বিপিএলে প্রথম দুই ম্যাচে ব্যাট হাতে রানের খাতা খোলার আগেই ফেরেন। বল হাতে উইকেট পেয়েছিলেন ১টি। এনসিএল টি-টোয়েন্টি লিগ ও ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে যে তাণ্ডব দেখিয়েছিলেন, সে বিবেচনায় বিপিএলে এখন পর্যন্ত প্রত্যাশা ততটা মেটাতে পারেননি জিসান আলম। তবে ধীরে ধীরে কার্যকর ভূমিকা রাখতে শুরু করেছেন এ অলরাউন্ডার।
প্রথম দুই ম্যাচে সুবিধা করতে না পারলেও নিজেদের শেষ দুই ম্যাচে ব্যাটে-বলে অবদান রেখেছেন জিসান। তাঁর দল দুর্বার রাজশাহী হারলেও আগের ম্যাচে ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে ২৭ বলে ৩৮ ও ৪ ওভারে ২৫ রান দিয়ে জিসান শিকার করেছেন ১ উইকেট। আজও খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে ২৮ রানের দারুণ জয় পেয়েছে রাজশাহী। জিসান ব্যাট হাতে ২৩ এবং বল হাতে ৪ ওভারে ১৮ রান দিয়ে নিয়েছেন ১ উইকেট। শুরুতেই এনে দিচ্ছেন উইকেট।
দুর্বার রাজশাহীর অধিনায়ক এনামুল হক বিজয় ম্যাচ শেষে জিসানকে দলের ‘চমকপ্রদ প্যাকেজ’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে বিজয় বলেন, ‘আসলে ও (জিসান) যদি ওর মতো করে খেলে, অবশ্যই দলের জন্য একটা সারপ্রাইজ প্যাকেজ। ওর সামর্থ্য আছে। আশা করি, সে এই জিনিসগুলো বুঝবে, শিখবে। বিপিএলে তো আরও অনেক খেলোয়াড় আছে, যারা ভালো করেছে। ওদের সঙ্গে যদি কথা বলে এবং নিজের মান যদি ওভাবে ধরে রাখে, আমার কাছে মনে হয় অভিজ্ঞতার সঙ্গে সঙ্গে ওর খেলায় উন্নতি হবে। প্রমাণ করতে পারবে, ওর সামর্থ্য কতটুকু।’
সম্প্রতি জাতীয় লিগ টি-টোয়েন্টিতে ৫২ বলে ১০ ছক্কায় সেঞ্চুরি করেছিলেন জিসান। আরেক ম্যাচে ২৭ বলে ৬০ এবং ৪৮ বলে ৭৩ রানের ইনিংসও খেলেছেন তিনি। এনসিএলের চেয়ে বিপিএল বেশ প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক। দায়িত্ব ও চাপ স্বাভাবিকভাবে বেশি। বিজয়ের বিশ্বাস জিসান এই চ্যালেঞ্জ উতরে যাবেন, ‘বিপিএলে যেরকম মানের খেলা হয়, সেখানে অবশ্যই একটা চ্যালেঞ্জ থাকে। এটা যখন ও পার করে ফেলবে, তখন জিনিসটা ওর জন্য আরও ভালো হবে। জিনিসটা চ্যালেঞ্জিং, তবে আশা করি পারবে।’