোচ নাফিস ইকবালের কাছে এসেছে তামিম-হেলসের ঝগড়ার প্রসঙ্গ। ছোটো ভাই তামিমের মেজাজ হঠাৎ কেন বিগড়ে গেল, সেই ব্যাপারে নাফিস বলেন, ‘নিশ্চয়ই কিছু একটা বলেছিলেন তিনি (হেলস)। সেটার প্রতিক্রিয়াতেই এমনটা ঘটেছে। তবে গুরুতর কিছু নয় বলে আমার মনে হচ্ছে।’