টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ দলের একাদশে এখন প্রায় নিয়মিত মুখ রিশাদ হোসেন। কিন্তু বিপিএলে তাঁর বাস্তবতা ঠিক ভিন্ন। বেঞ্চে থাকতে হয় অনেক ম্যাচে। চলতি বিপিএলে ফরচুন বরিশালও প্রথম দুই ম্যাচে একাদশে রাখেনি এই লেগ স্পিনারকে। তবে সিলেট পর্বে দুই ম্যাচে খেলেছেন রিশাদ। প্রথম ম্যাচে উইকেট না পেলেও গতকাল সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে ৪ ওভারে ১৫ রান দিয়ে শিকার করেছেন ৩ উইকেট।
ফরচুন বরিশাল ম্যাচ জিতেছে ৭ উইকেটে। ৪ ম্যাচে তিন জয়ে ৬ পয়েন্ট টেবিলের দুইয়ে আছে তারা। ম্যাচশেষে সংবাদ সম্মেলনে এলেন রিশাদ। ২২ বছর বয়সী এই লেগ স্পিনার জানিয়েছেন, একাদশের বাইরে থাকতে খুব একটা অস্বস্তি লাগেনি তাঁর। দলের সমন্বয়কে দিয়েছেন গুরুত্ব, ‘আসলে বাইরে বসে তাকা বলতে... দলীয় কম্বিনেশনের কারণে বাইরে ছিলাম। আমার অতটা অস্বস্তি লাগেনি। ভেবেছি দলের জন্য যা দরকার, তা-ই হবে। প্রস্তুতি নিয়মিতই থাকে খেলার জন্য। যদি কম্বিনেশনের জন্য না খেলি, সেটা তো আমার হাতে নেই। আমি সব সময় খেলার জন্য প্রস্তুত থাকি।’
একটা সময় ২ উইকেটে ৭৬ রান সিলেটের। তারপরই ১৩ রানের মধ্যে ৬ উইকেট হারিয়ে ১২৫ রানে গুটিয়ে যায় তারা। জাহানদাদ খান ও রিশাদ দুজনই নিয়েছেন ৩টি করে উইকেট। বিপিএলের আগে রিশাদের সুযোগ ছিল বিগ ব্যাশে খেলারও। হোবার্ট হারিকেনস ড্রাফটে তাঁকে দলে নিয়েছিল। কিছু দিনের অনাপত্তিপত্রও দিয়েছিল বিসিবি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত যাওয়া হয়নি। বদলি হিসেবে আফগান স্পিনার ওয়াকার সালামখেইলকে দলে নেয় হোবার্ট।
রিশাদ অবশ্য জানিয়েছেন, অস্ট্রেলিয়ার বিগ ব্যাশ লিগে খেলতে না পারায় কোনো আক্ষেপ নেই তাঁর। বলেছেন, ‘আগেই বলেছি, আমি কোনো কিছু নিয়ে আক্ষেপ করি না। বর্তমানে যা আছে, সেটা নিয়েই কাজ করতে চাই। বিপিএল চলছে, বিপিএল নিয়েই ব্যস্ত আছি। বিগ ব্যাশ হয়নি, রিজিকে ছিল না। পরেরবার ইনশা আল্লাহ।’