ফরচুন বরিশাল-দুর্বার রাজশাহীর ঘণ্টাখানেক আগেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের আশপাশের পরিবেশ। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ১১তম আসরের উদ্বোধনী ম্যাচ মাঠে গড়ানো নিয়ে সংশয় দেখা দেয়। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত সময় বেলা দেড়টায় শুরু হয়েছে ম্যাচটি।
অধিনায়কদের নিয়ে ট্রফি উন্মোচন অনুষ্ঠান এবার না করলেও আজ ম্যাচ শুরুর আগে হয়েছে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি ফারুক আহমেদসহ বোর্ডের অন্য কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন। পায়রা ও বেলুন ওড়ানো হয়েছে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে। টুর্নামেন্টের শুরুতেই তাণ্ডব চালিয়েছেন ইয়াসির আলী চৌধুরী রাব্বি। তাঁর ঝোড়ো ৯৪ রানে ভর করেই বরিশালকে ১৯৮ রানের লক্ষ্য দিয়েছে রাজশাহী।
টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বরিশাল অধিনায়ক তামিম। শুরুতে রানের জন্য সংগ্রাম করতে থাকে রাজশাহী। দলীয় ৫ রানেই ভেঙে যায় দলটির উদ্বোধনী জুটি। দ্বিতীয় ওভারের তৃতীয় বলে কাইল মায়ার্সের বল ক্রস ব্যাটে খেলতে গিয়ে বোল্ড হয়েছেন জিসান আলম। ২ বল খেললেও রানের খাতা খুলতে পারেননি জিসান।
৫ রানে প্রথম উইকেট হারানোর পর রাজশাহী শুরু করে পাল্টা আক্রমণ। সেই মুহূর্তে আবার ধাক্কা দেন মায়ার্স। চতুর্থ ওভারের প্রথম ধরে মায়ার্সের স্লোয়ারে বোকা বনে যান মোহাম্মদ হারিস। আকাশে ভেসে থাকা বল সহজেই তালুবন্দী করেন মায়ার্স। ১২ বলে ১ ছক্কায় ১৩ রান করেন হারিস।
দুই ওপেনারকে হারিয়ে রাজশাহীর স্কোর হয়ে যায় ৩.১ ওভারে ২ উইকেটে ২৫ রান। এমন অবস্থায় তামিমদের ওপর পাল্টা আক্রমণ করেন ইয়াসির ও এনামুল হক বিজয়। তৃতীয় উইকেটে তাঁরা ১৪০ রানের জুটি গড়েছেন ৮৭ বলে। দুই ব্যাটারই ফিফটি তুলে নিয়েছেন। বিজয়কে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন ফাহিম আশরাফ। ৫১ বলে ৪ চার ও ৫ ছক্কায় ৬৫ রান করেন বিজয়।
সময় যত গড়িয়েছে, রাজশাহী আরও বিধ্বংসী হয়েছে। চতুর্থ উইকেটে ১৪ বলে ৩২ রানের অবিচ্ছেদ্য জুটি গড়েন ইয়াসির ও রায়ান বার্ল। শেষ ২ বলে ইয়াসিরের সেঞ্চুরির জন্য দরকার হতো ৭ রানের। তবে পঞ্চম বলে তিনি সিঙ্গেল নেওয়ায় আর তিন অঙ্ক ছোঁয়া হয়নি তাঁর। ৪৭ বলে ৯৪ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন ইয়াসির। ৮ ছক্কার পাশাপাশি মেরেছেন ৭ চার। রাজশাহী ২০ ওভারে ৩ উইকেটে করেছে ১৯৭ রান।