এক সপ্তাহ আগের ঘটনা। মিরপুরে গত ২ জানুয়ারি ফরচুন বরিশালকে হারিয়ে ফেসবুক পেজে ফটোকার্ড বানিয়ে রসিকতা করেছিল রংপুর রাইডার্স। মিরপুর ঘুরে এবারের গন্তব্য সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে। এক সপ্তাহ ব্যবধানে বরিশালের লঞ্চে দুইবার ধাক্কা মারল রংপুর।
পাঁচে পাঁচ করা রংপুরের আজ টুর্নামেন্টে প্রথম হারের মঞ্চটা এক রকম প্রস্তুতই ছিল। কারণ, শেষ ওভারের রংপুরের দরকার হয় ২৬ রান। হাতে ৩ উইকেট। স্বীকৃত ব্যাটার নুরুল হাসান সোহান থাকলেও জয়ের আশা খোদ রংপুরের ভক্ত-সমর্থকেরাও করতে পারেনি। কিন্তু গল্প তখনো যে শেষ হতে বাকি। শেষ ওভারে তিনটি করে ছক্কা ও চার মেরে বরিশালের থেকে জয় কেড়ে নেন রংপুর অধিনায়ক সোহান। শেষ বলে ডিপ মিড উইকেট দিয়ে অধিনায়ক ছক্কা মারতেই ডাগআউট ভেসে ওঠে আনন্দে।
১৯৮ রানের লক্ষ্যে নেমে ৪ রানেই ভেঙে যায় রংপুরের উদ্বোধনী জুটি। দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলে অ্যালেক্স হেলসকে স্টাম্পিংয়ের ফাঁদে ফেলেন তানভীর ইসলাম। ৩ বল খেলে করেছেন ১ রান। শুরুর ধাক্কা সামলে রংপুর এরপর এগোতে থাকে সাবলীল গতিতে। ৯ ওভারে ৩ উইকেটে ৬৬ রানে পরিণত হয় দলটি। সাইফ হাসান ও তৌফিক খান তুষার আউট হয়েছেন ২২ রান ও ৩৮ রান করে। যেখানে তুষার তুলনামূলক আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেছেন (১৩৫.৭১ স্ট্রাইকরেট)। ২৮ বলের ইনিংসে ৩টি করে চার ও ছক্কা মেরেছেন। হাতে ৭ উইকেট নিয়ে শেষ ১১ ওভারে রংপুরের প্রয়োজন ১৩২ রান। ওভারপ্রতি ১২ করে দরকার হলেও দুই পাকিস্তানি খুশদিল শাহ ও ইফতিখার আহমেদের ব্যাটিং তেমন ছিল না। চতুর্থ উইকেটে ৫৩ বলে ৯১ রানের জুটি গড়েন খুশদিল ও ইফতিখার।
১৮তম ওভারের প্রথম বলে ইফতিখারকে ফিরিয়ে চতুর্থ উইকেটের জুটি ভাঙেন শাহিন শাহ আফ্রিদি। খুব দ্রুতই রংপুর ৪ উইকেটে ১৫৭ রান থেকে ৭ উইকেটে ১৭২ রানে পরিণত হয়। যেখানে ১৮তম ওভারের চতুর্থ বলে শেখ মেহেদী হাসানকে অবস্ট্রাকটিং দ্য ফিল্ড আউট করেন জাহানদাদ খান। মাঠে এই আউট নিয়ে একটু তর্ক বিতর্কও হয়েছে। ৭ বলে যখন ২৬ রান দরকার, তখন জাহানদাদকে ডট দেন কামরুল ইসলাম রাব্বি। শেষ ওভারে ২৬ রানের সমীকরণ যখন রংপুরের সামনে, মায়ার্সকে তখন সোহান প্রথম বলে মারলেন ছক্কা,পরের দুই বলে চার। রংপুর অধিনায়ক শেষ তিন বলে ২ ছক্কা ও ১ চার মেরেছেন। যেখানে শেষটা সোহান করেছেন ছক্কা মেরে। ৭ বলে ৩২ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলে ম্যান অব দ্য ম্যাচ সোহান।
এর আগে টস জিতে ফিল্ডিং নেন রংপুর রাইডার্সের অধিনায়ক সোহান। টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং পেয়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৯৭ রান করে ফরচুন বরিশাল।ইনিংস সর্বোচ্চ ৬১ রান করেন কাইল মায়ার্স। ২৯ বলের ইনিংসে ৭ ছক্কা ও ১ চার মেরেছেন তিনি। তিন নম্বরে নেমে ইনিংসের শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন তিনি।